পাতা:বাইবেল পুরাতন নিয়ম ও নতুন নিয়ম.djvu/৪৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 ○8 আশ্চৰ্য্য ক্রিয়া করেন, যাহার সংখ্যা নাই । ১• তিনি ভুতলে বৃষ্টি প্রদান করেন, তিনি জনপদের উপরে জল বহন । ১১ তিনি নীচ লোকদিগকে উচ্চ করেন, শোকার্তের ত্রাণ দ্বারা উন্নত হয় । ১২ তিনি ধূৰ্ত্তদের কল্পনা ব্যর্থ করেন, তাহীদের হস্ত সঙ্কল্প সাধন করিতে পারে না । ১৩ তিনি জ্ঞানীদিগকে তাহদের ধূৰ্ত্ততায় ধরেন, কুটিলমনাদের মন্ত্রণ আশু বিফল হইয়া পড়ে। ১৪ তাহারা দিবসে অন্ধকারে ভ্রমণ করে, মধ্যাহে রাত্রিকালের স্থায় ইতিড়িয়া বেড়ায়। ১৫ কিন্তু তিনি খড়গ হইতে, উহাদের কবল হইতে, পরীক্রমীদের হস্ত হইতে, দরিদ্রকে নিস্তার করেন। ১৬ এই কারণ দীনহীন আশাযুক্ত হয়, অধৰ্ম্ম নিজ মুখ বদ্ধ করে । ১৭ দেখ, ধন্ত সেই ব্যক্তি, যাহাঁকে ঈশ্বর অনুযোগ করেন, অতএব তুমি সৰ্ব্বশক্তিমানের দত্ত শাস্তি তুচ্ছ করিও না। ১৮ কেনন। তিনি ক্ষত করেন, তিনি বাধিয়া দেন, তিনি আঘাত করেন, তাঁহারই হস্ত হস্থ করে। ১৯ তিনি ছয় সঙ্কট হইতে তোমাকে উদ্ধার কারবেন, সপ্ত সঙ্কটে অমঙ্গল তোমাকে স্পর্শ করিবে না। ২০ তিনি তোমাকে দুর্ভিক্ষ সময়ে মৃত্যু হইতে, যুদ্ধের সময়ে খড়গ-ধার হইতে মুক্ত করবেন। ২১ জিহবার কশাঘাত হইতে তুমি গুপ্ত থাকিবে, বিনাশ অসিলে তোমার শঙ্কা হইবে না। ২২ বিনাশ ও দুর্ভিক্ষ তুমি হাসিবে, বস্ত্যপশুদের হইতে তোমার শঙ্কা হইবে না। ২৩ কারণ মাঠের প্রস্তরের সহিত তোমার সন্ধি হইবে, মাঠের পশুগণ তোমার সহিত শান্তিতে থাকিবে । ২৪ আর তুমি জানিবে, তোমার তাম্বু শান্তিযুক্ত, তুমি তোমার নিবাসের তত্ত্ব করিলে দেখিবে, কিছুই হারায় নাই । ২৫ তুমি জানিবে, তোমার বংশ বহুসংখ্যক হইবে, তোমার সন্তানসন্ততি ভূমির তৃণের স্থায় হইবে। ২৬ যেমন যথাসময়ে শস্তের আটি তুলিয়৷ লওয়া যায়, তদ্রুপ তুমি সম্পূর্ণায়ু হইয়। কবরপ্রাপ্ত হইবে। ২৭ দেখ, আমরা ইহা অনুসন্ধান করিয়াছি ; ইহা নিশ্চিত : তুমি ইহ শুন, আপনার জন্ত জানিয়া রাখ। ইয়োবের উত্তর। Wり পরে ইয়োব উত্তর করিয়া কহিলেন, হায় যদি আমার মনস্তাপ তেল করা হইত, যদি আমার বিপদ তুলায় পরিমিত হইত, ৩ তবে তাহ সমুদ্রের বালি হইতেও ভারী হুইত, এই জন্ত আমার বাক্য অসংলগ্ন হইয় পড়ে। ৪ কারণ সৰ্ব্বশক্তিমানের বাণ সকল আমার ভিতরে প্রবিষ্ট, ইয়োব। [ 6 ; >० - ७ ; २७ ॥ আমার আত্মা সে সকলের বিষ পান করিতেছে, ঈশ্বরীয় ত্রাসদল আমার বিরুদ্ধে শ্রেণীবদ্ধ। ৫ বনগর্দভ ঘাস পাইলে কি চীৎকার করে ? গোরু যাব পাইলে কি রব করে ? ৬ যাহার স্বাদ নাই, তাহ কি লবণ বিনা ভোজন করা যায় ? ডিম্বের লালার কি কিছু অস্বিাদ অাছে ? ৭ আমার প্রাণ যাহা স্পর্শ করিতে অসম্মত, তাহাই আমার ঘৃণিত ভক্ষ্যস্বরূপ হইল। ৮ আঃ ! আমি যেন বাঞ্ছনীয় বিষয় পাইতে পারি, ঈশ্বর যেন আমার অপেক্ষণীয় বিষয আমীকে দেন, ৯ ই, ঈশ্বর অনুগ্রহ করিয়া আমাকে চূর্ণ করুন, হস্ত প্রসারণ করিয়া আমাকে কাটিয় ফেলুন; ১• তবু তখনও আমার সান্তন থাকিবে, নিৰ্ম্মম যাতনায়ও আমি উল্লাস করিব, কারণ পবিত্রতমের বাক্য সকল অস্বীকার করি নাই । ১১ তামার বল কি যে, প্রতীক্ষা করিতে পারি, আমার পরিণাম কি যে, সহিষ্ণু হইতে পারি ? ১২ অামার বল কি প্রস্তরের বল ? তামীর মাংস কি পিত্তলের ? ১৩ আমার দ্বারা কি আমার আর উপকার হইতে পারে ? আম৷ হইতে কি বুদ্ধিকৌশল দূর কৃত হয় নাই ? ১৪ শীর্ণ লোকের প্রতি বন্ধুর দয়া কর। কৰ্ত্তব্য, পাছে সে সৰ্ব্বশক্তিমানের ভয় ত্যাগ করে। ১৫ আমার ভ্রাতৃগণ স্রোতের স্তায় বিশ্বাসঘাতক, তাহারা স্রোতোমাগস্থ প্রণালীর দ্যায় চঞ্চল । ১৬ সেই স্রোতঃ হিম হেতু কৃষ্ণবর্ণ হয়, তুষার পড়িয়া তাহার মধ্যে লীন হয় ; ১৭ কিন্তু উত্তপ্ত হইবামাত্র তাহ লুপ্ত হয়, গ্রীষ্ম হইলে তাহী স্বস্থান হইতে শুধিয়া যায়। ১৮ সেই পথের বণিকৃদল পথ ছাড়ে, তাহার। মরুস্থানে গিয়া বিনষ্ট হয় । ১৯ টেমার বণিকৃদল দৃষ্টিপাত করিল, শিবার পথিকদল সেই সকলের অপেক্ষা করিল : ২• তাহার প্রত্যাশ করাতে লজ্জিত হইল, o সেখানে আসিলে তাহারা হতাশ হুইল । ২১ বস্তুতঃ এখন তোমরা কিছুই নও ; ত্ৰাস দেখিয়৷ ভয় পাইয়াছ । ২২ আমি কি বলিয়ছিলাম, আমাকে কিছু দেও, তোমাদের সঙ্গতি হইতে আমার জন্ত ভেট দেও, ২৩ বিপক্ষের হস্ত হইতে আমাকে রক্ষা কর, দুৰ্দ্দান্তদের হস্ত হইতে আমাকে মুক্ত কর ? ২৪ আমাকে শিক্ষা দেও, আমি নীরব হইব । আমাকে বুঝাইয় দেও,কিসে আমি প্রমাদে পড়িয়াছি। ২৫ স্যায্য বাক্য কেমন প্রবল । কিস্তু তোমাদের তর্কে কি দোষ ব্যক্ত হয় ? ২৬ তোমরা কি শব্দের দোষ ধরিবার সঙ্কল্প করিতেছ ? 434