5 o ; S – S S ; So S రి আমার প্রাণ জীবনে ক্লান্ত হইয়াছে : আমি আপন দুঃখের কথা মুক্তকণ্ঠে বলিব, আমি প্রাণের তিক্ততায় কথা বলিব । ২ আমি ঈশ্বরকে বলিব, আমাকে দোষী করিও না . আমার সহিত কি কারণে বিবাদ করিতেছ, তাহ আমাকে জ্ঞাত কর । ৩ এটা কি ভাল যে, তুমি উপদ্রব করিবে ? তোমার হস্তনিৰ্ম্মিত বস্তু তুমি তুচ্ছ করিবে ? দুষ্টগণের মন্ত্রণায় প্রসন্ন হইবে ? ৪ তোমার চক্ষু কি মাংসময় ? তোমার দৃষ্টি কি মর্ত্যের দৃষ্টির স্থায় ? এ তোমার আয়ু কি মর্ত্যের আয়ুর দ্যায় ? তোমার বৎসরসমূহ কি মনুষ্যের দিনসমূহের স্থায় ? ৬ সেই জন্য কি আমার অপরাধের অনুসন্ধান করিতেছ, আমার পাপের অন্বেষণ করিতেছ? ৭ তুমি ত জান, আমি দুষ্ট নহি, এবং তোমার হস্ত হইতে উদ্ধারকারী কেহ নাই। ৮ তোমার হস্ত আমাকে গড়িয়াছে, নিরমিয়াছে, আমার সর্বাঙ্গ হসংযুক্ত করিয়াছে, তথাপি তুমি আমাকে সংহার করিতেছ। ৯ স্মরণ কর, তুমি মৃৎপাত্রের হ্যায় তামাকে গড়িয়াছ, আবার আমাকে কি ধূলিতে লীন করিবে ? ১০ তুমি কি দুগ্ধের স্যায় আমাকে ঢাল নাই ? ছানার হ্যায় কি আমাকে ঘনীভূক্ত কর নাই ? ১১ তুমি আমাকে চৰ্ম্ম ও মাংস পরিহিত করিয়াছ, অস্থি ও শিরা দিয়া আমাকে বুনিয়াছ : ১২ তুমি আমাকে জীবনদান ও দয়া করিয়াছ, তব তত্ত্বাবধানে মম আত্মার পালন হইতেছে। ১৩ তবু এ সমস্তই মনোমধ্যে গুপ্ত করিয়া রাখিয়াছ ; তামি জানি, ইহা তোমার মনোরথ । ১৪ আমি পাপ করিলে তুমি আমার প্রতি লক্ষ্য করবে, আমার তাপরাধ ক্ষমা করিবে না। ১৫ তামি যদি দুষ্ট হই, আমার সন্তাপ হইবে : যদি ধাৰ্ম্মিক হই, মস্তক তুলিতে পারিব না, আমি অবমাননায় পরিপূর্ণ হইয়াছি, আর আপনার দুঃখ দেখিতেছি । ই ১৬ মিস্তক ] তুলিলে তুমি সিংহের স্থায় আমাকে মৃগয়া করিবে, আবার তামাতে তুমি আপনাকে আশ্চৰ্য্য দেখাইবে। ১৭ তুমি আমার বিপরীতে নূতন নূতন সাক্ষী উপস্থিত ক আমার প্রতি আপনার বিরক্তি বাড়াইবে ; নূতন নূতন সৈন্যদল আমার প্রতিকূল । ১৮ কেন অামাকে গৰ্ত্ত হইতে বাহির করিয়াছিলে ? আমি তথায় প্রাণত্যাগ করিতাম, কাহারও নয়নগোচর হহতাম না ।
- (বা ) কিন্তু তুমি আমার দুঃখ দেখ ।
ইয়োব । 3○● ১৯ আমি অজাতের দ্যায় থাকিতাম, জঠর হইতেই কবরে নীত হইতাম । ২• আমার দিন কি অল্প নয় ? অতএব ক্ষান্ত হও, আমাকে ছাড়, ক্ষণকাল সাস্তুনা লাভ করি, ২১ যে পৰ্য্যন্ত আমি সেই স্থানে না যাই, যথা হইতে আর ফিরিয়া আসিব না । তাহা তিমিরের ও মৃতু্যচ্ছায়ার দেশ, ২২ সেই দেশ ঘোর অন্ধকার, তিমিরময়, তাহা মৃতু্যচ্ছায়াব্যাপ্ত, পারিপাট্য-বিহীন, তথায় দীপ্তি অন্ধকারের সমান । সোফরের প্রথম বক্তৃত । SS পরে নামীথীয় সোফর উত্তর করিয়া কহিলেন, এত কথার কি কিছুই উত্তর দেওয়া যাইবে না ? বাঁচালকে কি ধাৰ্ম্মিক বলা যাইবে ? ৩ তোমার দৰ্পে কি মনুষ্যের নীরব থাকিবে ? তুমি বিদ্রুপ করিলে কি কেহ তোমাকে লজ্জা দিবে না ? ৪ তুমি [ঈশ্বরকে] কহিতেছ, আমার বাক্য শুদ্ধ, আমি তোমার দৃষ্টিতে শুচি । ৫ আহা ! ঈশ্বর একবার কথা বলুন, তিনি তোমার বিরুদ্ধে আপন ওষ্ঠ খুলুন, ৬ তিনি প্রজ্ঞার গৃঢ় তত্ত্ব তোমাকে জ্ঞাত করুন, কারণ বুদ্ধিকৌশল বহুবিধ ; জানিও, ঈশ্বর তোমার অপরাধের অনেকটা ছাড়িয়া দেন। ৭ তুমি কি অনুসন্ধান দ্বারা ঈশ্বরকে পাইতে পার? সৰ্ব্বশক্তিমানের সম্পূর্ণ তত্ত্ব পাইতে পার । ৮ সে তত্ত্ব গগনবৎ উচ্চ : তুমি কি করিতে পার ? পাতাল অপেক্ষাও অগাধ ; তুমি কি জানিতে পার ? ৯ পৃথিবী হইতেও তাহার পরিমাণ দীর্ঘ, সমুদ্র হইতেও তাহার পরিসর অধিক । ১০ তিনি যদি হঠাৎ আসিয়া বদ্ধ করেন, যদি বিচারসভা করেন, তবে তাহাকে কে নিবারণ করিতে পারে ? ১১ কেনন। তিনি অলীক লোকদিগকে জানেন, আলোচনা না করিয়াও অধৰ্ম্ম দেখেন। ১২ কিন্তু নিঃসার মনুষ্য জ্ঞানবিহীন, সে জন্মাবধি বনগর্দভের শাবকের তুল্য। ১৩ তুমি যদি আপনার চিত্ত স্থির কর, যদি তাহার অভিমুখে অঞ্জলি প্রসারণ কর; ১৪ হস্তে অধৰ্ম্ম থাকিলে যদি তাহা দূর কর, অন্যায়কে তব তাম্বুতে বাস করিতে না দেও; তবে তুমি তোমার মুখ বিনী কলঙ্কে তুলিৰে, তুমি স্বস্থির থাকিবে, ভয় করিবে না। ১৬ কারণ তুমি তোমার কষ্ট ভুলিয়। যাইবে, তাহ। প্রবাহিত জলের স্যায় মনে হইবে । ১৭ তোমার জীবন মধ্যাহ্ন হইতেও বিমল হইবে, অন্ধকার হইলেও তাহ প্রভাতের ন্তায় হইবে। y & 437