পাতা:বাইবেল পুরাতন নিয়ম ও নতুন নিয়ম.djvu/৪৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 8 o ৮ তুমি কি ঈশ্বরের গুঢ় মন্ত্রণ শুনিয়াছ ? সমস্ত প্রজ্ঞা কি আত্মসাৎ করিয়াছ ? ৯ আমরা যাহ। না জানি, এমন কি জান ? আমাদের যাহা অজ্ঞাত, এমন কি বুঝ ? ১০ পঙ্ককেশ ও বুদ্ধের আমাদের মধ্যে আছেন, তাহার তোমার পিতা হইতেও বুদ্ধ। ১১ ঈশ্বরের সান্তনাবাক্য কি তোমার জ্ঞানে ক্ষুদ্র ? তোমার সহিত কোমল আলাপ কি ক্ষুদ্র ? ১২ তোমার মন কেন তোমাকে বিপথে টানে ? তোমার চক্ষু কেন মিটমিটু করে ? ১৩ তুমি ত ঈশ্বরের বিরুদ্ধে তোমার আত্মা ফিরাইতেছ, সেইরূপ কথা মুখ হইতে নির্গত করিতেছ। ২৪ মর্ত্য কি যে, সে পবিত্র হইতে পারে ? অবলাজাত মনুষ্য কি ধাৰ্ম্মিক হইতে পারে ? ১৫ দেখ, তিনি আপনার পবিত্ৰগণেও বিশ্বাস করেন না, তাহার দৃষ্টিতে আকাশও নিৰ্ম্মল নহে। ১৬ তবে যে ঘৃণাৰ্ছ ও ভ্রষ্ট, যে জন জলের মত অধৰ্ম্ম পান করে, সে কি ! ১৭ তামি তোমাকে বলি, তামীর কথা শুন, আমি যাহা দেখিয়ছি তাহ প্রচার কারব। ১৮ (জ্ঞানিগণ তাহ প্রকাশ করিয়াছেন, আপনাদের পিতৃলোক হইতে পাইয় গুপ্ত রাখেন নাই ; ১৯ কেবল তাহাদিগকেই দেশ দত্ত হইয়াছিল, তাহাদের মধ্যে অপর লোক ভ্রমণ করিত না । ) ২০ জুরাচার যাবজ্জীবন ক্লেশ পায়, তুর্দান্তের বৎসর-সংখ্যা নিরূপিত আছে। ২১ তাহার কর্ণকুহরে ত্রাসের শব্দ অাছে, শান্তির সময়ে বিনাশক তাহাকে আক্রমণ করে। ২২ সে বিশ্বাস করে না যে, অন্ধকার হইতে সে ফিরিয়া আসিবে, সে খড়েগর জন্ত নিৰ্দ্ধারিত। ২৩ সে খাদ্যের চেষ্টায় ভ্রমণ করে, বলে, তাহ কোথায় ? সে জানে, অন্ধকারের দিন তাহার সন্নিকট । ২৪ সঙ্কট ও মনস্তাপ তাহাকে ভয় দেখায়, যুদ্ধার্থ সসজ্জ রাজার দ্যtয় তাহার বিরুদ্ধে প্রবল হয়। ২৫ কারণ সে ঈশ্বরের বিরুদ্ধে হস্তবিস্তার করিয়াছে, সৰ্ব্বশক্তিমানের বিরুদ্ধে তীক্ষালন করিয়াছে : ২৬ সে উচ্চগ্রীব হইয় তাহার বিরুদ্ধে দেীড়িতেছে ; আপনার ঢালের স্থূল অংশ সকল দেখহয়৷ দৌড়িতেছে। ২৭ যেহেতুক সে আপন মেদে মুখ ঢাকিত, সে আপন কটিদেশ হৃষ্টপুষ্ট করিত ; ২৮ সে বাস করিত উৎসন্ন নগরে, সেই সকল বাটীতে, যাহাতে কেহ বাস করিত না, যাহা প্রস্তররাশি হইবার জন্ত নিরূপিত ছিল । ২৯ সে ধনী হইবে না, তাহার সম্পত্তি থাকিবে না ; তাহাঁদের ফল ভুমিতে নুইয়। পড়িবে না। ৩০ সে অন্ধকার হইতে প্রস্থান করিবে না ; অগ্নিশিখ। তাহার শাখ। শুষ্ক করিবে, ইয়োব । [ ১৫ ; ৮– ১ ৬ ; ১৩ । সে তদীয় মুখের নিশ্বাসে উড়িয়া যাইবে । ৩১ সে ভ্রান্ত হইয়। অলীকতায় বিশ্বাস ন করুক, কেননা অলীকতাই তাহার বেতন হইবে : ৩২ তাহার কালের পূর্বেই তাহী পরিশোধ হইবে, তাহার শাখা সতেজ হইবে না। ৩৩ দ্রাক্ষালতার স্থায় তাহার অপব্ধ ফল ঝরিয়া পড়িবে, জিত বৃক্ষের দ্যায় তাহার পুষ্প খসিয়া পড়িবে। ৩৪ পামরদের মণ্ডলী বন্ধ্যা হইবে, অগ্নি উৎকোচ-তান্ধু সকল গ্রাস করিবে। | ৩৫ তাহারা অনিষ্ট গৰ্ত্তে ধারণ করে, অদ্যায় প্রসব করে, তাহদের উদরে প্রতারণা প্রস্তুত হয়। ইয়োবের উত্তর। SW, পরে ইয়োব উত্তর করিয়া কহিলেন, আমি এরূপ অনেক কথা শুনিয়াছি ; তোমরা সকলে কষ্টজনক সত্ত্বনাকারী। ৩ বায়ুবৎ কথার কি শেষ হয় ? উত্তর করিতে তোমাকে কিসে উত্তেজনা করে ? ৪ আমিও তোমাদের দ্যায় কথ। কহিতে পারি : আমার প্রাণের মত যদি তোমাদের প্রাণ হুইত, আমি তোমাদের বিরুদ্ধে কথা যুড়িতে পারিতাম : তোমাদের বিরুদ্ধে মস্তক নাড়িতে পারিতাম। ৫ কিন্তু মুখ দ্বারা তোমাদিগকে সবল করিতাম, আমার ওষ্ঠের সান্তনায় তোমাদের শান্তি হইত। ৬ কথা কহিলেও আমার ক্লেশ নিবৃত্তি হয় না, নীরব থাকিলেও কি উপশম হয় ? ৭ কিন্তু তিনি আমাকে অবসন্ন করিয়াছেন : তুমি আমার সমস্ত মণ্ডলী উৎসন্ন করিয়াছ। ৮ তুমি আমাকে ধরিয়াছ, আর তাহাই আমার প্রতিকূলে সাক্ষ্য দিতেছে ; আমার কৃশতা আমার বিরুদ্ধে উঠিতেছে, আমার মুখের উপরে প্রমাণ দিতেছে । ৯ সে * ক্রোধে আমাকে বিদীর্ণ করিয়াছে, ও আমাকে তাড়ন করিয়াছে, সে * আমার প্রতি দন্ত ঘর্ষণ করিয়াছে, আমার বিপক্ষ আমার বিরুদ্ধে চক্ষু রক্তবর্ণ করে। ১০ লোকে আমার বিরুদ্ধে মুখ খুলিয়া হা করে, ধিক্কারপূর্বক আমার গালে চপেটাঘত করে, তাহার। আমার বিরুদ্ধে সমাগত হয়। ১১ ঈশ্বর আমাকে অদ্যায়ীর কাছে সমর্পণ করেন, আমাকে দুষ্টদের হস্তে ফেলিয়া দেন । ১২ তামি শান্তিতে ছিলাম, তিনি আমাকে ভাঙ্গিয়াছেন, ঘাড় ধরিয়৷ আমাকে তাছাড় মারিয়াছেন, আমাকে নিজ লক্ষ্যরূপে স্থাপন করিয়াছেন। ১৩ তাহার ধনুৰ্দ্ধরেরা আমাকে বেষ্টন করে,

  • ( বা ) তিনি...করিয়াছেন...করেন ।

440