388 সেই দুর্জনদের বসতির তাম্বু কোথায় ?” ২৯ তোমরা কি পথিকদিগকে জিজ্ঞাসা কর নাই ? উহাদের চিহ্ন সকল কি জান না ? ৩• বিনাশের দিন পর্য্যন্ত দুর্জন রক্ষিত হয়, ক্রোধের দিন পর্য্যন্ত তাহারা উত্তীর্ণ হয়। ৩১ তাহার সম্মুখে তাহার পথ কে ব্যক্ত করিবে ? তাহার কৰ্ম্মের ফল তাহাকে কে দিবে ? ৩১ আর সে কবরে নীত হইবে, লোকে তাহার কবর-স্থান চৌকি দিবে। ৩৩ তলভূমির মৃত্তিক তাহার সুখকর বোধ হইবে, তাহার পরে সকলে তাহার অনুগামী হইবে, তাহার পূর্বেও অসংখ্য লোক তদ্রুপ ছিল। ৩৪ তবে কেন আমাকে অনর্থক সান্তুনা করিতেছ ? তোমাদের উত্তরে ত কেবল অসত্য রহিয়াছে। ইলীফসের তৃতীয় বক্তৃত। ९& পরে তৈমনীয় ইলীফস উত্তর করিয়া কহিলেন, ৯ মনুষ্য কি ঈশ্বরের উপকারী হইতে পারে ? বরং বিবেচক আপনারই উপকারী হয় । ৩ তুমি ধাৰ্ম্মিক হইলে কি সৰ্ব্বশক্তিমানের আমোদ হয় ? তুমি সিদ্ধ আচরণ করিলে কি তাহার লাভ হয় ? ৪ তিনি কি তোমার ভয়হেতু তোমাকে অনুযোগ করেন, সেই জন্ত কি তোমার সাহত বিচারে প্রবৃত্ত হন ? ৫ তোমার দুস্কিয়া কি বিস্তর নর ? তোমার অপরাধের সীমা নাই । ৬ তুমি অকারণে নিজ ভ্রাত হইতে বন্ধক লইতে, তুমি বস্ত্রহীনের বস্ত্র হরণ করিতে। ৭ তুমি পরিশ্রান্তকে পান করিতে জল দিতে না, ক্ষুধিতকে আহার দিতে অস্বীকার করিতে। ৮ কিন্তু দেশ বলবান লোকেরই অধিকার ছিল, সম্মানের পাত্রই তাহাতে বাস করিত । - ৯ তুমি বিধবাদিগকে রিক্তহস্তে বিদায় করিতে, পিতৃহীনদেগের বাহু চুর্ণ করা হইত। ১• এই কারণ তোমার চতুর্দিকে ফাদ আছে, তাকস্মিক ত্রাস তোমাকে বিহবল করে । ১১ অন্ধকার হইয়াছে, তুমি দেখিতে পাইতেছ না, জলের বন্ত। তোমাকে আচ্ছন্ন করিয়াছে । ১২ ঈশ্বর কি উচ্চতম স্বগে থাকেন না ? তারাগণের মাথ। দেখ, সে সকল কেমন উচ্চ । ১৩ কিন্তু তুমি কহিতেছ, ঈশ্বর কি জানেন ? অন্ধকারে থাকিয়৷ তিনি কি শাসন করেন ? ১৪ নিবিড় মেঘ তাহার অন্তরাল, তিনি দেখেন না, তিনি গগনমণ্ডলে বিহার করেন । ২৫ তুমি কি প্রাক্কালের সেই পথ ধরিবে, যাহার পথিকগণ দুর্জন ছিল ? ১৬ তাহারা ত অকালে অপনীত হইল, তাহদের ভিত্তিমুল বস্তায় ভাসিয় গেল । ইয়োব। [ ২ ১ ; ২৯ – ২৩ ; ৬ । ১৭ তাহার ঈশ্বরকে বলিত, আমাদের নিকট হইতে দুর २७ ; সৰ্ব্বশক্তিমান আমাদের কি করিবেন ? ১৮ তবু তিনি তাহদের গৃহ উত্তম দ্রব্যে পূর্ণ করিতেন ; কিন্তু দুষ্টদের পরামর্শ আম হইতে দূরবত্তী। ১৯ ইহা দেখিয়া ধাৰ্ম্মিকগণ আনন্দ করে, নির্দোষ লোকে উহাদিগকে ঠাট্টা করিয়া বলে, ২০ “সত্যই আমাদের বিপক্ষগণ বিনষ্ট হইয়াছে, অগ্নি উহাদের অবশেষ গ্রাস করিয়াছে ৷ ” ২১ বিনয় করি, ঈশ্বরের সহিত পরিচিত হও, শান্তি পাইবে: তাহা হইলে মঙ্গল তোমার কাছে আসিবে। ২২ তাহার মুখ হইতে ব্যবস্থা গ্রহণ কর, তাহার বাক্য হৃদয়মধ্যে রাখ । ২৩ সৰ্ব্বশক্তিমানের প্রতি ফিরিলে তুমি সংগঠিত হইবে, তোমার তাম্বু হইতে অস্থায় দূর কর । ২৪ ধুলার মধ্যেই কাঞ্চন রাখ, স্রোতোমাৰ্গস্থ প্রস্তরসমূহের মধ্যে ওফারের সুবর্ণ রাখ ; ২৫ তাহীতে সৰ্ব্বশক্তিমনই তোমার কাঞ্চন হইবেন, তোমার উজ্জ্বল রৌপ্যস্বরূপ হইবেন । ২৬ তখন তুমি সৰ্ব্বশক্তিমানে আমোদ করিবে, ঈশ্বরের প্রতি মুখ তুলিতে পরিবে ; ২৭ তাহার কাছে বিনতি করিবে, তিনি তোমার কথা শুনিবেন, তুমি আপন মানত সকল পুর্ণ করিবে । ২৮ তুমি কিছু মনস্থ করিলে তাহ তোমার পক্ষে সফল হহবে, তোমার পথে দীপ্তি আলোক প্রদান করিবে । ২৯ অবনত হইলে তুমি কহিবে, উন্নতি হইবে, আর তিনি অধোমুখের পরিত্রাণ কfরবেন। ৩• যে ব্যক্তি নির্দোষ নয়, তাহাকেও তিনি উদ্ধার কfরবেন, তোমার হস্তের শুচিতায় সে উদ্ধার পাইবে। ইয়োবের উত্তর। ミ○ তখন ইয়োব উত্তর করিয়া কহিলেন, আজিও আমার বিলাপ তীব্ৰ : আমার কাতরত হইতে আমার পীড়া - ভারী। ৩ তাহা । যদি তাহার উদেশ পাইতে পারি, যদি তাহার আসনের নিকটে যাইতে পারি, ৪ তবে আমি তাহার সম্মুখে আপন বিচার বিদ্যাস করিব, আমি নানা হেতুবাদে আপন মুখ পূর্ণ করিব। ৪ তিনি কি কি কথায় উত্তর দিবেন, তাহ জানিব, তিনি আমাকে কি বলিলেন, তাহ বুঝিব। ৬ তিনি কি আপন মহাপরাক্রমে আমার সহিত উত্তর প্রত্যুত্তর করবেন ?
- (বা ) তাহার হন্ত ।
444