পাতা:বাইবেল পুরাতন নিয়ম ও নতুন নিয়ম.djvu/৪৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

38 や ৩ তাহার সৈন্ত্যদল কি গণনা করা যায় ? তাহার দীপ্তি কাহার উপরে না উঠে ? ৪ তবে ঈশ্বরের কাছে মৰ্ত্ত কেমন করিয়া ধাৰ্ম্মিক হইবে ? অবলার সন্তান কেমন করিয়া বিশুদ্ধ হইবে ? ও দেখ, তাহার দৃষ্টিতে চন্দ্রও নিস্তেজ, তারাগণও নিৰ্ম্মল নহে : ৬ তবে কীটসদৃশ মর্ত্য কি ? কুমিসদৃশ মনুষ্য-সন্তান কি ? ইয়োবের শেষ উত্তর। २७ তখন ইয়োব উত্তর করিয়া কহিলেন, তুমি বলহীনের কেমন সাহায্য করিলে । দুর্বল বহুকে কেমন নিস্তার করিলে । ৩ প্রজ্ঞাহীনকে কেমন পরামর্শ দিলে । বুদ্ধিকৌশল কেমন প্রচুররূপে প্রকাশ করিলে। ৪ তুমি কাহার কাছে কথা কহিলে ? তোমা হইতে কাহার নিশ্বাস নির্গত হইল ? ও প্রেতগণ কম্পিত হয়, জলরাশির ও তন্নিবাসীদের নীচে । ৬ তাহার সম্মুখে পাতাল অনাবৃত, বিনাশ-স্থান অনচ্ছাদিত । তিনি শুষ্ঠের উপরে উত্তর কেন্দ্র বিস্তার করিয়াছেন, অবস্তুর উপরে পৃথিবীকে ঝুলাইয়াছেন ; ৮ তিনি স্বীয় নিবিড় মেঘে জল বদ্ধ করেন, তথাপি জলধর তাহীর ভরে বিদীর্ণ হয় না। ৯ তিনি নিজ সিংহাসনের মুখ আচ্ছাদন করেন, আপন মেঘ দ্বারা তাহ আবৃত করেন। ১০ তিনি জলরাশির উপর চক্ররেখা লিখিয়ছেন, অন্ধকার ও দীপ্তির মধ্যবৰ্ত্তী সীমা পৰ্য্যন্ত । ১১ গগনমণ্ডলের স্তম্ভ সকল কম্পিত হয়, তাহার ভৎসনায় চমকিয় উঠে । ১২ তিনি অপেন পরীক্রমে সমুদ্রকে উত্তেজিত করেন, আপন বুদ্ধিতে গববকে আঘাত করেন । ১৩ তাহার শ্বাসে আকাশ পরিষ্কার হয় ; তাহারই হস্ত পলায়মান নাগকে বিদ্ধ করিয়াছে। ১৪ দেখ, এই সকল তাহার মার্গের প্রান্ত : তাহার বিষয়ে কাকলীমাত্র শুনা যায় ; কিন্তু তাহার পরাক্রমের গর্জন কে বুঝিতে পারে ? २१ পরে ইয়োব পুনৰ্ব্বার কথা প্রসঙ্গ করিলেন, বলিলেন, ২ জীবন্ত ঈশ্বরের দিব্য—যিনি আমার বিচার অগ্রহ করিয়াছেন, সৰ্ব্বশক্তিমানের দিব্য – যিনি আমার প্রাণ তিক্ত করিয়াছেন, ৩ (কারণ আমার মধ্যে নিশ্বাস এখনও সম্পূর্ণ অাছে, আমার নাসিকায় ঈশ্বরীয় প্রাণবায়ু আছে ;) ৪ নিশ্চয়ই আমার ওষ্ঠ তষ্ঠায় কহিবে না, আমার জিহব। প্রতারণ। উচ্চারণ করিবে না। ইয়োব । [*C 3 oー* レ; 9 I ৫ আমি তোমাদিগকে ধাৰ্ম্মিক বলি, এমন যেন ন হয় : প্রাণ থাকিতে আমি আপন সিদ্ধত ত্যাগ করিব না । ৬ আমার ধাৰ্ম্মিকত। আমি রক্ষা করিব, ছাড়িব না। আমি জীবিত থাকিতে আমার মন আমাকে ধিক্কার দিবে না । ৭ আমার শক্র দুর্জনের তুল্য হউক, যে আমার বিরুদ্ধে উঠে, সে অদ্যায়ীর সমান হউক । ৮ বস্তুতঃ পামর ধন সঞ্চয় করিলেও তাহার প্রত্যাশা কি ? কেননা ঈশ্বর তাহার প্রাণ হরণ করিবেন। ৯ যখন তাহীর সঙ্কট ঘটে, ঈশ্বর কি তাহার ক্ৰনদন শুনিবেন ? ১• সে কি সৰ্ব্বশক্তিমানে আমোদ করে ? নিত্য কি ঈশ্বরকে আহবান করে ? ১১ আমি ঈশ্বরের হস্তের বিষয়ে তোমাদিগকে উপদেশ দিব, সৰ্ব্বশক্তিমানের নিকটে যাহা আছে, তাহ গোপনে রাখিব না। ১২ দেখ, তোমরা সকলেই তাহ দেখিয়াছ, তবে কেন এমন অলীক হইয়া পড়িয়াছ ? ১৩ দুষ্ট লোক ঈশ্বর হইতে এই ভাগ্য পায়, সৰ্ব্বশক্তিমান হইতে দুৰ্দ্দান্তের। এই অধিকার লাভ করে । ১৪ এমন লোকের পুত্রবাহুল্য হইলে গড়েগ নষ্ট হইবে, তাহার সন্তানসন্ততি ভক্ষ্যে তৃপ্ত হইবে না ; ১৫ তাহার অবশিষ্টের মীরী দ্বার কবরস্থ হইবে ; তাহার বিধবাগণ রোদন করিবে না। ১৬ সে যদিও ধূলির ন্তার রৌপ্য সঞ্চয় করে, যদিও কর্দমের স্থায় পরিচ্ছদ প্রস্তুত করে, ১৭ তবু প্রস্তুত করিলেও ধাৰ্ম্মিক সেই বস্ত্র পরিবে, নির্দোষ সেই রৌপ্য বিভাগ করিয়া লইবে । ১৮ তাহার নিৰ্ম্মিত গৃহ তত্ত্বকীটের বাসার তুল্য, তাহা ক্ষেত্ররক্ষকের কৃত কুঁড়িয়ার তুল্য। ১৯ সে ধনী হইয়া শয়ন করে, কিন্তু সংগৃহীত হইবে না ; সে চক্ষু উন্মীলন করে, আর সে নাই । ২• জলরাশির দ্যায় ত্রাস তাইকে আক্রমণ করিবে: রাত্রিতে তাহকে ঝড়ে উড়াইয়া লইবে । ২১ পূর্ববীয় বায়ু তাহাকে তুলিয়। লয়, সে চলিয়া যায়, তাহা স্বস্থান হইতে তাহকে দুরে নিক্ষেপ করে। ২২ [ঈশ্বর] তাহার উপরে বাণ ত্যাগ করবেন, দয়া করিবেন না : সে তাহার হস্ত এড়াইবার জন্ত পলায়ন করিবে । ২৩ লোকে তাহাকে হাততালি দিবে, শীশ দিয় তাহাকে স্বস্থান হইতে দূর করিবে । २b~ বাস্তবিক রৌপ্যের আকর আছে, স্ববর্ণ পরিষ্কারের স্থানও আছে ; ২ ধুলি হইতে লেহ উদ্ধৃত হয়, গলিত প্রস্তর হইতে পিত্তল পাওয়া যায়। ৩ মনুষ্য অন্ধকার নিঃশেষিত করে, অন্ধকারে ও মৃত্যুচ্ছায়াতে যে সকল পাথর আছে, 446