३ b~ ; 8 – ९ -> ; २० ! ] সে প্রান্ত পৰ্য্যন্ত সে সকল অনুসন্ধান করে। ৪ তাহারা বাসস্থান ছাড়িয়া আকর গনন করে, [মানুষের] চরণ তাহাদিগকে ভুলিয়া যায়, তাহার। মনুষ্যদের হইতে দূরে ঝুলিতে ও দুলিতে থাকে ; ৪ মৃত্তিক হইতে শস্তের উৎপত্তি হয়, তাহার অধোভাগ যেন অগ্নি দ্বারা লণ্ডভণ্ড হয় । ৬ তাহার প্রস্তর নীলকান্ত মণির জন্মস্থান, তাহার ধুলি স্ববর্ণসম্বলিত । ৭ সেই পথ চিলের অজ্ঞাত, তাহী শকুনীর চক্ষুর অগোচর ; ৮ দপী পশুগণ তাহ দলিত করে নাই, কেশরী তথায় পদার্পণ করে নাই। ৯ মনুষ্য দৃঢ় শৈলে হস্তক্ষেপ করে, পৰ্ববতদিগকে সমুলে উণ্টইয়। ফেলে। ১• সে শৈলের মধ্যে স্থানে স্থানে খাল কাটে, তাহার চক্ষু সৰ্ব্বপ্রকার মণি দর্শন করে। ১১ সে নদীর জলক্ষরণ বদ্ধ করে, যাহা গুপ্ত আছে, তাহ সে দীপ্তিতে আনে। ১২ কিন্তু প্রজ্ঞ কোথায় পাওয়া যায় ? সুবিবেচনার স্থানই বা কোথায় ? ১৩ মনুষ্য তাহার মূল্য জানে না, জীবিতদের দেশে তাহ পাওয়া যায় না। ১৪ জলধি বলে, তাহ আমাতে নাই ; সমুদ্র বলে, তাহ আমার কাছে নাই। ১৫ তাহ উত্তম সুবর্ণ দ্বারাও প্রাপ্ত হওয়া যায় না, তাহার মূল্য বলিয়। রৌপ্যও তেল করা যায় না। ১৬ ওফৗরের সুবর্ণ তাহার সমতুল্য নয়, বহুমূল্য গোমেদক ও নীলকান্তমণিও নয়। ১৭ স্বর্ণ ও কাচ তাহার সমান হইতে পারে না, তাহার পরিবর্তে কাঞ্চনের পাত্র দত্ত হইবে না । ১৮ তাহার কাছে প্রবাল ও স্ফটিকের নাম করা যায় না, পদ্মরাগমণির মূল্য অপেক্ষাও প্রজ্ঞার মূল্য অধিক । কুশদেশীয় পীতমণিও তাহার সমান নয়, নিৰ্ম্মল স্ববর্ণও তাহার সমতুল্য হয় না। ২০ অতএব প্রজ্ঞা কোথা হইতে আইসে ? স্ববিবেচনার স্থানই বা কোথায় ? ২১ তাহ সমস্ত সজীব প্রাণীর চক্ষু হইতে গুপ্ত, তাহা আকাশের পক্ষীর অদৃষ্ঠ । ২২ বিনাশ ও মৃত্যু বলে, আমরা স্বকৰ্ণে তাহার কীৰ্ত্তি শুনিয়াছি। ২৩ ঈশ্বরই তাহার পথ জানেন ; তিনিই তাহার স্থান জ্ঞাত আছেন : ২৪ কেনন। তিনি পৃথিবীর প্রান্ত পৰ্য্যন্ত দেখেন, সমস্ত আকাশমণ্ডলের অধঃস্থানে তাহার দৃষ্টি যায়। ২৫ তিনি যখন বায়ুর গুরুত্ব নিরূপণ করিলেন, যখন পরিমাণ দ্বার জল পরিমিত করিলেন, ২৬ যখন তিনি বৃষ্টির নিয়ম নিরূপণ করিলেন, বিদ্যুৎ ও মেঘগর্জনের পথ স্থির করিলেন, సి ইয়োব । g 않 ২৭ তখন প্রজ্ঞাকে দেখিলেন ও প্রচার করিলেন, তাহ৷ স্থাপন করিলেন, তাহার সন্ধানও করিলেন ; ২৮ তার তিনি মনুষ্যকে কহিলেন, দেখ, প্রভুর ভয়ই প্রজ্ঞ, ছন্ধিয়া হইতে সরিয়া যাওয়াই হবিবেচন । ২৯ পরে ইয়োব পুনৰ্ব্বার কথা প্রসঙ্গ করিলেন, বললেন, ২ অহা । যদি আমি সেইরূপ থাকিতাম, যেমন পূর্বকার মাসপর্য্যায়ে ছিলাম । যেমন পূৰ্ব্বকার দিনপয্যায়ে ছিলাম, যখন ঈশ্বর আমাকে চৌকি দিতেন । ৩ তখন আমার মাথার উপরে তাহার প্রদীপ জ্বলিত, তাহার আলোকে আমি অন্ধকারেও চলিতম । ৪ আমি উত্তম অবস্থায় ছিলাম, ঈশ্বরের গুঢ় মন্ত্রণ আমার তাম্বুর উপরে থাকিত ; ৫ তখন সৰ্ব্বশক্তিমান আমার সহায় ছিলেন, আমার সন্তানগণ অামার চারিদিকে ছিল । ৬ আমার পদচিহ্ন ক্ষীরে প্রক্ষালিত হইত, আমার জন্ত শৈল তৈলের নদী বহাইত । ৭ আমি নগরের দিকে গিয়া পুরদ্বারে উঠিতাম, চকে আমার আসন প্রস্তুত করিতাম, ৮ যুবকগণ আমাকে দেখিয়া লুকাইত, বৃদ্ধের। উঠিয়া দাড়াইতেন ; ৯ অধ্যক্ষগণ বাক্য কথন হইতে নিবৃত্ত হইতেন, আপন আপন মুখে হাত দিয়া থাকিতেন ; ১• বড় লোকেরা অবাক হইয়া থাকিতেন, তাহাদের জিহ্বা তালুয়াতে লাগিয়া থাকিত , ১১ আমার কথা শুনিলে কর্ণ মম সাধুবাদ করিত, আমাকে দেখিলে চক্ষু মম পক্ষে সাক্ষ্য দিত। ১২ কারণ আমি আৰ্ত্তনাদকারী দুঃখীকে, এবং পিতৃহীন ও অসহায়কে উদ্ধার করিতাম। ১৩ নষ্টকল্পের আশীৰ্ব্বাদ আমার উপরে বৰ্ত্তিত ; আমি বিধবার চিত্তকে আনন্দগান করাইতাম । ১৪ আমি ধাৰ্ম্মিকতা পরিতাম, আর তাহ আমাকে পরিত: আমার দ্যায়বত্ত পরিচ্ছদ ও উষ্ণুীষস্বরূপ ছিল। ১৫ আমি অদ্ধের চক্ষু ছিলাম, আমি থঞ্জের চরণ ছিলাম । ১৬ অামি দরিদ্রগণের পিতা ছিলাম : যাহাকে ন জানিতাম, তাহারও বিচারের তদন্ত করিতাম : ১৭ আমি অন্যায়ীর চোয়ালি ভগ্ন করিতাম, তাহার দন্ত হইতেই শিকার উদ্ধার করিতাম । ১৮ তখন কহিতাম, আমি নিজ বাসার মধ্যে মরিব ; আমার দিন বালুকার স্থায় বহুসংখ্যক হুইবে । ১৯ জলের ধারে আমার মূল বিস্তৃত হয়, সমস্ত রাত্রি আমার শাখায় শিশির থাকে, ২• আমার গৌরব আমাতে সতেজ থাকে, আমার ধনুক আমার হস্তে নুতনীকৃত হয়। 447
পাতা:বাইবেল পুরাতন নিয়ম ও নতুন নিয়ম.djvu/৪৫৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।