পাতা:বাইবেল পুরাতন নিয়ম ও নতুন নিয়ম.djvu/৪৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88ゲ ২১ লোকে আমারই বাক্য শুনিত, প্রতীক্ষা করিত, আমার পরামর্শের জন্ত নীরব হইয়া থাকিত । ২২ আমার কথার পরে তাহার। আর কথা বলিত না : মম বাক্য তাহদের উপরে ফোটা ফোটা পড়িত । ২৩ তাহারা যেমন বৃষ্টির, তেমনি আমার প্রতীক্ষা করিত ; যেন শেষ বর্ষার জন্ত মুখ বিস্তার করিত। ২৪ আমি তাহদের প্রতি হাসিলে তাহারা বিশ্বাস করিত না, তাহারা আমার মুখের দীপ্তি নিস্তেজ করিত না। ২৫ আমি তাহদের পথ মনোনীত করিতাম, ও প্রধানের স্থায় বসিতাম : সৈন্যদল মধ্যে যেমন রাজী, তেমনি থাকিতাম, শোকাৰ্ত্তদের সান্তনাকারীর ছায় থাকিতাম । ৩০ সম্প্রতি যাহারা আম হইতে অল্পবয়স্ক, তাহার আমাকে পরিহাস করে : আমি তাহদের পিতাদিগকে আমার পালরক্ষক কুকুর দের সহিত রাখিতেও অবজ্ঞা করিতাম । ২ তাহদের ভুজবলে আমার কি ফল হইতে পারে ? তাহাদের তেজ ত নষ্ট হইয়াছে । ৩ তাহারা দীনতায় ও অন্নাভাবে অসাড় হইয় পড়ে, উৎসন্নতা ও শূন্যতার ঘোরে শুষ্কভুমি চর্বণ করে ; ৪ তাহার ঝোড়ের নিকটে বিস্বাদু শাক তুলে, রেতম বৃক্ষের শিকড় তাহীদের ভক্ষ্য দ্রব্য । ৫ তাহার। মানব-সমাজ হইতে বিতাড়িত হয়, যেমন চোরের, তেমনি লোকে তাহদের পশ্চাৎ পশ্চাৎ চীৎকার করে । ৬ তাহারা উপত্যকার ভয়ানক স্থানে থাকে, ধূলিময় ও পাষাণময় গৰ্ত্তে বাস করে। ৭ তাহারা ঝোপের মধ্যে থাকিয়া হ্ৰেষরিব করে, গোক্ষরবনে একত্রীভূত হয়। ৮ তাহারা মূখদের সন্তান, অপদার্থদের সন্তান, তাহারা দেশ হইতে বিতাড়িত হইয়াছে। ৯ সম্প্রতি আমি তাহদের গানের বিষয় হইয়াছি, বস্তুতঃ আমি তাহীদেরই গল্পের বিষয় । ১• তাহারা আমাকে ঘৃণা করে, আম হইতে দূরে থাকে, আমার মুখে থুথু ফেলিতে ভয় করে না। ১১ তিনি ত আপন রজ্জ খুলিয়া আমাকে নত করিয়াছেন, তাহার। আমার সাক্ষাতে বল্গা ফেলিয়৷ দিয়াছে। ১২ বেটার। আমার দক্ষিণে উঠে, আমার চরণ ঠেলিয়া দেয়, আমার বিরুদ্ধে বিনাশের উচ্চ পথ প্রস্তুত করে। ১৩ তাহারা আমার পথ রোধ করে, আমার সৰ্ব্বনাশার্থে সাহায্য করে : নিঃসহায় লোকেও এইরূপ করে । ১৪ তাহারা যেন প্রশস্ত ছিদ্র দিয়া তাইসে, ভঙ্গের মধ্যে আমার উপরে আসিয়া গড়াইয় পড়ে। ১৫ নানা প্রকার ত্রাস আমার সম্মুখে উপস্থিত, সে সকল বায়ুর দ্যায় আমার সন্ত্রম দূর করিতেছে ; মেঘের স্থায় আমার মঙ্গল অতীত হইতেছে। ইয়োব ৷ 「R、> ; &>ー○ > ; ১৬ এখন আমার প্রাণ অামার মধ্যে ঢালা যাইতেছে ; দুঃখের দিনসমূহ আমাকে আক্রমণ করিতেছে। ১৭ রাত্রিকালে আমার অস্থি সকল থসিয়া যায়, আমার দংশক সকল কখন নিদ্রা যায় না। ১৮ [রোগের] প্রবল শক্তিতে আমার পরিচ্ছদ বিকৃত হয়, জামার গলার দ্যায় তামাতে তাটিয়া থাকে। ১৯ [ঈশ্বর ] আমাকে পঙ্কে মগ্ন করিয়াছেন, আমি ধূলী ও ভস্মের দ্যায় হইতেছি। ২• আমি তোমার কাছে আৰ্ত্তনাদ করি,তুমি উত্তর দেও না; আমি দাড়াইয়া থাকি, তুমি আমার প্রতি দৃষ্টিমাত্র কারতেছ । ২১ তুমি আমার প্রতি নিৰ্দ্দয় হইয়া উঠিতেছ, আপন ভুজবলে আমাকে তাড়না করিতেছ। ২২ তুমি আমাকে তুলিয়া বায়ুতে চড়াইতেছ, ঝটিকায় বিলীন করিতেছ । ২৩ বস্তুতঃ আমি জানি, তুমি আমাকে মৃত্যুর নিকটে লইয়া যাইতেছ ; সমুদয় জীবিতের সভাগৃহে লইয়া যাইতেছ। ২৪ পড়িবার সময়ে লোক কি হস্ত বিস্তার করে না ? বিনাশকালে কি সে জন্ত তার্তনাদ করে না ? ২৫ তামি বিপদগ্রস্তের নিমিত্তে কি কাদিতাম না ? দীনের জন্ত কি শোকাকুলচিত্ত হইতাম না ? ২৬ আমি মঙ্গলের অপেক্ষা করিলে অমঙ্গল ঘটিল, দীপ্তির প্রতীক্ষা করিলে অন্ধকার আসিল । ২৭ আমার অন্ত্র জ্বলিতে থাকে, শান্তি পায় না, দুঃখের দিনসমূহ আমার সম্মুখবত্তী হইয়াছে। ২৮ বিনা রৌদ্রে আমি স্নান হইয় বেড়াইতেছি, আমি সমাজে উঠিয়া দাড়াই, আৰ্ত্তনাদ করি। ২৯ তামি শৃগালগণের ভ্রাতা হইয়াছি, উগ্রপক্ষীদের বন্ধু হইয়াছি। ৩• আমার চৰ্ম্ম কৃষ্ণবর্ণ হইয়াছে, খসিয়া পড়িতেছে, আমার অস্থি তাপে দগ্ধ হইয়াছে । ৩১ তামার বীণার রব হাহাকারে পরিণত, আমার বংশী বিলাপকারীদের রবে পরিণত । ○S আমি নিজ চক্ষুর সহিত নিয়ম করিয়াছি ; অতএব যুবতীর প্রতি কটাক্ষপাত কেন করিব ? ২ উদ্ধবাসী ঈশ্বর হইতে কি প্রকার ভাগ্যপ্রাপ্ত হয় ? উপরিস্থ সৰ্ব্বশক্তিমান হইতে কি অধিকার প্রাপ্তি হয় ? ৩ তাহ কি অন্ত্যায়কারীর জন্ত বিপদ নয় ? তাহা কি অধৰ্ম্মাচারীদের জন্ত দুৰ্গতি নয় ? ৪ তিনি কি আমার পথ সকল দেখেন না ? আমার সকল পাদবিক্ষেপ গণনা করেন না ? ৫ অামি যদি অলীকতার সহচর হইয়া থাকি, আমার চরণ যদি ছলের পথে দৌড়িয়া থাকে, ৬ (তিনি ধৰ্ম্মনিক্তিতে আমাকে তেল করুন, ঈশ্বর আমার সিদ্ধতা জ্ঞাত হউন : ) ৭ আমি যদি বিপথে পাদসঞ্চার করিয়া থাকি, 448