రిరి ; ఇh - లి 8 ; రిఁ | ] ২৭ সে মনুষ্যদের কাছে গীত গাইয়া বলে, “আমি পাপ করিয়াছি, প্রকৃতের বিপরীত করিয়াছি, তথাপি তাহার তুল্য প্রতিফল পাই নাই ;* ২৮ তিনি কুপে প্রবেশ করা হইতে আমার প্রাণকে মুক্ত করিয়াছেন, আমার জীবন আলোক দর্শন করিবে । ” ২৯ দেখুন, ঈশ্বর এই সকল কাৰ্য্য করেন, নরের সহিত দুই বার, তিন বার করেন, ৩০ যেন কুপ হইতে তাহার প্রাণ ফিরাইয়ী আনেন, যেন সে জীবিতদের দীপ্তিতে দেদীপ্যমান হয়। ৩১ ইয়োব, অবধান করুন, আমার কথা শুনুন ; আপনি নীরব থাকুন, আমি বলি । ৩২ যদি আপনার কিছু বক্তব্য থাকে, উত্তর করুন, বলুন, কেননা আমি আপনাকে নির্দোষ করিতে চাই। ৩৩ যদি না থাকে, তবে আমার কথা শুনুন, নীরব হউন, আমি আপনাকে প্রজ্ঞ শিক্ষা দিই । ইলীহর দ্বিতীয় বক্তৃত। 98 ইলাহ্র আরও বলিতে লাগিলেন, হে বিজ্ঞের, আমার কথা শুনুন ; হে জ্ঞানবানের, আমার বাক্যে কর্ণপাত করুন। ৩ কেননা রসন যেমন ভক্ষ্যের স্বাদ লয়, তদ্রুপ কৰ্ণ কথার পরীক্ষা করে । ৪ আইমন, যাহা হাষ্য তাঁহাই মনোনীত করি, ভাল কি, আপনাদের মধ্যে নিশ্চয় করি। ও দেখুন, ইয়োব বলিলেন, আমি ধাৰ্ম্মিক, কিন্তু আমার যাহা স্তায্য, ঈশ্বর তাহ হরণ করিয়াছেন ; ৬ আমি দ্যায়বান হইলেও মিথ্যাবাদী গণিত, বিন দোষে আমি দারুণ আহত হইয়াছি। ৭ ইয়োবের সদৃশ কোন ব্যক্তি আছে ? তিনি জলের দ্যায় উপহাস পান করেন, ৮ অধৰ্ম্মাচারীদের সঙ্গে চলেন, দুষ্ট লোকদের পথে গমন করেন। ৯ কেনন। তিনি বলিয়াছেন, মনুষ্যের কিছুই লাভ নাই, যখন সে ঈশ্বরের সহিত প্রণয় রাখে । ১• অতএব, হে বুদ্ধিমানের, আমার কথা শুনুন, ইহা দূরে থাকুক যে, ঈশ্বর দুষ্কাৰ্য্য করবেন, সৰ্ব্বশক্তিমান অস্তায় করিবেন। ১১ কারণ তিনি মনুয্যের কৰ্ম্মের ফল তাহাকে দেন, মনুষ্যের গতি অনুসারে তাহার দশ ঘটান। ১২ ঈশ্বর ত কখনও দুষ্টাচরণ করেন না, সৰ্ব্বশক্তিমান কভু বিচার বিপরীত করেন না। ১৩ পৃথিবীর কর্তৃত্বভার তাহাকে কে দিল ? সমস্ত জগৎ [ তাহাকে ] কে সমর্পণ করিল ? ১৪ যদি তিনি আপনাতেই নিবিষ্টমন৷ থাকেন, আপনার আত্মা ও নিশ্বাস আপনার কাছে সংগ্রহ করেন,
- (ব। ) তাহাতে আমার কিছু লাভ হয় নাই ।
ইয়োব । 8 & 9 ১৫ তবে মর্ত্যমাত্র একেবারে মরিয়া যাইবে, মনুষ্য পুনর্কবার ধুলিতে প্রতিগমন করিবে । ১৬ যদি আপনার বিবেচনা থাকে, তবে ইহা শুনুন, আমার বাক্যের রবে কর্ণপাত করুন। ১৭ যে স্থায়বিদ্বেষী, সে কি শাসন করিবে ? আপনি কি ধৰ্ম্মময় পরাক্রমীকে দোষী করিবেন ? ১৮ রাজাকে কি বলা যায়, তুমি পাপাধম ? রাজন্তবর্গকে কি বলা যায়, তোমরা দুষ্ট ? ১৯ কিন্তু তিনি জনাধ্যক্ষদেরও মুখাপেক্ষা করেন না, দরিদ্রের কাছে ধনবানকেও বিশিষ্ট জ্ঞান করেন না, কেননা তাহার। সকলেই তাহার হস্তকৃত বস্তু। ২• তাহার। হঠাৎ মরে, মধ্যরাত্রে মরে, প্রজাসমূহ বিচলিত হইয়া চলিয়া যায়, পরাক্রমী বিনা হস্তক্ষেপে অপনীত হয়। ২১ কেননা মানুষের পথে তাহার দৃষ্টি আছেঃ তিনি তাহার সমস্ত পদসঞ্চার দেখেন : ২২ এমন অন্ধকার কি মুতু্যচ্ছায়া নাই, যেখানে অধৰ্ম্মাচারিগণ লুকাইতে পারে। ২৩ তিনি মনুয্যের বিষয়ে দীর্ঘকাল চিন্তা করেন না, যখন সে ঈশ্বরের সম্মুখে বিচারস্থানে আইসে । ২৪ তিনি বিনা সন্ধানে পরাক্রান্তদিগকে খণ্ড খণ্ড করেন, তাহীদের স্থানে অস্ত্যদিগকে স্থাপন করেন। ২৫ তজ্জন্ত তিনি তাহদের ক্রিয় সকল জ্ঞাত হন, রাত্রিতে তাহাদিগকে উণ্টইয়। ফেলেন, তাহীতে তাহার চুর্ণ হয়। ২৬ তিনি তাহাদিগকে দুর্জন বলিয়া প্রহার করেন, সকলের দৃষ্টিগোচরেই করেন ; ২৭ কারণ তাহার। তাহার অনুগমন হইতে ফিরিল, তাহার সমস্ত পথ অবহেলা করিল ; ২৮ এইরূপে দরিদ্রের ক্রনন তাহার নিকট আনাইল : আর তিনি দুঃখীদের ক্রনন শ্রবণ করিলেন । ২৯ তিনি শান্তি দিলে কে দোষ দিতে পারে ? তিনি মুখ ঢাকিলে কে তাহার দর্শন পাইতে পারে? জাতির বা ব্যক্তির কথা হউক, একই ; ৩• পামর যেন রাজত্ব না করে, প্রজাগণকে ফদে ফেলিতে যেন কেহ না থাকে । ৩১ কেহ কি ঈশ্বরকে বলিয়াছে, আমি [শান্তি] পাইয়াছি, আর পাপ করিব না, ৩২ যাহা দেখিতে পাই না, তাহ আমাকে শিখাও ; যদি অন্তায় করিয়া থাকি, আর করিব না ? ৩৩ তাহার প্রতিফল দান কি আপনার ইচ্ছামতে হইবে যে, আপনি তাহ অগ্রাহ করিলেন ? মনোনীত করা আপনার কৰ্ম্ম, আমার নয় ; অতএব আপনি বাহ জানেন, বলুন। ৩৪ বুদ্ধিমান লোকেরা আমাকে বলিবেন, জ্ঞানবানেরা আমার কথা শুনিয়া বলিবেন, ৩৫ ইয়োব জ্ঞানশূন্ত হইয়া কথা কহিতেছেন, তাহার কথা বুদ্ধিবিবর্জিত । 451