3 -> 8 ৩• তাহারা আপনাদের অভীষ্ট দ্রব্য ছাড়ে নাই, তাহাদের খাদ্য তাহদের মুখেই ছিল, ৩১ তখন তাহদের বিরুদ্ধে ঈশ্বরের কোপ উঠিল, তাহা তাহাদের হৃষ্টপুষ্টগণকে সংহার করিল, ইস্রায়েলের যুবকগণকে পাড়িয়া ফেলিল । ৩২ এ সমস্ত হইলেও তাহারা পুনর্ববার পাপ করিল, ও তাহার আশ্চৰ্য্য ক্রিয়াতে বিশ্বাস করিল না। ৩৩ অতএব তিনি তাহাদের আয়ু অসারতায়, তাহাদের বৎসর সকল বিহ্বলতায়, শেষ করিলেন। ৩৪ তিনি লোকদিগকে বধ করিলে তাহারা তাহার অনুসন্ধান করিল, ফিরিয়া সযত্নে ঈশ্বরের অন্বেষণ করিল : ৩৫ তাহদের স্মরণ হইল, ঈশ্বর তাহদের শৈল, পরাৎপর ঈশ্বর তাহদের মুক্তিদাত । ৩৬ কিন্তু তাহার। মুখে তাহার চাটুবাদ করিল, জিহাতে তাহার নিকটে মিথ্যা কহিল : ৩৭ কারণ তাহদের হৃদয় তাহার প্রতি স্থির ছিল না, তাহার। তাহার নিয়মেও বিশ্বস্ত ছিল না। ৩৮ কিন্তু তিনি স্নেহময়, তাই অপরাধ ক্ষমা করিলেন, ধ্বংস করিলেন না, অনেকবার আপন ক্রোধ সম্বরণ করিলেন, আপনার সমস্ত কোপ উদ্দীপিত করিলেন না । ৩৯ তিনি স্মরণ করিলেন যে, তাহারা মাৎসমাত্র, বায়ুস্বরূপ, যাহা বহিয়া গেলে আর ফিরিয়া আইসে না। ৪• তাহার প্রান্তরে কতবার তাহার বিরুদ্ধে দ্রোহ করিল, মরুভূমিতে কতবার তাহাকে মনঃপীড়া দিল । ৪১ তাহার। ফিরিয়া ঈশ্বরের পরীক্ষা করিল, ইস্রায়েলের পবিত্রতমকে অসত্ত্বঃ * করিল। ৪২ তাহারা তাহার হস্ত স্মরণ করিল না, সেই দিনকে স্মরণ করিল না, যে দিনে তিনি তাঁহা দিগকে বিপক্ষ হইতে মুক্ত করলেন। ৪৩ তিনি মিসরে আপন চিহ্ন সকল, সোয়নের মাঠে আপন অদ্ভুত লক্ষণ সকল, স্থাপন করিলেন । ৪৪ তিনি রক্তে পরিণত করিলেন তাহীদের নদী সকল, তাহাদের প্রবাহ সকল, তাই তাহার। জল পান করিতে পারিল না । ৪৫ তিনি তাহদের মধ্যে গ্রাসকারী দংশক, ও বিনাশকারী ভেক প্রেরণ করিলেন। ৪৬ তিনি গুটিপোকাকে তাহদের ভূমির দ্রব্য, পঙ্গপালকে তাহীদের শ্রমফল দিলেন । ৪৭ তিনি শিলা দ্বারা তাহীদের দ্রাক্ষালতা, করকাপাতে তাহাদের ডুমুর গাছ মারিয়া ফেলিলেন। ৪৮ তিনি তাহদের পশুগণকে শিলাতে, পাল সকলকে বজাঘাতে সমপণ করিলেন। ৪৯ তিনি তাহদের বিরুদ্ধে পাঠাইলেন আপন প্রচণ্ড ক্রোধ,
- (বা ) সীমাবদ্ধ ।
গীতসংহিতা । [ ৭ ৮ ; ৩০ – ৬৭ ৷ কোপ, ও রোষ, ও সঙ্কট, অমঙ্গলের এই দূতদল । ৫• তিনি নিজ ক্রোধের জন্ত পথ করিলেন, মৃত্যু হইতে তাহদের প্রাণ রক্ষা করেন নাই ; কিন্তু তাহীদের জীবন মহামারীর হস্তে দিলেন । ৫১ তিনি আঘাত করিলেন মিসরে সমস্ত প্রথমজাতকে, হামের তাম্বুসমূহে তাহদের শক্তির প্রথম ফলকে ; ৫২ কিন্তু আপন প্রজাদিগকে মেষবৎ চালাইলেন, পালের মত প্রান্তর দিয়া লইয়া আসিলেন । e৩ তিনি তাহাদিগকে নিরাপদে লহয়। আসিলেন, তাহারা উদ্বিগ্ন হইল না, কিন্তু সমুদ্র তাহদের শক্রগণকে আচ্ছাদন করিল। e৪ আর তিনি তাহাদিগকে আনিলেন, আপন পবিত্র সীমায়, আপন দক্ষিণ হস্ত দ্বারা লব্ধ এই পৰ্ব্বতে । e৫ তিনি তাহদের সন্মুখ হইতে জাতিগণকে দূর করিলেন, মানরজজু দ্বারা অধিকার বিভাগ করিয়া তাহাদিগকে দিলেন, ইস্রায়েলের বংশদিগকে উহাদের তাম্বুতে বাস করা হলেন । ৫৬ তথাপি তাহার। পরাৎপর ঈশ্বরের পরীক্ষা করিল, তাহার বিদ্রোহী হইল, তাহার সাক্ষ্য সকল পালন করিল না । ৫৭ তাহারা সরিয়া গেল, তাহদের পিতৃপুরুষদের স্থায় বিশ্বাসঘাতকতা করিল : তাহার বঞ্চক ধনুকের দ্যায় পার্শ্বে ফিরিল। e৮ কারণ তাহারা আপনাদের উচ্চস্থলীসমূহের দ্বারা উহাকে অসন্তুষ্ট করিল, আপনাদের ক্ষোদিত প্রতিমাগণ দ্বার। তাছার অন্তর্জাল জন্মাইল । ৫৯ ঈশ্বর তাহ শুনিয়া ক্রোধাম্বিত হইলেন, ইস্রায়েলকে অতিমাত্র ঘৃণা করিলেন। ৬০ তিনি শীলোস্থিত আবাস ত্যাগ করিলেন, সেই তাম্বু, যাহ। তিনি মনুষ্যদের মধ্যে স্থাপন করিয়া ছিলেন । ৬১ তিনি আপন বল বন্দিত্বে, আপন শোভা বিপক্ষের হস্তে দিলেন। ৬২ তিনি আপন প্রজাদিগকে খড়েগর হস্তগত করিলেন, আপন অধিকারের প্রতি ক্রুদ্ধ হইলেন। ৬৩ অগ্নি তাহদের যুবকগণকে গ্রাস করিল, তাহাদের কন্যাগণের পরিণয়-সঙ্গীত হইল না । ৬৪ তাহদের যাজকগণ খড়েগ পতিত হইল, তাহাদের বিধবার। রোদন করিল না। ৬৫ তখন প্ৰভু জাগিলেন, স্বপ্তোখিতের স্যায়, দ্রাক্ষারসে হর্ষনাদকারী বীরের দ্যায়। ৬৬ তিনি আপন বিপক্ষগণকে মারিয়া ফিরাইয়া দিলেন, তাহাদিগকে চিরকালীন তিরস্কারের পাত্র করিলেন । ৬৭ আর তিনি যোফেফের তাম্বু অগ্রাহ করিলেন, 494,