পাতা:বাইবেল পুরাতন নিয়ম ও নতুন নিয়ম.djvu/৫৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩ ; ২৩– ৫ ; ২ ৷ ] তোমার কণ্ঠের শোভাস্বরূপ হইবে। ২৩ তখন তুমি নিজ পথে নিৰ্ভয়ে গমন করিবে, তোমার পীয়ে উছোট লাগিবে না । ২৪ শয়নকালে তুমি ভয় করিবে না, তুমি শয়ন করিবে, তোমার নিদ্রা সুখদারিনী হইবে। ২৫ আকস্মিক বিপদ হইতে ভীত হইও না, দুষ্টের বিনাশ আসিলে তাহ হইতে ভীত হইও না ; ২৬ কেননা সদাপ্ৰভু তোমার বিশ্বাসভূমি হইবেন, ফাদ হইতে তোমার চরণ রক্ষা করিবেন। ২৭ যাহাঁদের মঙ্গল করা উচিত, তাহদের মঙ্গল করিতে অস্বীকার করিও না, যখন তাহা করিবার ক্ষমতা তোমার হাতে থাকে। ২৮ তোমার প্রতিবাসীকে বলিও না, “যাও, আবার আসিও, আমি কল্য দিব", যখন দ্রব্য তোমার হস্তে থাকে। ২৯ তোমার প্রতিবাসীর বিরুদ্ধে কুসঙ্কল্প করিও না, সে ত তোমার নিকটে নির্ভয়ে বাস করে । ৩০ অকারণে কোন ব্যক্তির সহিত বিরোধ করিও না, যদি সে তোমার অপকার না করিয়া থাকে। ৩১ উপদ্রবীর প্রতি ঈর্ষা করিও না, আর তাহার কোন পথ মনোনীত করিও না ; ৩২ কেননা থল সদাপ্রভুর ঘৃণার পাত্ৰ ; কিন্তু সরলগণের সহিত তাহার গুঢ় মন্ত্রণ। ৩৩ দুষ্টের গৃহে সদাপ্রভুর অভিশাপ থাকে, কিন্তু তিনি ধাৰ্ম্মিকদের নিবাসকে আশীৰ্ব্বাদ করেন। ৩৪ নিশ্চয়ই তিনি নিন্দকদিগের নিন্দ করেন, কিন্তু নম্রদিগকে অনুগ্রহ প্রদান করেন । ৩৪ জ্ঞানবানের সম্মানের অধিকারী হইবে, কিন্তু অবজ্ঞাই হীনবুদ্ধিদের উন্নতি । 3 বৎসগণ, পিতার উপদেশ শুন, সুবিবেচন বুঝিবার জন্ত মনোযোগ কর। ২ কেনন। আমি তোমাদিগকে স্বশিক্ষা দিব ; তোমরা আমার ব্যবস্থা ত্যাগ করিও না। ৩ কারণ আমিও নিজ পিতার বৎস ছিলাম, মাতার দৃষ্টিতে কোমল ও অদ্বিতীয় ছিলাম। ৪ পিতা আমাকে শিক্ষা দিতেন, বলিতেন, তোমার চিত্ত আমার কথা ধরিয়া রাখুক । আমার আজ্ঞ সকল পালন কর, জীবন পাইবে ; ৫ প্রজ্ঞ উপার্জন কর, স্ববিবেচনা উপার্জন কর, ভুলিও না; আমার মুখের কথা হইতে বিমুখ হইওনা। ৬ প্রজ্ঞাকে ছাড়িও না, সে তোমাকে রক্ষা করিবে: তাহাকে প্রেম কর, সে তোমাকে সংরক্ষণ করিবে । ৭ প্রজ্ঞাই প্রধান বিষয়, তুমি প্রজ্ঞ উপার্জন কর; সমস্ত উপার্জন দিয়া স্ববিবেচনা উপার্জন কর। ৮ তাহাকে শিরোধাৰ্য্য কর, সে তোমাকে উন্নত করিবে, যখন তাহাকে আলিঙ্গন কর, সে তোমাকে মান্ত করিবে । হিতোপদেশ । ●○○ ৯ সে তোমার মস্তকে লাবণ্যভূষণ দিবে, সে শোভার মুকুট তোমাকে প্রদান করিবে । ১৭ বৎস, শুন, আমার কথা গ্রহণ কর, তাহাতে তোমার জীবনের বৎসর বহুসংখ্যক হইবে। ১১ আমি তোমাকে প্রজ্ঞার পথ দেখাইয়াছি, তোমাকে সারল্যের মার্গে চালাইয়াছি। ১২ তোমার গমনকালে পাদসঞ্চার সঙ্কুচিত হইবে না, ধাবনকালে তোমার উছোট লাগিবে না । ১৩ উপদেশ ধরিয়া রাখিও, ছাড়িয়া দিও না, তাহ রক্ষা কর, কেননা তাহ তোমার জীবন । ১৪ দুর্জনদের মার্গে প্রবেশ করিও না, দুৰ্বত্তদের পথে চলিও না, ১৫ তাহ ছাড়, তাঁহার নিকট দিয়া যাইও না : তাহা হইতে বিমুখ হইয়া অগ্রসর হও । ১৬ কেননা দুষ্কৰ্ম্ম না করিলে তাহদের নিদ্রা হয় না, কাহারও উছোট না লাগাইলে তাহাদের নিদ্রা দুরে যায় । ১৭ কারণ তাহারা দুষ্টতার অন্ন ভক্ষণ করে, তাহার উপদ্রবের দ্রাক্ষারস পান করে। ১৮ কিন্তু ধাৰ্ম্মিকদের পথ প্রভাতীয় জ্যোতির স্থায়, " যাহা মধ্যাহ্ন পৰ্য্যন্ত উত্তর উত্তর দেদীপ্যমান হয় ; ১৯ দুষ্টদের পথ অন্ধকারের দ্যায় : তাহারা কিসে উছোট খাইবে, জানে না । ২০ বৎস, আমার বাক্যে অবধান কর, আমার কথায় কর্ণপাত কর। ২১ তাহা তোমার দৃষ্টির বহির্ভূত না হউক, তোমার হৃদয়মধ্যে তাহ রাখ । ২২ কেননা যাহারা তাহ পায়, তাহীদের পক্ষে তাহ। জীবন, তাহা তাহাদের সর্বাঙ্গের স্বাস্থ্যস্বরূপ । ২৩ সমস্ত রক্ষণীয় অপেক্ষ * তোমার হৃদয় রক্ষা কর কেননা তাহ হইতে জীবনের উদগম হয় । ২৪ মুখের কুটিলতা আপন হইতে অন্তর কর, ওষ্ঠাধরের বক্রতা আপন হইতে দূর কর। ২৫ তোমার চক্ষু সরল দৃষ্টি করুক, তোমার চক্ষুর পাতা সোজাভাবে সম্মুখে দেখুক । ২৬ তোমার চরণের পথ সমান কর, তোমার সমস্ত গতি ব্যবস্থিত হউক । ২৭ দক্ষিণে কি বামে ফিরিও না, মন্দ হইতে চরণ নিবৃত্ত কর। পরদার ও আলস্তাদি বিষয়ে চেতনা-বাক্য । (C বৎস, আমার প্রজ্ঞায় অবধান কর, আমার বুদ্ধির প্রতি কৰ্ণপাত কর ; ২ যেন তুমি পরিণামদৰ্শিতা রক্ষা কর,

  • ( বা ) সৰ্ব্বযত্নে ।

531