७ ; २७- t’ ; २ । ] জাগরণকালে তোমার সহিত আলাপ করিবে । ২৩ কেননা আজ্ঞা প্রদীপ ও ব্যবস্থা আলোক, এবং শিক্ষাজনক অলুযোগ জীবনের পথ : ২৪ সে তোমাকে রক্ষা করিবে, দুষ্ট স্ত্রী হইতে, বিজাতীয়ার জিহবার চাটুবাদ হইতে । ২৫ তুমি হৃদয়ে উহার সৌন্দর্য্যে লুব্ধ হইও না, উহার অপাঙ্গ-ভঙ্গিতে ধৃত হইও না। ২৬ কেননা বারাঙ্গন দ্বারা অন্নাভাব ঘটে, পরস্ত্রী (মনুষ্যের] মহামূল্য প্রাণ মৃগয়া করে । ২৭ কেহ যদি বক্ষঃস্থলে অগ্নি রাখে, তবে তাহার বস্ত্র কি পুড়িয়া যাইবে না ? ২৮ কেহ যদি জ্বলন্ত অঙ্গারের উপর দিয়া চলে, তবে তাহার পদতল কি পুড়িয়া যাইবে না ? ২৯ তদ্রুপ যে প্রতিবাসীর স্ত্রীর কাছে গমন করে : যে তাহীকে স্পর্শ করে, সে অদণ্ডিত থাকিবে না । ৩০ যে ক্ষুধিত হইয় প্রাণের তৃপ্তির জন্ত চুরি করে, লোকে সেই চোরকে উপেক্ষ করে না : ৩১ কিন্তু ধরা পড়িলে তাহাকে সপ্তগুণ ফিরাইয়া দিতে হইবে, তাহার গৃহের সর্বস্বও সমর্পণ করিতে হইবে। ৩২ পরদারগামী পুরুষ বুদ্ধিবিহীন, সে তাহা করিয়া আপনার প্রাণ আপনি নষ্ট করে । ৩৩ সে আঘাত ও অবমাননা পাইবে : তাহার দুর্নাম কখনও ঘুচিবে না। ৩৪ যেহেতুক অন্তর্জাল স্বামীর চণ্ডত, প্রতিশোধের দিনে সে ক্ষমা করিবে না : ৩৫ সে কোন প্রকার প্রায়শ্চিত্ত গ্রাহ করিবে না, অনেক উৎকোচ দিলেও সন্মত হুইবে না । বৎস, আমার কথা সকল পালন কর, আমার অজ্ঞ সকল তোমার কাছে সঞ্চয় কর । ২ আমার আজ্ঞ সকল পালন কর, জীবন পাইবে, নয়ন-তারার দ্যায় আমার ব্যবস্থা রক্ষা কর : ৩ তোমার অঙ্গুলি-কলাপে সেগুলি বাধিয়া রাখ, তোমার হৃদয়-ফলকে তাহ লিখিয়া রাখ । ৪ প্রজ্ঞাকে বল, তুমি আমার ভগিনী, স্ববিবেচনাকে তোমার সর্থী বল ; ৫ তাহাতে তুমি পরকীয়া হইতে রক্ষা পাইবে, চাটুভাষিণী বিজাতীয়া হইতে রক্ষা পাইবে। ৬ আমি আপন গৃহের বাতায়ন হইতে খড়খড়ি দিয়া নিরীক্ষণ করিতেছিলাম ; ৭ অবোধদের মধ্যে আমার দৃষ্টি পড়িল, আমি যুবকগণের মধ্যে এক জনকে দেখিলাম, সে বুদ্ধিবিহীন যুবক। ৮ সে গলিতে গেল, ঐ স্ত্রীর কোণের নিকটে আসিল, তাহার বাটীর পথে চলিল । ৯ তখন সন্ধ্যাকল, দিবাবসান হইয়াছিল, রাত্রিও অন্ধকার হইয়াছিল। হিতোপদেশ । @ ○○ ১০ তখন দেখ, এক স্ত্রী তাহার সম্মুখে অসিল, সে বেষ্ঠা-বেশধারিণী ও চতুর-চিত্ত৷; ১১ সে কলহকারিণী ও অবাধ্য, তাহার চরণ ঘরে থাকে না ; ১২ সে কখনও সড়কে, কখনও চকে, কোণে কোণে অপেক্ষাতে থাকে । ১৩ সে তাহাকে ধরিয়া চুম্বন করিল, নির্লজ্জ মুখে তাহকে কহিল, ১৪ “ আমাকে মঙ্গলার্থক বলিদান করিতে হইয়াছে, আজ আমি আপন মানত পূর্ণ করিয়াছি ; ১৫ তাই তোমার সহিত সাক্ষাৎ করিতে বাহিরে আসিয়াছি, সযত্নে তোমার মুখ দেখিতে আসিয়াছি, তোমাকে পাইয়াছি । ১৬ আমি খাটে বুটাদার চাদর পাড়িয়াছি, মিশ্রীয় স্থত্রের চিত্রবিচিত্র বস্ত্র পাড়িয়াছি। ১৭ আমি গন্ধরস, অগুরু ও দারুচিনি দিয়৷ আপন শয্য। আমোদিত করিয়াছি । ১৮ চল, আমরা প্রভাত পর্য্যন্ত কামরসে মত্ত হই, আমরা প্রেম-বাহুল্যে বিলাস করি । ১৯ কেননা কৰ্ত্ত ঘরে নাই, তিনি দুরে যাত্রা করিয়াছেন ; ২• টাকার তোড়া সঙ্গে লইয়া গিয়াছেন, পূর্ণিমার দিন ঘরে অসিবেন।” ২১ অনেক মধুর বাক্যে সে তাহার চিত্ত হরণ করিল, ওষ্ঠাধরের চাটুবাদে তাহাকে আকর্ষণ করিল। ২২ অমনি সে তাহার পশ্চাৎ গেল, যেমন গোরু হত হইতে যায়, যেমন শৃঙ্খলবদ্ধ ব্যক্তি নিৰ্ব্বোধের শাস্তি পাইতে ষায় : ২৩ শেষে তাহার যকৃৎ বাণে বিদ্ধ হইল : যেমন পক্ষী ফাদে পড়িতে বেগে ধাবিত হয়, তার জানে না যে, তাহ প্রাণনাশক । ২৪ এখন বৎসগণ, আমার বাক্য শুন, আমার মুখের কথায় অবধান কর। ২৫ তোমার চিত্ত উহার পথে না যাউক, তুমি উহার মার্গে ভ্রমণ করিও না। ২৬ কেননা সে অনেককে আঘাত করিয়া নিপাত করি য়াছে, তাহার নিহত লোকেরা বৃহৎ দল । ২৭ তাহীর গৃহ পাতালের পথ, যে পথ মৃত্যুর অন্তঃপুরে নামিয়া যায়। প্রজ্ঞার বর্ণনা ও নিমন্ত্ৰণ ৷ প্রজ্ঞা কি ডাকে না ? Ե» বুদ্ধি কি উচ্চৈঃস্বর করে না ? ২ সে পথের পার্শ্বস্থ উচ্চস্থানের চূড়ায়, মার্গ সকলের সংযোগস্থানে দাঁড়ায় : 533
পাতা:বাইবেল পুরাতন নিয়ম ও নতুন নিয়ম.djvu/৫৪৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।