*○; ミーネ8; & 1] ২ আর যদি তুমি উদরন্তরি হও, তবে আপনার গলায় আপনি ছুরি দিবে। ৩ তাহার সুস্বাদু খাদ্যে লালসা করিও নী, কারণ তাহা বঞ্চনার আহার। ৪ ধন সঞ্চয় করিতে অত্যন্ত যত্ন করিও না, তোমার নিজ বুদ্ধি হইতে ক্ষান্ত হও। ৫ তুমি কি ধনের দিকে চাহিতেছ? তাহ আর নাই ; কারণ ঈগল যেমন আকাশে উড়িয়া যায়, তেমনি ধন আপনার জন্ত নিশ্চয়ই পক্ষ প্রস্তুত করে। ৬ কুদৃষ্টিকারীর খাদ্য ভোজন করিও না, তাহার স্বস্বাদু ভক্ষ্যে লালসা করিও না ; ৭ কেননা সে অন্তরে যেমন ভাবে, নিজেও তেমনি : সে তোমাকে বলে, তুমি ভোজন পান কর, কিন্তু তাহার চিত্ত তোমার সহবত্তী নয়। ৮ তুমি যে গ্রাস খাইয়াছ, তাহ বমন করিবে, তোমার মধুর বাক্য হরাইবে । ৯ হীনবুদ্ধির কর্ণগোচরে কথা কহিও না, কেননা সে তোমার বাক্যের বিজ্ঞতা তুচ্ছ করবে। ১• সীমার পুরাতন চিহ্ন স্থানান্তর করিও না, পিতৃহীনদের ক্ষেত্রে প্রবেশ করিও না। ১১ কেননা তাহদের মুক্তিকৰ্ত্ত বলবান ; তিনি তোমার বিরুদ্ধে তাহীদের পক্ষ সমর্থন করিবেন। ১২ তুমি শাসনে মন দেও, জ্ঞানের কথায় কর্ণ দেও। ১৩ বালককে শাসন করিতে ক্রটি করিও না ; তুমি দণ্ড দ্বারা তাহকে মারিলে সে মরিবে না। ১৪ তুমি তাহাকে দণ্ড প্রহার করিবে, পাতাল হইতে তাহার প্রাণকে রক্ষা করিবে । ১৫ বৎস, তোমার চিত্ত যদি জ্ঞানশালী হয়, তবে আমারও চিত্ত আনন্দিত হইবে : ১৬ বাস্তবিক আমার চিত্ত উল্লাসিত হইবে। যখন তোমার ওষ্ঠ দ্যায়বাদী হয়, ১৭ তোমার মন পাপীদের প্রতি ঈর্ষা না করুক, কিন্তু তুমি সমস্ত দিন সদাপ্রভুর ভয়ে থাক । ১৮ কেনন। শেষ ফল অবশ্য আছে, তোমার আশা ছিন্ন হইবে না। ১৯ বৎস, তুমি শুন, জ্ঞানবান হও, তোমার হৃদয় সৎপথে চালাও । ২০ মদ্যপায়ীদের সঙ্গী হইও না, পেটুক মাংসভোক্তাদের সঙ্গী হইও না ; ২১ কারণ মদ্যপায়ী ও পেটুকের দৈন্তদশ ঘটে, এবং দুলু ঢুলু ভাব মনুষ্যকে নেক্ৰড়া পরায়। ২২ তোমার জন্মদাত৷ পিতার কথা শুন, তোমার মাত বৃদ্ধ হইলে তাহাকে তুচ্ছ করিও না। о. т. 35 ) হিতোপদেশ । G. 3 G ২৩ সত্য ক্রয় কর, বিক্রয় করিও না ; প্রজ্ঞা, শাসন ও স্ববিবেচনা [ক্রয় কর] । ২৪ ধাৰ্ম্মিকের পিতা মহা-উল্লাসিত হন, জ্ঞানবানের জন্মদাতা তাঁহাতে আনন্দ করেন। ২৫ তোমার পিতামাত। তাহলাদিত হউন, তোমার জননী উল্লাসিত হউন। ২৬ হে বৎস, তোমার হৃদয় আমাকে দেও, তোমার চক্ষু আমার পথসমূহে প্রীত হউক। ২৭ কেননা বেষ্ঠ গভীর খাত, বিজাতীয় স্ত্রী সঙ্কীর্ণ কূপ। ২৮ সে দস্থ্যর স্থায় ঘাটি বসায়, মনুষ্যদের মধ্যে বিশ্বাসঘাতক দলের বৃদ্ধি করে । बङ्ग]१fiटनब्र श्रव्न् । ২৯ কে হায় হায় বলে ? কে হাহাকার করে ? কে বিবাদ করে ? কে বিলাপ করে ? কে অকারণ আঘাত পায় ? কাহার চক্ষু লাল হয় ? ৩০ যাহারা দ্রাক্ষরসের নিকটে বহুকাল থাকে, যাহার স্বরার সন্ধানে যায় । ৩১ দ্রাক্ষরসের প্রতি দৃষ্টি করিও না, যদিও উহ রক্তবর্ণ, যদিও উহ! পাত্রে চকমক করে, যদিও উহা সহজে গলায় নামিয়া যায় ; ৩২ অবশেষে উহা সপের ন্তায় কামড়ায়, বিষধরের দ্যায় দংশন করে। ৩৩ তোমার চক্ষু পরকীয়াদিগকে দেখিবে, তোমার চিত্ত কুটিল কথা কহিবে : ৩৪ তুমি তাহার তুল্য হইবে, যে সমুদ্রের মধ্যস্থলে শয়ন করে, যে মাস্তলের উপরে শয়ন করে। ৩৫ [তুমি বলিবে, লোকে আমাকে মারিয়ছে, কিন্তু আমি ব্যথা পাই নাই ; তাহার। আমাকে প্রহর করিয়াছে, কিন্তু আমি টের পাই নাই । আমি কখন জাগ্রৎ হইব ? আবার তাহার অন্বেষণ করিব । নানা হিতোপদেশ । ૨8 তুমি দুবৃত্তদের উপরে ঈর্ষা করিও না, তাহীদের সঙ্গে থাকিতেও বাসনা করিও না ; ২ কেননা তাহদের চিত্ত অপহারের কল্পনা করে, তাহীদের ওষ্ঠাধর অনিষ্ট্রের কথা কহে । ৩ প্রজ্ঞ দ্বারা গৃহ নিৰ্ম্মিত হয়, আর বুদ্ধি দ্বারা তাহ স্থিরীকৃত হয় ; ৪ জ্ঞান দ্বারা কুঠরী সকল পরিপূর্ণ হয়, বহুমূল্য ও মনোরম্য সমস্ত দ্রব্যে । ৫ জ্ঞানবান লোক বলবানু, বিদ্বান পরাক্রমে বৃদ্ধি পায় । 545
পাতা:বাইবেল পুরাতন নিয়ম ও নতুন নিয়ম.djvu/৫৫৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।