8 જ ; ૨૯ - ઉ ૪ ; જે I ] ২৫ সদাপ্রভু এই কথা কহেন অবগু বীরের বন্দিগণকে হরণ করা যাইবে, ও ভীমবিক্রাস্তের ধুত প্রাণীকে মুক্ত করা যাইবে ; কারণ তোমার প্রতিবাদীর সহিত আমিই বিবাদ করিব, আর তোমার সন্তানদিগকে ২৬ আমিই ত্রাণ করিব। আর আমি তোমার উপদ্রবকারিগণকে তাহীদেরই মাংস ভোজন করাইব ; তাহারা নূতন দ্রাক্ষরসের স্থায় আপন আপন রক্তে মত্ত হইবে ; আর মর্ত্যমাত্র জানিতে পারিবে যে, আমিই সদাপ্রভু তোমার ত্রাণকৰ্ত্ত, তোমার মুক্তিদাতা, যাকোবের একবীর। (to of এই কথা কহেন, আমি যে পত্র দ্বার তোমাদের মাতাকে ত্যাগ করিয়াছি, তাহার সেই ত্যাগপত্র কোথায় ? কিম্বা আমার মহাজনদের মধ্যে কাহার কাছে তোমাদিগকে বিক্রয় করিয়াছি ? দেখ, তোমাদের অপরাধ প্রযুক্ত তোমরা বিক্রীত হইয়াছ | এবং তোমাদের অধৰ্ম্ম প্রযুক্ত তোমাদের মাত ত্যক্ত ২ হইয়াছে । আমি আসিলে কেহ উপস্থিত হইল না কেন ? আমি ডাকিলে কেহ উত্তর দিল না কেন ? আমার হস্ত কি এমন খাট হইয়াছে যে, আমি মুক্ত করিতে পারি না ? অামার কি উদ্ধার করিবার ক্ষমতা নাই ? দেখ, আমি ধমকে সমুদ্র শুষ্ক করি, নদনদী প্রান্তরে পরিণত করি, তথাকার মৎস্যগণ জলাভাবে ৩ দুৰ্গন্ধ হয়, পিপাসায় মারা পড়ে। আমি আকাশo কালিম পরাই, ও চট তাহার আচ্ছাদন করি । সদাপ্রভুর দাসের ধৈর্য্য। ৪ প্রভু সদাপ্রভু আমাকে শিক্ষাগ্রাহীদের জিহা দিয়াছেন, যেন আমি বুঝিতে পারি,কিরূপে ক্লান্ত লোককে বাক্য দ্বার স্বস্থির করিতে হয়; তিনি প্রভাতে প্রভাতে জাগরিত করেন, আমার কর্ণ জাগরিত করেন, যেন ও আমি শিক্ষাগ্রাহীদের স্থায় শুনিতে পাই। প্রভু সদাপ্রভু আমার কর্ণ খুলিয়াছেন, এবং আমি বিরুদ্ধা৬ চারী হই নাই, পরায়ুখ হই নাই। আমি প্রহারকদের প্রতি আপন পৃষ্ঠ, যাহার দাড়ি উপড়াইয়াছে, তাহীদের প্রতি আপন গাল পাতিয়া দিলাম, অপমান ও খুথু ৭ হইতে আপন মুখ আচ্ছাদন করিলাম না। কারণ প্রভু সদাপ্রভু আমার সাহায্য করবেন, সেই জন্ত আমি বিহ্বল হই নাই, সেই জন্ত চকমকি পাথরের স্থায় আপন মুখ স্থাপন করিয়াছি, এবং আমি জানি ৮ যে, লজ্জিত হইব না। যিনি আমাকে ধাৰ্ম্মিক করেন, তিনি নিকটবৰ্ত্তী ; কে আমার সহিত বিবাদ করিবে ? আইস, আমরা একত্র দাড়াই ; কে আমার প্রতিবাদী ? ১ সে আমার নিকটে আইম্বক। দেখ, প্ৰভু সদাপ্ৰভু আমার সাহায্য করিবেন, কে আমাকে দোষী করিবে ? দেখ, তাহার। সকলে বস্ত্রের স্থায় জীর্ণ হইবে, কীটে তাহাদিগকে ভক্ষণ করিবে । ১• তোমাদের মধ্যে এমন কে আছে, যে সদাপ্রভুকে যিশাইয়। G ఎఫె ভয় করে, যে তাহীর দাসের রবে কর্ণপাত করে ? যে অন্ধকারে চলে, যাহার দীপ্তি নাই, সে সদাপ্রভুর নামে ১১ বিশ্বাস করুক, আপন ঈশ্বরে নির্ভর দিউক । দেখ, অগ্নি জ্বালাইতেছ ও শিখামণ্ডলে আপনাদিগকে বেষ্টন করিতেছ যে তোমরা, তোমরা সকলে আপনাদের অগ্নির আলোকে ও আপনাদের প্রজ্বলিত শিখামওলে গমন কর । আমার হস্তে এই ফল পাইবে, তোমরা দুঃখে শয়ন করিবে। ইস্রায়েলের প্রতি সাত্বনাবাক্য । (S তোমরা, যাহার। ধাৰ্ম্মিকতার অনুগামী, যাহার। সদাপ্রভুর অন্বেষণ করিতেছ, তোমরা আমার বাক্যে কর্ণপাত কর ; তোমরা যে শৈল হইতে তক্ষিত ও যে কুপের ছিদ্র হইতে খনিত হইয়াছ, তাহার প্রতি ২ দৃষ্টি কর । তোমাদের পিতা অব্রাহাম ও তোমাদের প্রসবকারিণী সারার প্রতি দৃষ্টি কর । ফলতঃ যখন সে একাকী ছিল, তখন আমি তাহাকে ডাকিয় আশীৰ্ব্বাদ৩ যুক্ত ও বহুবংশ করিলাম। বস্তুতঃ সদাপ্রভু সিয়োনকে সাস্তুনা করিয়াছেন, তিনি তাহার সমস্ত উৎসন্ন স্থানকে সত্ত্বন করিয়াছেন, এবং তাঁহার প্রান্তরকে এদনের স্থায়, ও তাহার শুষ্ক ভূমিকে সদাপ্রভুর উদ্যানের স্থায় করিয়াছেন ; তাহার মধ্যে আমোদ ও আনন্দ, স্তবগান ও সঙ্গীতের ধ্বনি পাওয়া যাইবে । ৪ হে আমার প্রজাগণ, আমার বাক্যে অবধান কর; হে আমার জনবৃন্দ, আমার বচনে কর্ণপাত কর : কেননা আম৷ হইতে ব্যবস্থা নির্গত হইবে, আমি জাতিগণের দীপ্তির জন্ত আপন বিচার স্থাপন করিব । ৫ আমার ধৰ্ম্মশীলতা নিকটবৰ্ত্তী, আমার পরিত্রাণ নির্গত হইল, এবং আমার বাহু জাতিগণের বিচার নিম্পন্ন করিবে : উপকূল সকল আমারই অপেক্ষায় থাকিবে, ৬ ও আমার বাহুতে প্রত্যাশী রাখিবে । তোমরা আকাশমণ্ডলের প্রতি চক্ষু তুলিয়া দৃষ্টিপাত কর, অধঃস্থিত ভূমণ্ডলও নিরীক্ষণ কর ; কেননা আকাশমণ্ডল ধূমের স্থায় অন্তহিত হইবে, ভূমণ্ডল বস্ত্রের স্থায় জীর্ণ হইবে, এবং তন্নিবাসিগণ সেইরূপে মারা পড়িবে ; কিন্তু আমার পরিত্রাণ অনন্তকাল থাকিবে, আমার ধৰ্ম্মশীলতা বিনষ্ট হইবে না । ৭ তোমরা যাহারা ধাৰ্ম্মিকতা জান, যে লোকদের অন্তরে আমার ব্যবস্থা আছে, তোমরা আমার বাক্যে কর্ণপাত কর ; মর্ত্যের টিটুকরিতে ভয় করিও না, ৮ তাহাদের বিদ্রুপে উদ্বিগ্ন হইও না । কেননা কীটে তাহাদিগকে বস্ত্রের স্থায় খাইয়া ফেলিবে, ও কুমির তাহাদিগকে মেষলোমের ছায় খাইয়া ফেলিবে ; কিন্তু আমার ধৰ্ম্মশীলত। অনন্তকাল ও আমার পরিত্রাণ পুরুষানুক্রমে থাকিবে । ৯ জাগ, জাগ, বল পরিধান কর, হে সদাপ্রভুর বাহু : জাগ, যেমন পূর্বকালে, সেকালের পুরুষে পুরুষে জাগিয়াছিলে, 5.99
পাতা:বাইবেল পুরাতন নিয়ম ও নতুন নিয়ম.djvu/৬০৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।