৫ ; ৫ – ৩ : ১১ ৷ ] রাজ তাহাদিগকে কহিলেন, ওহে মোশি ও হারেীণ, তোমরা লোকদিগকে কেন তাহীদের কার্য্য হইতে নিবৃত্ত কর । যাও, তোমাদের ভার বহন কর গিয়া । ৫ ফরেীণ আরও কহিলেন, দেখ, দেশের লোক এখন অনেক, আর তোমরা তাহাদিগকে ভার বহন হইতে নিবৃত্ত করিতেছ। ৬ অার ফরেীণ সেই দিন লোকদের কার্য্যশাসক ও ৭ অধ্যক্ষগণকে এই আজ্ঞা দিলেন, তোমরা ইষ্টক নিৰ্ম্মাণার্থে পূর্বের মত এই লোকদিগকে আর পলাল দিও না ; তাহারা গিয়া আপনারাই আপনাদের ৮ পলাল সংগ্রহ করুক। কিন্তু পূৰ্ব্বে তাহদের যত ইষ্টক নিৰ্ম্মাণের ভার ছিল, এখনও সেই ভার দেও : তাহার কিছুই কম করিও না ; কেনন তাহারা অলস, এই জন্য ক্ৰন্দন করিয়া বলিতেছে, আমরা আপনাদের ঈশ্বরের উদেশে যজ্ঞ করিতে যাই । ৯ সেই লোকদের উপরে আরও কঠিন কাৰ্য্য চাপান হউক, তাহার। তাহাতেই ব্যস্ত থাকুক, এবং মিথ্য কথায় অবধান না করুক । আর লোকদের কার্য্যশাসকের ও অধ্যক্ষের বাহিরে গিয় তাহাদিগকে কহিল, ফরেীণ এই কথা ১১ কহেন, আমি তোমাদিগকে পলাল দিব না। আপনারা যেখানে পাও, সেইখানে গিয়া পলাল সংগ্ৰহ কর । কিন্তু তোমাদের কার্য্য কিছুই কম হুইবে না। ১২ তাহাতে লোকের পলালের চেষ্টায় নাড়া সংগ্ৰহ ১৩ করিতে সমস্ত মিসর দেশে ছড়াইয়। পড়িল। আর কাৰ্য্যশাসকের ত্বর করাইয়া কহিল, পলাল পাইলে যেমন করিতে, তদ্রুপ এখনও তোমাদের কার্য্য, নিরূ১৪ পিত দৈবসিক কৰ্ম্ম, প্রতিদিন সম্পূর্ণ কর। আর ফরেীণের কার্য্যশাসকের ইস্রায়েল-সন্তানদের যে অধ্যক্ষদিগকে তাহদের উপরে রাখিয়াছিল, তাহারাও প্ৰহারিত হইল,আর বলিয়াদেওয়া হইল, তোমরা পূবেবর হ্যায় ইষ্টক গঠন বিষয়ে নিরূপিত কৰ্ম্ম আজিকাল ১৫ কেন সম্পূর্ণ কর না ? তাহাতে ইস্রায়েল-সন্তানদের অধ্যক্ষের আসিয়া ফরোণের নিকটে ক্রন্দন করিয়া কহিল, আপনকার দাসদের সহিত আপনি ১৬ এমন ব্যবহার কেন করিতেছেন ? লোকের। আপনকার দাসদিগকে পলাল দেয় না, তথাপি আমাদিগকে বলে, ইষ্টক নিৰ্ম্মাণ কর ; আর দেখুন, আপনকার এই দাসের প্রহরিত হয়, কিন্তু ১৭ আপনকারই লোকদের দোষ। ফরেীণ কহিলেন, তোমরা অলস, তোমরা অলস, তাই বলিতেছ, আমরা ১৮ সদাপ্রভুর উদ্দেশে যজ্ঞ করিতে যাই। এখন যাও, কৰ্ম্ম কর, তোমাদিগকে পলাল দেওয়া যাইবে না, ১৯ তথাপি ইষ্টকের পূর্ণ সংখ্যা দিতে হইবে। তখন ইস্রায়েল-সন্তানদের অধ্যক্ষেরা দেখিল, তাহার বিপাকে পড়িয়াছে, কারণ বলা হইয়াছিল, তোমরা প্রত্যেক দিনের কায্যের, নিরূপিত ইষ্টকের, কিছু কম করিতে পাইবে না। ) o যাত্রীপুস্তক । G 2 পরে ফরেীণের নিকট হইতে বহির হইয়া আলিবার সময়ে তাহার মেশির ও হারোণের সাক্ষাৎ পাইল, তাহারা পথে দাড়াইয়াছিলেন। তাহার। তাহাদিগকে কহিল, সদাপ্রভু তোমাদের প্রতি দৃষ্টি করিয়া বিচার করুন, কেননা তোমরা ফরেণের দৃষ্টিতে ও তাহার দাসগণের দৃষ্টিত আমাদিগকে দুৰ্গন্ধস্বরূপ করিয়৷ আমাদের প্রাণনাশীর্থে তাহীদের হস্তে খড়গ দিয়াছ । পরে মোশি সদাপ্রভুর কাছে ফিরিয়া গিয় তাহাকে কহিলেন, হে প্রভু, তুমি এই লোকদিগের অম২৩ অল কেন করিলে ? আমাকে কেন পাঠাইলে ? যে অবধি আমি তোমার নামে কথা কহিতে ফরেণের কাছে উপস্থিত হইয়াছি, সেই অবধি তিনি এই লোকদের অমঙ্গল করিতেছেন, আর তুমি আপন ২ e RS R W。 প্রজাদের উদ্ধার কিছুই কর নাই। তখন সদাপ্রভু মোশিকে কহিলেন, আমি ফরেীণের প্রতি যাহ। করিব, তাহা তুমি এখন দেখিবে ; কেননা পরাক্রান্ত হস্ত দেখান হইলে সে লোকদিগকে ছাড়িয়া দিবে, এবং পরাক্রান্ত হস্ত দেখান হইলে তাপন দেশ হইতে তাহাদিগকে দূর করিয়া দিবে। ২ ঈশ্বর মোশির সহিত আলাপ করিয়া আরও ৩ কহিলেন, আমি যিহেব। [সদাপ্রভু ; আমি অব্রাহামকে, ইসহাককে ও যাকোবকে 'সৰ্ব্বশক্তিমান ঈশ্বর বলিয়া দর্শন দিতাম, কিন্তু আমার যিহেব। [সদাপ্রভু) নাম লইয়। তাহাদিগকে আমার পরিচয় ৪ দিতাম না । আর আমি তাহীদের সহিত এই নিয়ম স্থির করিয়াছি, আমি তাহাদিগকে কনান দেশ দিব, যে দেশে তাহার প্রবাস করিত, তাহীদের সেই ৫ প্রবাস-দেশ দিব । অধিকন্তু মিশ্রীয়দের দ্বারা দাসত্বে নিযুক্ত ইস্রায়েল-সন্তানদের কাতরোক্তি শুনিয়া আমার ৬ সেই নিয়ম স্মরণ করিলাম। অতএব ইস্রায়েল-সন্তানদিগকে বল, আমি যিহোবা, আমি তোমাদিগকে মিস্ট্রীয়দের ভরের নীচে হইতে বাহির করিয়৷ আনিব, ও তাহদের দাসত্ব হইতে উদ্ধার করিব, এবং প্রসারিত বাহু ও মহৎ শাসন দ্বারা তোমাদিগকে ৭ মুক্ত করিব। আর আমি তোমাদিগকে আপন প্রজারূপে গ্রাহ করিব, ও তোমাদের ঈশ্বর হইব ; তাহীতে তোমরা জানিতে পারবে যে, আমি যিহেব, তোমাদের ঈশ্বর, যিনি তোমাদিগকে মিশ্রীয়দের ভারের নীচে হইতে বাহির করিয়া আনিতেছেন । ৮ আর আমি অব্রাহীমকে, ইসহাককে ও যাকোবকে দিবার জন্ত যে দেশের বিষয়ে হস্ত উঠাইয়াছি, সেই দেশে তোমাদিগকে লইয়া যাইব, ও তোমাদের অধি৯ কারার্থে তাহ দিব ; আমিই সদাপ্রভু। পরে মোশি ইস্রায়েল-সন্তানদিগকে তদনুসারে কহিলেন, কিন্তু তাহারা মনের অধৈৰ্য্য ও কঠিন দাস্তকৰ্ম্ম হেতু মোশির বাক্যে মনোযোগ করিল না । ১•,১১ পরে সদাপ্রভু মেশিকে কহিলেন, তুমি যাও, মিসর-রাজ ফরেীণকে বল, যেন সে অপেন দেশ 51
পাতা:বাইবেল পুরাতন নিয়ম ও নতুন নিয়ম.djvu/৬১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।