৩ ৩ ৩ ২১ বালক ও বৃদ্ধ পথে পথে তুমিতে পড়িয়া আছে, আমার কুমারীগণ ও আমার যুবকগণ খড়ো পত্তিত হইয়াছে : তুমি আপন ক্রোধের দিনে তাহাদিগকে বধ করিয়াছ ; তুমি হত্যা করিয়াছ, দয়া কর নাই। ২২ জুমি চারিদিক্ হইতে আমার ত্রাস সকলকে পৰ্ব্ব দিনের দ্যায় আহবান করিয়ছ ; সদাপ্রভুর ক্রোধের দিনে উত্তীর্ণ কি রক্ষাপ্রাপ্ত কেহ রহিল নী : জামি যাহাদিগকে দোলাইতাম ও ভরণ পোষণ করিতাম, আমার শত্রু তাহাদিগকে সংহার করিয়াছে । ভক্তের দুঃখ ও বিশ্বাস। ৩ আমি সেই ব্যক্তি, যে তাহার ক্রোধের দণ্ডধটিত দুঃখ দেখিয়াছে । ২ আমাকে তিনি চালাইয়াছেন, আর গমন করাইয়াছেন অন্ধকারে, আলোকে নয় । ও সত্যই আমার বিরুদ্ধে তিনি আপন হন্ত ফিরান ; সমস্ত দিন পুনঃ পুনঃ ফিরান । ৪ তিনি আমার মাংস ও চৰ্ম্ম জীর্ণ করিয়াছেন ; আমার অস্থি সকল ভগ্ন করিয়াছেন । ৫ তিনি আমাকে অবরোধ করিয়াছেন, এবং বিষ ও শ্রান্তি দ্বারা আমাকে বেষ্টিত করিয়াছেন : ৬ তিনি আমাকে অন্ধকারে বাস করাইয়াছেন, বহুকালের মৃতদের সদৃশ করিয়াছেন। ৭ তিনি আমার চারিদিকে বেড়া দিয়াছেন, আমি বাহির হইতে পারি না ; তিনি আমার শৃঙ্খল ভারী করিয়াছেন । ৮ আমি যখন ক্ৰন্দন ও আর্তনাদ করি, তিনি আমার প্রার্থনা অগ্রাহ করেন। ৯ তিনি ক্ষোদিত প্রস্তর দ্বার। আমার পথ সকল রোধ করিয়াছেন, তিনি আমার মার্গ সকল বক্র করিয়াছেন। ১• তিনি আমার পক্ষে লুক্কায়িত ভল্লুক বা অন্তরালে গুপ্ত সিংহম্বরূপ । ১১ তিনি আমার পথ বিপথ করিয়াছেন, আমাকে খণ্ড বিখণ্ড করিয়াছেন, অনাথ করিয়াছেন। ১২ তিনি আপন ধনুকে চাড়। দিয়৷ আমাকে বাণের লক্ষ্য করিয়। রাখিয়াছেন। ১৩ তিনি আপন তুণের বাণ আমার মৰ্ম্মে প্রবেশ করাইয়াছেন । ১৪ আমি হইয়াছি স্বজাতীয় সকলের উপহাসের বিষয়, সমস্ত দিন তাহাদের গানের বিষয় । ১৫ তিনি আমাকে তিক্ততায় পূর্ণ করিয়াছেন, আমাকে লাগদানায় পুরিত করিয়াছেন । বিলাপ । [ * ; ) = రి ; రిసె ! ১৬ তিনি কঙ্কর দ্বারা আমার দন্ত ভাঙ্গিয়াছেন, আমাকে ভস্মে আচ্ছাদন করিয়াছেন । ১৭ তুমি আমার প্রাণ শাস্তি হইতে দূর করিয়াছ ; আমি মঙ্গল ভুলিয়া গিয়াছি। ১৮ আমি কহিলাম, আমার বল ও সদ্ধাপ্রভুতে আমার প্রত্যাশা নষ্ট হইয়াছে । ১৯ স্মরণ কর আমার দুঃখ ও আমার দুর্দশ, নাগদান ও বিষ । ২• আমার প্রাণ নিত্য তাহ৷ স্মরণে রাখিতেছে, আমার অন্তরে অবসন্ন হইতেছে । ২১ আমি পুনর্ববার ইহা মনে করি, তাই আমার প্রত্যাশা আছে । ২২ সঙ্গাপ্রভুর বিবিধ দয়ার গুণে আমরা নষ্ট হই নাই ; কেনন। তাহার বিবিধ করুণ। শেষ হয় নাই । ২৩ নুতন নুতন করুণ। প্রতি প্ৰভাতে তোমার বিশ্বস্তত अश९ ॥ ২৪ আমার প্রাণ বলে, সদাপ্রভুই আমার অধিকার : এই জন্ত আমি তাহতে প্রত্যাশা করিব । ২৫ সদাপ্রভু মঙ্গলস্বরূপ, তাহীর আকাঙ্ক্ষীদের পক্ষে, তাহার অন্বেষী প্রাণের পক্ষে । ২৬ সদাপ্রভুর পরিত্রাণের প্রত্যাশ করা, নীরবে অপেক্ষা কর, হহাহ মঙ্গল । ২৭ ীেবনকালে ধোয়ালি বহন করা মানুষের মঙ্গল ২৮ সে একাকী বহক, নীরব থাকুক, কারণ তিনি তাহার স্কন্ধে { যেtয়ালি ] রাখিয়াছেন। ২৯ সে খুলতে মুখ দিউৰু, তৰে প্ৰত্যাশা হইলে হইতে পারে । - ৩০ সে আপন প্রহরকের কাছে গাল পাতিয়া দিউক অপমানে পরিপূর্ণ হউক। ৩১ কেননা প্রভু চিরতরে পরিত্যাগ করবেন না। ৩২ ঘন্যপি মনস্তাপ দেন, তথাপি আগন প্রচুর দয়ানুসারে করুণ। কারবেন । ৩৩ কেনন। তিনি অন্তরের সহিত দুঃখ দেন না, মনুষ্যসন্তানগণকে শোকার্ত করেন না । ৩৪ লোকে যে পৃথিবীর বন্দি সকলকে পদতলে দলিত করে, ৩৫ পরাৎপরের সম্মুখে মনুষ্যের প্রতি অন্যায় করে, ৩৬ কাহারও বিবাদের অযথার্থ নিম্পত্তি করে, তাহ প্ৰভু দেখিতে পারেন না । ৩৭ প্রভু আজ্ঞ না করিলে কাহার বাক্য সিদ্ধ হইতে পারে ? ৩৮ পরাৎপরের মুখ হইতে কি বিপদ ও সম্পদ দুই বাহির হয় না 7 ৩৯ জীবিত মনুষ্য কেন আক্ষেপ করে, প্রত্যেক ব্যক্তি আপন পাপের দণ্ডের জন্ত । 666
পাতা:বাইবেল পুরাতন নিয়ম ও নতুন নিয়ম.djvu/৬৭৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।