* 8 করিলেন, আপনি কি জষ্ঠ দৃষ্টান্ত দ্বারা উহাদের ১১ নিকটে কথা কহিতেছেন ? তিনি উত্তর করিয়া কহিলেন, স্বৰ্গ-রাজ্যের নিগুঢ় তত্ত্ব সকল তোমাদিগকে জানিতে দেওয়া হইয়াছে, কিন্তু তাহাদিগকে ১২ দেওয়া হয় নাই। কেনন। যাহার আছে, তাহাকে দেওয়া যাইবে, ও তাহার বাহুল্য হইবে ; কিন্তু যাহার নাই, তাহার যাহা আছে, তাহাও তাহার ১৩ নিকট হইতে লওয়া যাইবে । এই জন্য আমি তাহাদিগকে দৃষ্টান্ত দ্বারা কথা বলিতেছি, কারণ তাহার দেখিয়াও দেখে না, শুনিয়াও শুনে না, এবং বুঝেও ১৪ না। আর তাহদের সম্বন্ধে যিশাইয়ের এই ভাববাণী পূর্ণ হইতেছে, “তোমরা শ্রবণে শুনিবে, কিন্তু বুঝিবে না ; আর দৃষ্টিতে দেখিবে, কিন্তু কোন মতে জানিবে না ; কেনন। এই লোকদের হৃদয় অসাড় হইয়াছে, শুনিতে তাহদের কর্ণ ভারী হইয়াছে, ও তাহার চক্ষু মুদ্রিত করিয়াছে, পাছে তাহার। চক্ষে দেখে, আর কর্ণে শুনে, হৃদয়ে বুঝে, এবং ফিরিয়া তাইসে, আর আমি তাহাদিগকে সুস্থ করি।” * ১৬ কিন্তু ধন্য তোমাদের চক্ষু, কেননা তাহ দেখে, ১৭ এবং তোমাদের কর্ণ, কেননা তাহা শুনে ; কারণ আমি তোমাদিগকে সত্য বলিতেছি, তোমরা যাহা যাহা দেখিতেছ, তাহ অনেক ভাববাদী ও ধাৰ্ম্মিক লোক দেখিতে বাঞ্ছা করিয়াও দেখিতে পান নাই ; এবং তোমরা যাহা যাহা শুনিতেছ, তাহ তাহার। শুনিতে বাঞ্ছা করিয়াও শুনিতে পান নাই । ১৮,১৯ অতএব তোমরা বীজবাপকের দৃষ্টান্ত শুন । যখন কেহ সেই রাজ্যের বাক্য শুনিয়া না বুঝে, তখন সেই পাপাত্মা আসিয়া, তাহার হৃদয়ে যাহা বপন করা হইয়াছিল, তাহ হরণ করিয়া লয় ; এ সেই, ২০ ষে পথের পাশ্বে উপ্ত। আর ষে পাষাণময় ভূমিতে উপ্ত, এ সেই, যে সেই বাক্য শুনিয়া অমনি আনন্দ পুৰ্ব্বক গ্রহণ করে, কিন্তু তাহার অন্তরে মূল নাই, ২১ সে অল্প কালমাত্র স্থির থাকে ; পরে সেই বাক্য হেতু ক্লেশ কিম্বা তাড়ন ঘটিলে সে অমনি বিঘ্ন পায় । ২২ আর যে কাটাবনের মধ্যে উপ্ত, এ সেই, যে সেই বাক্য শুনে, আর সংসারের চিন্তা ও ধনের মায়। সেই ২৩ বাক্য চাপিয়া রাখে, তাহাতে সে ফলহীন হয় । আর যে উত্তম ভূমিতে উপ্ত, এ সেই, যে সেই বাক্য শুনিয় তাহা বুঝে, সে বাস্তবিক ফলবান হয়, এবং কতক শত গুণ, কতক ষষ্টি গুণ, ও কতক ত্রিশ গুণ ফল দেয় । কোন মতে y & শ্যামাম্বাসের দ্বষ্টান্ত । পরে তিনি তাহীদের কাছে আর এক দৃষ্টান্ত উপস্থিত করিলেন, কহিলেন, স্বৰ্গ-রাজ্যকে এমন এক
- যিশপইয় ৬ ৯.১০ ।
8 মথি । ( ) లి ; ) -రిసి ! ব্যক্তির সহিত তুলনা করা যায়, যিনি আপন ক্ষেত্রে ২৫ ভাল বীজ বপন করিলেন । কিন্তু লোকে নিদ্রা গেলে পর তাহার শক্র আসিয়া ঐ গোমের মধ্যে শ্যামাঘাসের ২৬ বীজ বপন করিয়া চলিয়া গেল। পরে যখন বীজ অঙ্কুরিত হইয় ফল দিল, তখন শ্যামাঘাসও প্রকাশ ২৭ হইয় পড়িল । তাহাতে সেই গৃহকর্তার দাসের আসিয়া তাহাকে কহিল, মহাশয়, আপনি কি নিজ ক্ষেত্রে ভাল বীজ বুনেন নাই ? তবে শ্যামাম্বাস কোথ৷ ২৮ হইতে হইল ? তিনি তাহাদিগকে কহিলেন, কোন শত্রু ইহা করিয়াছে। দাসের তাহাকে কহিল, তবে আপনি কি এমন ইচ্ছা করেন যে, আমরা গিয়া ২৯ তাহ সংগ্ৰহ করি ? তিনি কহিলেন, না, কি জানি, শ্যামাঘাস সংগ্ৰহ করিবার সময় তোমরা তাহার ৩• সহিত গোমও উপড়াইয়া ফেলিবে । শস্যচ্ছেদনের সময় পর্যন্ত উভয়কে একত্র বাড়িতে দেও। পরে ছেদনের সময় আমি ছেদকদিগকে বলিব, তোমরা প্রথমে শ্যামাঘাস সংগ্ৰহ করিয়৷ পোড়াইবার জন্য বোঝা বোঝা বধিয়া রাখ, কিন্তু গোম আমার গোলায় সংগ্ৰহ কর । সরিষা-দানায় ও তাড়ীর দৃষ্টান্ত । তিনি আর এক দৃষ্টান্ত তাহদের কাছে উপস্থিত করিলেন, কহিলেন, স্বৰ্গ-রাজ্য এমন একটা সরিষাদানার তুল্য, যাহা কোন ব্যক্তি লইয়া আপন ক্ষেত্রে ৩২ বপন করিল। সকল বীজের মধ্যে ঐ বীজ অতি ক্ষুদ্র ; কিন্তু বাড়িয়া উঠিলে পর তাহ শাক হইতে বড় হয়, এবং এমন বৃক্ষ হইয়া উঠে যে, আকাশের পক্ষিগণ আসিয়া তাহার শাখায় বাস করে । তিনি তাহাদিগকে আর এক দৃষ্টান্ত কহিলেন, স্বৰ্গ-রাজ্য এমন তাড়ীর তুল্য, যাহা কোন স্ত্রীলোক লইয়া তিন মান ময়দার মধ্যে ঢাকিয়া রাখিল, শেষে সমস্তই তাড়াময় হইয়া উঠিল । এই সমস্ত কথা যীশু দৃষ্টান্ত দ্বারা লোকসমূহকে কহিলেন, দৃষ্টান্ত ব্যতিরেকে তাহাদিগকে কিছুই ৩৫ কহিলেন না ; যেন ভাববাদী দ্বারা কথিত এই বচন পুর্ণ হয়, “আমি দৃষ্টান্ত কথায় আপন মুখ খুলিব, জগতের পত্তনাবধি যাহা যাহা গুপ্ত আছে, সে সকল ব্যক্ত করিব।” * শ্যামাম্বাসের দৃষ্টান্তের তাৎপর্য । তখন তিনি লোকসমূহকে বিদায় করিয়া গুহে আসিলেন। আর তাহার শিষ্যগণ নিকটে আসিয়া তাহাকে কহিলেন, ক্ষেত্রের শ্যামাঘাসের দৃষ্টান্তটা ও৭ আমাদিগকে স্পষ্ট করিয়া বলুন । তিনি উত্তর করিয়৷ কহিলেন, যিমি ভাল বীজ বপন করেন, তিনি ৩৮ মনুষ্যপুত্র। ক্ষেত্র জগৎ ; ভাল বীজ রাজ্যের সন্তান৩৯ গণ ; শ্যামাঘাস সেই পাপাত্মার সন্তানগণ ; যে শক্র তাহা বুনিয়াছিল, সে দিয়াবল ; ছেদনের সময়
- গীত ৭৮ ; ২ ।
○> vES \こ)8 ○も 14