পাতা:বাইবেল পুরাতন নিয়ম ও নতুন নিয়ম.djvu/৮৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

છે ૭ ২৬ আপনি এখানে কখন আসিয়াছেন ? যীশু তাহাদিগকে উত্তর করিয়া কহিলেন, সত্য, সত্য, আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, তোমরা চিহ্ন-কাৰ্য্য দেখিয়াছ বলিয়া আমার অন্বেষণ করিতেছ, তাহা নয় ; কিন্তু সেই রুট খাইয়া২৭ ছিলে ও তৃপ্ত হইয়াছিলে বলিয়। নম্বর ভক্ষ্যের নিমিত্ত শ্রম করিও না, কিন্তু সেই ভক্ষ্যের জন্য শ্রম কর, যাহা অনন্ত জীবন পয্যন্ত থাকে, যাহা মনুষ্যপুত্র তোমাদিগকে দিবেন, কেননা পিতা—ঈশ্বর—তাহাকেই ২৮ মুদ্রাঙ্কিত করিয়াছেন। তখন তাহারা তাহাকে কহিল, আমরা যেন ঈশ্বরের কার্য্য করিতে পারি, এ জন্য ২৯ আমাদিগকে কি করিতে হইবে ? যীশু উত্তর করিয়া তাহাদিগকে কহিলেন, ঈশ্বরের কার্য্য এই, যেন তাহাতে তোমরা বিশ্বাস কর, যাহাঁকে তিনি প্রেরণ করিয়া৩০ ছেন । তাহারা তাহাকে কহিল, ভাল, আপনি এমন কি চিহ্ন-কাৰ্য্য করিতেছেন, যাহা দেখিয় আমরা আপনাকে বিশ্বাস করিব ? আপনি কি কাৰ্য্য ৩১ করিতেছেন ? আমাদের পিতৃপুরুষের প্রান্তরে মান্ন। খাইয়াছিলেন, যেমন লেখা আছে, “ তিনি ভোজনের ৩২ জন্য তাহাদিগকে স্বৰ্গ হইতে খাদ্য দিলেন ।”ঙ্গ যীশু তাহাদিগকে কহিলেন, সত্য সত্য, আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, মোশি তোমাদিগকে স্বর্গ হইতে সেই খাদ্য দেন নাই, কিন্তু আমার পিতাই তোমাদিগকে স্বর্গ ৩৩ হইতে প্রকৃত খাদ্য দেন। কেননা ঈশ্বরীয় খাদ্য তাহাই, যাহা স্বগ হইতে নামিয়া আইসে, ও জগৎকে ৩৪ জীবন দান করে। তখন তাহারা তাহাকে কহিল, ৩৫ প্রভু, চিরকাল সেই খাদ্য আমাদিগকে দিউন। যীশু তাহাদিগকে বলিলেন, আমিই সেই জীবন-খাদ্য। যে ব্যক্তি আমার কাছে আইসে, সে ক্ষুধাৰ্ত্ত হইবে না, এবং যে আমাতে বিশ্বাস করে, সে তৃষ্ণাৰ্ত্ত হইবে না, ৩৬ কখনও না । কিন্তু আমি তোমাদিগকে বলিয়াছি যে, তোমরা আমাকে দেখিয়াছ, আর বিশ্বাস কর না । ৩৭ পিতা যে সমস্ত আমাকে দেন, সে সমস্ত আমারই কাছে আসিবে ; এবং যে আমার কাছে আসিবে, তাহাকে আমি কেন মতে বাহিরে ফেলিয়া দিব না । ৩৮ কেননা আমার ইচ্ছ। সাধন করিবার জন্য আমি স্বৰ্গ হইতে নামিয়া আসি নাই ; কিন্তু যিনি আমাকে পাঠাইয়াছেন, তাহারই ইচ্ছা সাধন করিবার জন্য । ৩৯ আর যিনি আমাকে পঠাইয়াছেন, তাহার ইচ্ছ। এই, তিনি আমাকে যে সমস্ত দিয়াছেন, তাহার কিছুই যেন না হারাই, কিন্তু শেষ দিনে যেন তাহ উঠাই । ৪• কারণ আমার পিতার ইচ্ছা এই, যে কেহ পুত্রকে দশন করে ও তাঁহাতে বিশ্বাস করে, সে যেন অনন্ত জীবন পায় ; আর আমিই তাহাকে শেষ দিনে উঠাইব । অতএব যিহুদীর। তাহার বিষয়ে বচসা করিতে লাগিল, কেনন। তিনি বলিয়াছিলেন, আমিই সেই ৪২ খাদা, যাহা স্বৰ্গ হইতে নামিয়া আসিয়াছে। তাহার | 8 ه ; ه و 5 fhو ا و د ,ى د ; به د Trg1 * 8 Y যোহন । لاوه-وه چ و ن ] বলিল, এ কি যোষেফের পুত্র সেই যীশু নয়, যাহার পিতা মাতাকে আমরা জানি ? এখন এ কেমন করিয়৷ se বলে, আমি স্বর্গ হইতে নামিয়া আসিয়াছি ? যীশু উত্তর করিয়া তাহাদিগকে কহিলেন, তোমরা পরস্পর ৪৪ বচসা করিও না । পিতা, যিনি আমাকে পাঠাইয়াছেন, তিনি আকর্ষণ না করিলে কেহ আমার কাছে আসিতে পারে না, আর আমি তাহাকে শেষ দিনে উঠাইব । ৪৫ ভাববাদিগণের গ্রন্থে লেখা আছে, “তাহারা সকলে ঈশ্বরের কাছে শিক্ষা পাইবে।” * যে কেহ পিতার নিকটে শুনিয়া শিক্ষ । পাইয়াছে, সেই আমার কাছে ৪৬ আইসে। কেহ যে পিতাকে দেখিয়াছে, তাহ নয় ; যিনি ঈশ্বর হইতে আসিয়াছেন, কেবল তিনিই পিতাকে ৪৭ দেখিয়াছেন। সত্য, সত্য, আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, যে বিশ্বাস করে, সে অনন্ত জীবন পাইয়াছে । ৪৮,৪৯ আমিই জীবন-খাদ্য । তোমাদের পিতৃপুরুষের প্রান্তরে মান্ন খাইয়াছিল, এবং তাহার। মরিয়৷ ৫০ গিয়াছে। এ সেই খাদ্য, যাহ। স্বর্গ হইতে নামিয়া ৫১ আইসে, যেন লোকে তাহ খায়, ও না মরে । আমিই সেই জীবন্ত খাদ্য, যাহা স্বৰ্গ হইতে নামিয়া আসিয়াছে। কেহ যদি এই খাদ্য খায়, তবে সে অনন্তকাল জীবিত থাকিবে, আর আমি যে খাদ্য দিব, সে আমার মাংস, জগতের জীবনের জন্য । অতএব যিহুদীরা পরস্পর বাগযুদ্ধ করিয়া বলিতে লাগিল, এ ব্যক্তি কেমন করিয়া আমাদিগকে ৫৩ ভোজনের জন্য আপনার মাংস দিতে পারে ? যীশু তাহাদিগকে কহিলেন, সত্য সত্য, আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, তোমরা যদি মনুষ্যপুত্রের মাংস ভোজন ও তাহার রক্ত পান না কর, তোমাদিগেতে জীবন নাই । ৫৪ যে আমার মাংস ভোজন ও আমার রক্ত পান করে, সে অনন্ত জীবন পাইয়াছে, এবং আমি তাহাকে শেষ ৫৫ দিনে উঠাইব । কারণ আমার মাংস প্রকৃত ভক্ষ্য, ৫৬ এবং আমার রক্ত প্রকৃত পেয় । যে আমার মাংস ভোজন ও আমার রক্ত পান করে, সে আমাতে থাকে, ৫৭ এবং আমি তাহাতে থাকি । যেমন জীবন্ত পিতা আমাকে প্রেরণ করিয়াছেন, এবং পিতা হেতু আমি জীবিত আছি, সেইরূপ যে কেহ আমাকে ভোজন ৫৮ করে, সেও আমা হেতু জীবিত থাকিবে । এ সেই খাদ্য, যাহা স্বৰ্গ হইতে নামিয়া আসিয়াছে ; পিতৃপুরুষেরা যেমন খাইয়াছিল, এবং মরিয়াছিল, সেইরূপ নয় ; এই খাদ্য যে ভোজন করে, সে অনন্তকাল জীবিত থাকিবে । ৫৯ এই সকল কথা তিনি কফরনাস্থমে উপদেশ দিবার ৬০ সময়ে সমাজ-গৃহে কহিলেন। তাহার শিষ্যদের মধ্যে অনেকে এ কথা শুনিয়া বলিল, এ কঠিন কথা, কে ৬১ ইহা শুনিতে পারে ? কিন্তু তাহার শিষ্যেরা এই বিষয়ে বচসা করিতেছে, যীশু তাহ অন্তরে জ্ঞাত হইয়া তাহাদিগকে বলিলেন, এই কথায় কি তোমাদের

  • যিশ ৫a ; 2 No 1 -

●く 96