রোমীয়দের প্রতি প্রেরিত পেলের পত্র। মঙ্গলাচরণ ও অভিাষ । S পোল, যীশু খ্ৰীষ্টের দাস, আহুত প্রেরিত, ঈশ্বরের হসমাচারের জন্ত পৃথককৃত— ২ যে সুসমাচার ঈশ্বর পবিত্র শাস্ত্রে আপন ভাববাদি৩ গণের দ্বার পূৰ্ব্বে প্রতিজ্ঞা করিয়াছিলেন ; তাহ। তাহার পুত্র বিষয়ক, যিনি মাংসের সম্বন্ধে দায়ুদের ৪ বংশজাত, যিনি পবিত্রতার আত্মার সম্বন্ধে মুতগণের পুনরুত্থান দ্বারা সপরাক্রমে ঈশ্বরের পুত্র বলিয়া ৫ নির্দিষ্ট ; তিনি যীশু খ্ৰীষ্ট, আমাদের প্রভু, যাহার দ্বারা আমরা তাহার নামের পক্ষে সকল জাতির মধ্যে বিশ্বাসের আজ্ঞাবহতার উদ্দেশে অনুগ্রহ ও ৬ প্রেরিতত্ব প্রাপ্ত হইয়াছি ; তাহীদের মধ্যে তোমরাও আছ, যীশু খ্ৰী.প্তর আহূত লোক— o রোমে ঈশ্বরের প্রিয় আহুত পবিত্র লোক যত আছেন, সেই সৰ্ব্বজন সমীপেষু । আমাদের পিত৷ ঈশ্বর ও প্রভু যীশু খ্ৰীষ্ট হইতে অনুগ্রহ ও শান্তি তোমাদের প্রতি বর্ভুক। ৮ প্রথম তঃ আমি যীশু খ্ৰীষ্ট দ্বারা তোমাদের সকলের জহু আমার ঈশ্বরের ধন্তবাদ করিতেছি যে, তোমাদের ৯ পিস্বাস সমস্ত জগতে পরিকীৰ্ত্তিত হইতেছে। কারণ ঈশ্বর যাহার আরাধন। আমি আপন আত্মাতে তাহার পুত্রের সুসমাচারে করিয়া থাকি, তিনি আমার সাক্ষী যে, আমি নিরন্তর তোমাদের নাম উল্লেখ করিয়া থাকি, ১. আমার প্রার্থণকালে আমি সৰ্ব্বদা যাঞ্জা করিয়া থাকি, যেন এত কালের পরে সম্প্রতি কোন প্রকারে ঈশ্বরের ইচ্ছায় তোমাদর নিকটে যাইবার বিষয়ে ১১ সফলকাম হইতে পারি। কেননা আমি তোমাদিগকে দেখিবার আকাঙ্ক্ষা করিতেছি, যেন তোমাদিগকে এমন কান আত্মক বর প্রদান করি, যাহাতে তোমরা ১২ স্থিরীকৃত হও ; অর্থাৎ যাহাতে তোমাদের ও আমার, উভয় পক্ষের, আন্তরিক বিশ্বাস দ্বারা তোমাদিগেতে আমি আপনিও সঙ্গে সঙ্গে আশ্বাস পাই। আর হে ভ্রাতৃগণ, আমার ইচ্ছা নয় যে, তোমরা এ বিষয় অজ্ঞাত থাক, আমি বার বার তোমাদের কাছে আসিবার মনস্থ করিয়াছি—আর এ পর্য্যন্ত নিবারিত হইয়া আসিয়াছি—যেন পরজাতীয় অদ্য সকল লোকের মধ্যে যেমন, তেমনি তোমাদের ১৪ মধ্যেও কোন ফল প্রাপ্ত হই । গ্রীক ও বববর, বিজ্ঞ ১৫ ও অজ্ঞ, সকলের কাছে আমি ঋণী। তদনুসারে আমার যতট। সাধ্য, আমি রোম-নিবাসী তোমাদের কাছেও ১৬ মুসমাচার প্রচার করিতে উৎসুক। কেননা আমি সুসমাচার সম্বন্ধে লজ্জিত নহি ; কারণ উহ। প্রত্যেক Yvo 148 বিশ্বাসীর পক্ষে পরিত্রাণার্থে ঈশ্বরের শক্তি ; প্রথমতঃ ১৭ যিহুদীর পক্ষে আর গ্রীকেরও পক্ষে। কারণ ঈশ্বর দেয় এক ধাৰ্ম্মিকতা সুসমাচারে প্রকাশিত হইতেছে, তাহ। বিশ্বাসমূলক ও বিশ্বাসজনক, যেমন লেখা আছে, “কিন্তু ধাৰ্ম্মিক ব্যক্তি বিশ্বাস হেতু বাচিবে।” * যীশু খ্ৰীষ্ট দ্বারাই ধাৰ্ম্মিকতা লাভ হয়। প্রতিমাপূজকদের পণপণৰন্থ। । কারণ ঈশ্বরের ক্ৰোধ স্বর্গ হইতে সেই মনুষ্যদের সমস্ত ভক্তিহীনতা ও অধাৰ্ম্মিকতার উপরে প্রকাশিত হইতেছে, যাহারা অধাৰ্ম্মিকতায় সত্যের প্রতিরোধ ১৯ করে। কেননা ঈশ্বরের বিষয়ে যাহা জানা যাইতে পারে, তাহা তাহদের মধ্যে সপ্রকাশ আছে, কারণ ঈশ্বর ২• তাহ তাহদের কাছে প্রকাশ করিয়াছেন। ফলতঃ তাহার অদৃশ্য গুণ, অর্থাৎ তাহার অনন্ত পরাক্রম ও ঈশ্বরত্ব, জগতের স্বষ্টিকাল অবধি তাহার বিবিধ কার্য্যে বোধগম্য হইয়া দৃষ্ট হইতেছে, এ জষ্ঠ তাঙ্গদের উত্তর ২১ দিবার পথ নাই ; কারণ ঈশ্বরকে জ্ঞাত হইয়াও তাহার তাহাকে ঈশ্বর বলিয়া তাহার গৗরব করে নাই, ধন্তবাদও করে নাই ; কিন্তু আপনাদের তর্কবিতর্কে আসার হইয় পড়িয়াছে, এবং তাহদের অবোধ হৃদয় অন্ধকার ২২ হইয়া গিয়াছে। আপনাদিগকে বিজ্ঞ বলিয় তাহার ২৩ মূখ হইয়াছে, এবং ক্ষয়শীয় মনুষ্যের ও পক্ষীর ও চতুষ্পদের ও সরীস্বপের মূৰ্ত্তিবিশিষ্ট প্রতিকৃতির সহিত অক্ষয় ঈশ্বরের গৌরব পরিবর্তন করিয়াছে । এই কারণ ঈশ্বর তাহাদিগকে আপন আপন হৃদয়ের নানা অভিলাষে এমন অশুচিতায় সমর্পণ করিলেন যে, তাহদের দেহ তাহাদিগেতে অনাদৃত ২৫ হইতেছে ; কারণ তাহারা মিথ্যার সহিত ঈশ্বরের সত্য পরিবর্তন করিয়াছে, এবং স্বস্ট বস্তুর পূজা ও আরাধনা করিয়াছে, সেই স্বষ্টিকৰ্ত্তার নয়, যিনি যুগে যুগে ধন্ত । আমেন । এই জন্য ঈশ্বর তাহাদিগকে জঘন্ত রিপুর বশে সমপণ করিয়াছেন ; এমন কি, তাহদের স্ত্রীলোকের স্বাভাবিক ব্যবহারের পরিবর্ভে স্বভাবের বিপরীত ২৭ ব্যবহার করিয়ছে। আর পুরুষেরাও তদ্রুপ স্বাভাবিক স্ত্রীসঙ্গ ত্যাগ করিয়। পরস্পর কণমানলে প্রজ্বলিত হইয়াছে, পুরুষ পুরুষ কুৎসিত ক্রিয়া সম্পন্ন করিয়াছে, এবং আপনাদিগেতে নিজ নিজ বিপথগমনের সমুচিত ২৮ প্রতিফল পাইয়াছে । আর যেমন তাহারা ঈশ্বরকে আপনাদের জ্ঞানে ধারণ করিতে সম্মত হয় নাই, তেমনি ঈশ্বর তাহাদিগকে অনুচিত ক্রিয় করিতে ভ্ৰষ্ট মতিতে
- ছবক্ৰকৃক ।
〉br ૨ 8 乏や
