8 ; ১১–৫ ; ১৬ । ] ছিন্নত্বক অবস্থায়, না অচ্ছিন্নত্বক অবস্থায় ? ছিন্নত্বক ১১ অবস্থায় নয়, কিন্তু অচ্ছিন্নত্বক অবস্থায়। আর তিনি ত্বকছেদ-চিহ্ন পাইয়াছিলেন ; ইহা সেই বিশ্বাসের ধাৰ্ম্মিক তার মুদ্রাঙ্ক ছিল, যে বিশ্বাস অচ্ছিন্নত্বক থাকিতে র্তাহার ছিল ; উদ্দেশ্য এই, যেন আচ্ছিন্নত্বক অবস্থায় যাহার। বিশ্বাস করে, তিনি তাহীদের সকলের পিত হন, যেন তাহদের পক্ষে সেই ধাৰ্ম্মিকতা ১২ গণিত হয় ; আর যেন ছিন্নত্বক লোকদেরও পিতা হন ; যাহার ছিন্নত্বক কেবল তাহদের নয়, কিন্তু আচ্ছিন্নত্বক অবস্থায় আমাদের পিতা অব্রাহামের যে বিশ্বাস ছিল, যহর তাহার পদচিহ্ন দিয়া গমন করে, ১৩ তাহদেরও পিতা । কারণ বাবস্থা দ্বারা যে অব্রাহীমের ব। তাহার বংশের প্রতি জগতের দায়াধিকারী হইবার প্রতিজ্ঞ করা হইয়াছিল, তাহ নয়, কিন্তু বিশ্বাসের ১৪ ধাৰ্ম্মিকতা দ্বারা । কেনন। যাহারা ব্যবস্থাবলম্বী, তাহার। যদি দয়াধিকারী হয়, তবে বিশ্বাসকে নিরর্থক করা হইল, এবং সেই প্রতিজ্ঞাকে নিষ্ফল করা হইল । ১৫ ব্যবস্থা ত ক্রোধ সাধন করে ; কিন্তু যেখানে ব্যবস্থা ১৬ নই, সেখানে ব্যবস্থালজঘনও নাই । এই জন্ত উহ। বিশ্বাস দ্বারা হয়, যেন অনুগ্রহ অনুসারে হয় ; অভিপ্রায় এই যেন সেই প্রতিজ্ঞা সমস্ত বংশের পক্ষে অটল থাকে, কেবল ব্যবস্থাবলম্বী বংশের পক্ষে নয়, কিন্তু অব্রাহীমের বিশ্বাসাবলম্বী বংশেরও পক্ষে ; তিনি ১৭ আমাদের সকলের পিতা, ( যেমন লিখিত আছে, “ আমি তোমাকে বহু জাতির পিতা করিলাম, ) সেই ঈশ্বরের সাক্ষাতেই পিতা, যাহাকে তিনি বিশ্বাস করিলেন, যিনি মূতগণকে জীবন দেন, এবং যাহ। ১৮ নাই, তাহ আছে বলেন ; অব্রাহীম প্রত্যাশা ন৷ থাকিলেও প্রত্যাশাযুক্ত হইয় বিশ্বাস করিলেন, যেন * এইরূপ তোমার বংশ হইবে, এই বচন অনুসারে ১৯ তিনি বহুজাতির পিতা হন । আর বিশ্বাসে দুৰ্ব্বল ন৷ হইয়া, তাহার বয়স প্রায় শত বৎসর হইলেও, তিনি আপনার মৃতকল্প শরীর, এবং সারার গন্তের মৃতকল্পতাও ২০ টের পাইলেন বটে, তথাপি ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞার প্রতি লক্ষ্য করিয়া অবিশ্বাস বশতঃ সন্দেহ করিলেন না ; কিন্তু বিশ্বাসে বলবান হইলেন, ঈশ্বরের গৌরব করি২১ লেন, এবং নিশ্চয় জানিলেন, ঈশ্বর যাহা প্রতিজ্ঞ করিয়াছেন, তাহ সফল করতে সমর্থও আছেন। ২২ আর এই কারণ র্তাহার পক্ষে উহা ধাৰ্ম্মিকত বলিয়া ২৩ গণিত হইল। তাহার পক্ষে গণিত হইল, ইহা যে কেবল তাহার জন্ত লিখিত হইয়াছে, এমন নয়, কিন্তু ২৪ আমাদেরও জন্য ; আমাদের পক্ষেও তাঁহা গণিত হইবে, কেনন যিনি আমাদের প্রভু যীশুকে মৃতগণের মধ্য হইতে উত্থাপন করিয়াছেন, আমরা তাহার উপরে ২৫ বিশ্বাস করিতেছি । সেই যীশু আমাদের অপরাধের নিমিত্ত সমপিত হইলেন, এবং আমাদের ধাৰ্ম্মিকগণনার নিমিত্ত উথাপিত হইলেন । + আদি ১৫ ; e ।
- আদি ১৭ : ৫ ৷
রোমীয় ।
- @ 9
৫ অতএব বিধাহেতু ধাৰ্ম্মিক গণিত হওয়াতে আমাদের প্রভূ যীশু খ্ৰীষ্ট দ্বারা আমরা ঈশ্বরের ২ উদ্দেশে সন্ধি লাভ করিয়াছি ; * আর তাহারই দ্বার আমরা বিশ্বাসে এই অনুগ্রহের মধ্যে প্রবেশ লাভ করিয়াছি, যাহার মধ্যে দাড়াইয়া আছি, এবং ঈশ্বরের প্রতাপের প্রত্যাশায় শ্লাঘা করিতেছি। + ৩ কেবল তাহ নয়, কিন্তু নানাবিধ ক্লেশেও শ্লাঘা করিতেছি ; + কারণ আমরা জানি, ক্লেশ ধৈর্য্যকে, ৪ ধৈৰ্য্য পরীক্ষাসিন্ধতাকে এবং পরীক্ষা সিদ্ধত প্রত্যাশাকে ৫ উৎপন্ন করে ; আর প্রত্যাশ লজ্জাজনক হয় না, যেহেতুক আমাদিগকে দত্ত পবিত্র আত্মা দ্বারা ঈশ্বরের ৬ প্রেম আমাদের হৃদয়ে সেচি ত হইয়াছে। কেননা যখন আমরা শক্তিহীন ছিলাম, তখন খ্রীষ্ট উপযুক্ত ৭ সময়ে ভক্তিহীনদের নিমিত্ত সরিলেন । বস্তুতঃ ধt কের নিমিত্ত প্রায় কেহ প্রাণ দিবে না, সজ্জনের নিমিত্ত হয় ত কেহ সাহস করিয়া প্রাণ দিলেও ৮ দিতে পারে। কিন্তু ঈশ্বর আমাদের প্রতি র্তাহার নিজের প্রেম প্রদর্শন করিতেছেন ; কারণ আমরা যখন পাপী ছিলাম, তখনও খ্রীষ্ট আমাদের নিমিত্ত ৯ প্রাণ দিলেন । সুতরাং সম্প্রতি র্তাহার রক্তে যখন ধাৰ্ম্মিক গণিত হইয়াছি, তখন আমরা কত অধিক নিশ্চয় তাহ দ্বারা ঈশ্বরের ক্ৰোধ হইতে পরিত্রাণ ১০ পাইব । কেননা যখন আমরা শক্র ছিলাম, তখন যদি ঈশ্বরের সহিত তাহার পুত্রের মৃত্যু দ্বারা সম্মিলিত হইলাম, তবে সম্মিলিত হহয়। কত অধিক নিশ্চয় ১১ তাহীর জীবনে পরিত্রাণ পাইব । কেবল তাহ নয়, কিন্তু আমাদের প্রভু যীশু খ্ৰীষ্ট দ্বারা ঈশ্বরের শ্লাঘাও করিয়া থাকি, যাহার দ্বারা এখন আমরা সেই সন্মিলন লাভ করিয়াছি । আদমের পাপের ফল. ও যীশুর ধাৰ্মিকতার ফল । ১২ অতএব যেমন এক মনুষ্য দ্বারা পাপ, ও পাপ দ্বারা মৃত্যু জগতে প্রবেশ করল ; আর এই প্রকারে মৃত্যু সমুদয় মনুষ্যের কাছে উপস্থিত হইল, কেননা সকলেই ১৩ পাপ করিল। কারণ ব্যবস্থার পূর্বেও জগতে পাপ ছিল ; কিন্তু ব্যবস্থা না থাকিলে পাপ গণিত হয় না । ১৪ তথাপি যাহারা আদমের আজ্ঞালঙ্ঘনের সাদৃষ্ঠে পাপ করে নাই, আদম অবধি মোiশ পয্যন্ত তাহাদের উপরেও মৃত্যু রাজত্ব করিয়াছিল। আর আদম সেই ১৫ ভাবী ব্যক্তির প্রতিরূপ । কিন্তু অপরাধ যেরূপ, অনুগ্রহ-দানটী সেরাপ নয়। কেননা সেই একের অপরাধে যখন অনেকে মরিল, তখন ঈশ্বরের অনুগ্রহ, এবং আর এক ব্যক্তির—যীশু খ্রীষ্ট্রের—অনুগ্রহে দত্ত দান, অনেকের প্রতি আরও অধিক উপচিয়৷ ১৬ পড়িল। আর, এক ব্যক্তি পাপ করাতে যেমন ফল হইল, এই দান তেমন নয় ; কেননা বিচার এক ব্যক্তি হইতে দণ্ডাজ্ঞ পয্যন্ত, কিন্তু অনুগ্রহ-দান অনেক
- ( বা ) এস. আমরা শান্তি ভোগ করি । + ( বা ) এস, আমরা শ্লাঘা করি । । :
151