পাতা:বাইবেল পুরাতন নিয়ম ও নতুন নিয়ম.djvu/৯৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> や 、 মনুষ্যদের অপেক্ষ অধিক জ্ঞানযুক্ত, এবং ঈশ্বরের যে দুৰ্ব্বলতা, তাহা মনুষ্যদের অপেক্ষ অধিক সবল। কারণ, হে ভ্রাতৃগণ, তোমাদের আহবান দেখ, যেহেতুক মাংস অনুসারে জ্ঞানবান অনেক নাই, ২৭ পরাক্রমী অনেক নাই, উচ্চ পদস্থ অনেক নাই ; কিন্তু ঈশ্বর জগতীস্থ মূখ বিষয় সকল মনোনীত করিলেন, যেন জ্ঞানবানূদিগকে লজ্জা দেন ; এবং ঈশ্বর জগতের দুৰ্ব্বল বিষয় সকল মনোনীত করিলেন, যেন শক্তিমন্ত ২৮ বিষয় সকলকে লজ্জা দেন ; এবং জগতের যাহ। যাহা নীচ ও যাহা যাহা তুচ্ছ, যাহা যাহ। কিছু নয়, সেই সকল ঈশ্বর মনোনীত করিলেন, যেন, যাহা যাহা আছে, সে ২৯ সকল অকিঞ্চন করেন ; যেন কোন মৰ্ত্ত্য ঈশ্বরের ৩০ সাক্ষাতে শ্লাঘ না করে। কিন্তু তাহা হইতে তোমরা খ্ৰীষ্ট যীশুতে আছ, যিনি হইয়াছেন আমাদের জম্ভ ঈশ্বর হইতে জ্ঞান—ধাৰ্ম্মিকতা ও পবিত্রত এবং মুক্তি— ৩১ যেমন লেখা আছে, “ যে ব্যক্তি শ্লাঘ। করে, সে প্রভুতেই শ্লাঘ করুক।” * ९ আর, হে ভ্রাতৃগণ, আমি যখন তোমাদের নিকটে গিয়াছিলাম, তখন গিরা বাক্যের কি জ্ঞানের উৎকৃষ্টত অনুসারে তোমাদিগকে ঈশ্বরের ২ সাক্ষ্য জ্ঞাত করিতেছিলাম, তাহ নয়। কেননা আমি মনে স্থির করিয়াছিলাম, তোমাদের মধ্যে আর কিছুই জানিব না, কেবল যীশু খ্ৰীষ্টকে, এবং তাহাকে ৩ ক্রুশে হত বলিয়াই, জানিব। আর আমি তোমাদের ৪ কাছে দুৰ্ব্বলতা, ভয় ও মহাকম্পযুক্ত ছিলাম, আর আমার বাক্য ও আমার প্রচার জ্ঞানের প্ররোচক বাক্যযুক্ত ছিল না, বরং আত্মার ও পরাক্রমের ৫ প্রদর্শনযুক্ত ছিল, যেন তোমাদের বিশ্বাস মনুষ্যদের জ্ঞানযুক্ত না হইয়৷ ঈশ্বরের পরাক্ৰমযুক্ত হয়। ঈশ্বরীয় জ্ঞানের উৎকৃষ্টত । ও তথাপি আমরা সিদ্ধদের মধ্যে জ্ঞানের কথা কহিতেছি, কিন্তু সেই জ্ঞান এই যুগের নয়, এবং এই যুগের শাসনকৰ্ত্তাদেরও নয়, ইহঁরা ত অকিঞ্চন হুইয়। ৭ পড়িতেছেন। কিন্তু আমরা নিগুঢ়তত্ত্বরূপে ঈশ্বরের সেই জ্ঞানের কথা কহিতেছি, সেই গুপ্ত জ্ঞান, যাহ। ঈশ্বর আমাদের প্রতাপের জন্ত যুগপৰ্য্যায়ের পূৰ্ব্বে ৮ নিরূপণ করিয়াছিলেন। এই যুগের শাসনকৰ্ত্তাদের মধ্যে কেহ তাহ জানেন নাই ; কেননা যদি জানি৯ তেন, তবে প্রতাপের প্রভুকে ক্রুশে দিতেন না। কিন্তু, যেমন লেখা আছে, “চক্ষু যাহা দেখে নাই, কৰ্ণ যাহা শুনে নাই, এবং মনুষ্যের হৃদরাকাশে যাহ উঠে নাই, যাহা ঈশ্বর, যাহার। তাহাকে প্রেম করে, তাহীদের জষ্ঠ প্রস্তুত করিয়াছেন।” + ১০ কারণ আমাদের কাছে ঈশ্বর তাহার আত্মা দ্বারা তাহ প্রকাশ করিয়াছেন, কেননা আত্মা সকলই অনুসন্ধান

  • যির ৯ ; ২৩, ২৪ । + যি শ ৬৪ ; ৪ ।

২৬ ১ করিন্থীয় । اه لا ; 0 -اسوله و < ] করেন, ঈশ্বরের গভীর বিষয় সকলও অনুসন্ধান ১১ করেন। কারণ মনুষ্যের বিষয়গুলি মনুষ্যদের মধ্যে কে জানে ? কেবল মনুষ্যের অন্তরস্থ আত্মা জানে ; তেমনি ঈশ্বরের বিষয়গুলি কেহ জানে না, কেবল ১২ ঈশ্বরের আত্মা জানেন । কিন্তু আমরা জগতের আত্মাকে পাই নাই, বরং ঈশ্বর হইতে নির্গত আত্মাকে পাইয়াছি, যেন ঈশ্বর অনুগ্রহপূর্বক আমাদিগকে যাহা যাহা দান করিয়াছেন, তাহ জানিতে পারি। ১৩ আমরা সেই সকল বিষয়েরই কথা কহিতেছি, মানুষিক শিক্ষানুরূপ জ্ঞানের বাক্য দ্বারা নয়, কিন্তু আত্মার শিক্ষানুরূপ বাক্য দ্বারা ; আত্মিক বিষয় আত্মিক ১৪ বিষয়ের সহিত যোগ করিতেছি । কিন্তু প্রাণিক মনুষ্য ঈশ্বরের আত্মার বিষয়গুলি গ্রহণ করে না, কেননা তাহার কাছে সে সকল মূর্খতা ; আর সে সকল সে জানিতে পারে না, কারণ তাহ আত্মিক ভাবে ১৫ বিচারিত হয়। কিন্তু যে আত্মিক, সে সমস্ত বিষয়ের বিচার করে ; আর তাহার বিচার কাহারও দ্বারা হয় ১৬ না । কেননা ‘কে প্রভুর মন জানিয়াছে যে, তাহাকে উপদেশ দিতে পারে ?” কিন্তু খ্রীষ্টের মন আমাদের আছে । প্রচারকের ঈশ্বরের সহকার্য্যকারী, ঈশ্বরের ধনের অধ্যক্ষ । ৩ আর, হে ভ্ৰাতৃগণ, আমি তোমাদিগকে আত্মিক লোকদের ছায় সম্ভাষণ করিতে পারি নাই, কিন্তু মাংসময় লোকদের স্থায়, খ্রীষ্ট সম্বন্ধীয় শিশুদের স্যায়। ২ আমি তোমাদিগকে দুগ্ধ পান করাইয়াছিলাম, অন্ন দিই নাই, কেননা তখন তোমাদের শক্তি হয় নাই ; ৩ এমন কি, এখনও তোমাদের শক্তি হয় নাই, কারণ এখনও তোমরা মাংসিক রহিয়াছ : বাস্তবিক যখন তোমাদের মধ্যে ঈর্ষা ও বিবাদ রহিয়াছে, তখন তোমরা কি মাংসিক নও, এবং মানুষের রীতিক্রমে কি চলিতেছ ৪ না ? কেননা যখন তোমাদের এক জন বলে, আমি পৌলের, আর এক জন, আমি আপল্লোর, তখন ৫ তোমরা কি মনুষ্যমাত্র নও ? ভাল, আপল্লো কি ? আর পেীল কি ? তাহারা ত পরিচারকমাত্র, যাহাঁদের দ্বার তোমরা বিশ্বাসী হইয়াছ ; আর এক এক জনকে ৬ প্ৰভু যেমন দিয়াছেন। আমি রোপণ করিলাম, আপল্লো জল সেচন করিলেন, কিন্তু ঈশ্বর বৃদ্ধি দিতে ৭ থাকিলেন। অতএব রোপক কিছু নয়, সেচকও কিছু ৮ নয়, বৃদ্ধিদাতা ঈশ্বরই সার। আর রোপক ও সেচক উভয়েই এক, এবং যাহার যেরূপ নিজের শ্রম, সে তদ্রুপ ৯ নিজের বেতন পাইবে। কারণ আমরা ঈশ্বরেরই সহকাৰ্য্য কারী ; তোমরা ঈশ্বরেরই ক্ষেত্র, ঈশ্বরেরই গাথনি। ১• ঈশ্বরের যে অনুগ্রহ আমাকে দত্ত হইয়াছে, তদনুসারে আমি জ্ঞানবান গাথকের স্তায় ভিত্তিমূল স্থাপন করিয়াছি ; আর তাহার উপরে অন্তে গাখিতেছে ; কিন্তু প্রত্যেক জন দেখুক, কিরূপে সে তাহার 162