পাতা:বাইবেল পুরাতন নিয়ম ও নতুন নিয়ম.djvu/৯৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ꮌ Ꭽ8 পরজাতীয়দের সহিত আহার ব্যবহার করিতেন, কিন্তু উহারা আসিলে পর তিনি ছিন্নত্বকদের ভয়ে পিছাইয়া পড়িতে ও আপনাকে পৃথক্ রাখিতে ১৩ লাগিলেন । আর তাহার সহিত অস্ত্য সকল যিহূদীও কপট ব্যবহার করিল ; এমন কি, বার্ণবাও তাহাদের ১৪ কপিটোর টানে আকৰ্ষিত হইলেন । কিন্তু আমি যখন দেখিলাম, তাহারা সুসমাচারের সতা অনুসারে সরল পথে চলেন না, তখন আমি সকলের সাক্ষাতে কৈফাকে কহিলাম, তুমি নিজে যিহুদী হইয়। যদি যিহুদীদের মত নয়, কিন্তু পরজাতিগণের মত আচরণ কর, তবে কেন পরজাতিগণকে যিহুদীদের মত ১৫ আচরণ করিতে বাধা করিতেছ ? আমরা জাতিতে ১৬ যিহুদী, আমরা পরজাতীয় পাপী নহি ; তথাপি বুঝিয়াছি, ব্যবস্থার কায্য হেতু নয়, কেবল যীশু খ্ৰীঃে বিশ্বাস দ্বারা মনুষ্য ধাৰ্ম্মিক গণিত হয়, সেই জন্ত আমরাও খ্ৰীষ্ট যীশুতে বিশ্বাসী হইয়াছি, যেন খ্রষ্টে বিশ্বাস হেতু ধাৰ্ম্মিক গণিত হই, ব্যবস্থার কায্য হেতু নয় ; কারণ ব্যবস্থার কায্য হেতু কোন ১৭ মৰ্ত্তা ধাৰ্ম্মিক গণিত হইবে না । কিন্তু আমরা খ্রীষ্ট্রে ধাৰ্ম্মিক গণিত হইবার চেষ্টা করিতে গিয় আপনারাও যfদ পাপী বলিয়া প্রতিপন্ন হইয়৷ থাকি, তবে তৎপ্রযুক্ত খ্ৰীষ্ট কি পাপের পরিচারক ? তাহ দূরে ১৮ থাকুক। কারণ আমি যাহা ভাঙ্গিয়া ফেলিয়াছি, তাহাই যদি পুনৰ্ব্বার গাথি, তবে আপনাকেই অপরাধী ১৯ বলিয় দাড় করাই । আমি ত ব্যবস্থার দ্বার বাবস্থার উদ্দেশে মরিয়াছি, যেন ঈশ্বরের উদ্দেশে জীবিত ২• হই । খ্ৰীষ্টের সহিত আমি ক্রুশারোপিত হইয়াছি, আমি আর জীবিত নই, কিন্তু খ্ৰীষ্টই আমাতে জীবিত আছেন ; আর এখন মাংসে থাকিতে আমার যে জীৱই আছে, তাহ আমি বিশ্বাসে, ঈশ্বরের পুত্রে বিশ্বাসেই, যাপন করিতেছি ; তিনিই আমাকে প্রেম করিলেন, এবং আমার নিমিত্তে আপনাকে প্রদান ২১ করিলেন । আমি ঈশ্বরের অনুগ্রহ বিফল করি না ; কারণ ব্যবস্থ দ্বারা যদি ধাৰ্ম্মিকতা হয়, তাহা হইলে স্বতরাং খ্ৰীষ্ট অকারণে মরিলেন । হে অবোধ গালাতীয়েরা, কে তোমাদিগকে মুগ্ধ করিল ? তোমাদেরই চক্ষের সম্মুখে যীশু খ্ৰীষ্ট ত ক্রুশারোপিত বলিয়। স্পষ্টাক্ষরে লিখিত হইয়াই ছিলেন । কেবল এই কথা তোমাদের কাছে জানিতে চাহি, তোমরা কি ব্যবস্থার কায্য হেতু আত্মাকে ৩ পাইয়াছ ? না বিশ্বাসের বার্তা শ্রবণ হেতু ? তোমরা কি এমন অবোধ ? আত্মাতে আরম্ভ করিয়া এখন ৪ কি মাংসে সমাপ্ত করতেছ? তোমরা এত দুঃখ কি বৃথাই ভোগ করিয়াছ—যদি বাস্তবিক বৃথা হইয়৷ থাকে ? ও বল দেখি, যিনি তোমাদিগকে আত্মা যোগাইয়া দেন ও তোমাদের মধ্যে পরাক্রম-কাৰ্য্য সাধন করেন, তিনি কি ব্যবস্থার কার্য্য হেতু তাহ করেন, না ।বশ্বাসের গালাতীয়। الا ه ق (نگ-ن لا و به ] ৬ বার্তা শ্রবণ হেতু ? যেমন অব্রাহাম “ ঈশ্বরে বিশ্বাস করিলেন, আর তাহাই তাহার পক্ষে ধাৰ্ম্মিকতা বলিয়া ৭ গণিত হইল।” * অতএব জানিও, যাহারা বিশ্বাসা৮ বলম্বী, তাহারাই অব্রাহামের সন্তান। আর বিশ্বাস হেতু ঈশ্বর পরজাতিদিগকে ধাৰ্ম্মিক গণনা করেন, শাস্ত্র ইহ অগ্ৰে দেখিয়া অব্রাহীমের কাছে আগেই সুসমাচার ও চার করিয়াছিল, যথা, “তোমাতে সমস্ত জাতি আশীৰ্ব্ববাদ ৯ প্রাপ্ত হইবে।” + অতএব যাহারা বিশ্বাসাবলম্বী, তাহারা বিশ্বাসী অব্রাহামের সহিত আশীৰ্ব্বাদ প্রাপ্ত ১০ হয় । বাস্তবিক যাহারা ব্যবস্থার ক্রিয়াবলম্বী, তাহার সকলে শাপের অধীন, কারণ লেখা আছে, “ষে কেহ বাবস্থাগ্রন্থে লিখিত সমস্ত কথা পালন করিবার ১১ জনা তাহাতে স্থির না থাকে, সে শাপগ্রস্ত ।” ; কিন্তু ব্যবস্থার দ্বার কেহই ঈশ্বরের সাক্ষাতে ধাৰ্ম্মিক গণিত হয় না, ইহা হস্পষ্ট, কারণ “ধাৰ্ম্মিক বাক্তি বিশ্বাস হেতু ১২ বাচিবে” । S কিন্তু ব্যবস্থা বিশ্বাসমূলক নয়, বরং "যে কেহ এই সকল পালন করে,সেই তাহাতে বাচিবে” । | ১৩ খ্ৰীষ্টই মূলা দিয়া আমাদিগকে ব্যবস্থার শাপ হইতে মুক্ত করিয়াছেন, কারণ তিনি আমাদের নিমিত্তে শাপস্বরূপ হইলেন ; কেননা লেখা আছে, “যে কেহ গাছে টাঙ্গান ১৪ যায়, সে শাপগ্রস্ত” ৭ ; যেন অব্রাহামের প্রাপ্ত আশীববাদ খ্ৰীষ্ট যীশুতে পরজাতিগণের প্রতি বর্তে, আমরা যেন বিশ্বাস দ্বারা অঙ্গীকৃত আত্মাকে প্রাপ্ত হই । ১৫ হে ভ্রাতৃগণ, আমি মনুষ্যের মত বলিতেছি । মনুষোর নিয়মপত্র হইলেও তাহ যখন স্থিরীকুত হয়, তখন কেহ তাহা বিফল করে না, কিম্বা তাহাতে নুতন কথা যোগ ১৬ করে না । ভাল, অব্রাহীমের প্রতি ও র্তাহার বংশের প্রতি প্রতিজ্ঞ সকল উক্ত হইয়াছিল । তিনি বহুবচনে “ আর বংশ সকলের প্রতি” না বলিয়, একবচনে বলেন, “আর তোমার বংশের ও তি” : ** সেই বংশ ১৭ খ্রীষ্ট । আমি এই বলি, ষে নিয়ম ঈশ্বরকত্ত্বক পূৰ্ব্বে স্থিরীকুত হইয়াছিল, চারি শত ত্রিশ বৎসর পরে উৎপন্ন বাবস্থ৷ সেই নিয়মকে উঠাইয়। দিতে পারে না, যাহাতে ১৮ প্রতিজ্ঞাকে বিফল করিবে । কারণ দায়াধিকার যদি ব্যবস্থামূলক হয়, তবে আর প্রতিজ্ঞামূলক হইতে পারে না ; কিন্তু অব্রাহামকে ঈশ্বর প্রতিজ্ঞ দ্বারাই তাহা দান করিয়াছেন । তবে ব্যবস্থা কি ? অপরাধের কারণ তাহ যোগ করা হইয়াছিল, যে পর্যান্ত না সেই বংশ আইসেন, যাহার কাছে প্রতিজ্ঞ করা গিয়াfছল ; আর তাহ। দূতগণ দ্বারা, এক জন মধাস্থের হস্তে, বিধিবদ্ধ হইল । ২০.২১ এক জনের মধ্যস্থ ত হয় না, কিন্তু ঈশ্বর এক । তবে ব্যবস্থা কি ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞা-কলাপের প্রতিকূল ? তাহ দুরে থাকুক । ফলতঃ যদি এমন ব্যবস্থ দত্ত হইত, X a

  • আদি ১৫ ; ৬ + আদি ১২ ; ৩ । ১৮ ; ১৮ ।
  1. দ্বিঃ , ২৬ হুবক্তৃক ২ ; ৪ ।

। লেবীয় ১৮ : ৫ । ৭ দ্বিঃ ২ ১ ; ২৩ ৷

    • অাদি ২২ : ১৮ ।

184.