পাতা:বাইবেল পুরাতন নিয়ম ও নতুন নিয়ম.djvu/৯৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ॐ ; >२-९ ; २२ 1] মধ্য হইতে প্রথমজাত, যেন সৰ্ব্ববিষয়ে তিনি অগ্রগণ্য ১৯ হন। কারণ [ ঈশ্বরের] এই হিতসঙ্কল্প হইল, যেন সমস্ত ২• পূর্ণতা তাহাতেই বাস করে, এবং তাহার ক্রুশের রক্ত দ্বারা সন্ধি করিয়া, তাহার দ্বারা যেন আপনার সহিত সকলই সম্মিলিত করেন, কি স্বর্গস্থিত কি মর্ত্যস্থিত, ২১ তাহার দ্বারাই করেন। আর পূৰ্ব্বে চিত্তে দুঞ্চিয়াতে ২২ বহিঃস্থ ও শক্র ছিলে যে তোমরা, তোমাদিগকে তিনি এখন খ্ৰীষ্টের মাংসময় দেহে মৃত্যু দ্বারা সম্মিলিত করিলেন, যেন পবিত্র, নিষ্কলঙ্ক ও নির্দোষ করিয়া ২৩ আপনার সাক্ষাতে উপস্থিত করেন, যদি তোমরা বিশ্বাসে বদ্ধমূল ও অটল হইয়া স্থির থাক, এবং সেই সুসমাচারের প্রত্যাশা হইতে বিচলিত না হও, যাহা শুনিয়াছ, যাহা আকাশমণ্ডলের অধঃস্থিত সমস্ত স্বষ্টির কাছে প্রচারিত হইয়াছে, আমি পৌল যাহার পরিচারক হইয়াছি। প্রভুতে স্থির থাকিতে নিবেদন । এখন তোমাদের নিমিত্ত আমার যে সকল দুঃখভোগ হইয়া থাকে, তাহাতে আনন্দ করিতেছি, এবং খ্রষ্ট্রের ক্লেশভোগের যে অংশ অপূর্ণ রহিয়াছে, তাহ আমার ংসে তাহার দেহের নিমিত্ত পূর্ণ করিতেছি ; সেই ২৫ দেহ মণ্ডলী। তোমাদের পক্ষে ঈশ্বরের যে দেওয়ানী কার্য্য আমাকে দত্ত হইয়াছে, তদনুসারে আমি মণ্ডলীর পরিচারক হইয়াছি, যেন আমি ঈশ্বরের বাক্য সম্পূর্ণ২৬ রূপে প্রচার করি ; তাহ সেই নিগুঢ়তত্ত্ব, যাহা যুগযুগানুক্রমে ও পুরুষপুরুষানুক্রমে গুপ্ত ছিল, কিন্তু এখন ২৭ তাহার পবিত্ৰগণের কাছে প্রকাশিত হইল ; কারণ পরজাতিগণের মধ্যে সেই নিগুঢ়তত্ত্বের গৌরব-ধন কি, তাহ পবিত্রগণকে জ্ঞাত করিতে ঈশ্বরের বাসনা হইল ; তাহ তোমাদের মধ্যবৰ্ত্তী খ্ৰীষ্ট, গৌরবের ২৮ আশা ; তাহাকেই আমরা ঘোষণা করিতেছি, সমস্ত জ্ঞানে প্রত্যেক মনুষ্যকে সচেতন করিতেছি ও প্রত্যেক মনুষ্যকে শিক্ষা দিতেছি, যেন প্রত্যেক মনুষ্যকে স্ত্রীষ্টে ২৯ সিদ্ধ করিয়া উপস্থিত করি ; আর তাহার যে কাৰ্য্যসাধক শক্তি আমাতে সপরাক্রমে নিজ কাৰ্য্য সাধন করিতেছে, তদনুসারে প্রাণপণ করিয়া আমি সেই অভিপ্রায়ে পরিশ্রমও করিতেছি । ९ কারণ আমার ইচ্ছ। এই, যেন তোমরা জানিতে পার, তোমাদের ও লায়দিকেয়াস্থ লোকদের জন্ত, ও যত লোক আমার মাংসময় মুখ দেখে নাই, ২ তাহীদের জষ্ঠ, আমি কত দূর প্রাণপণ করিতেছি ; যেন তাহীদের হৃদয় আশ্বাস পায়, তাহারা প্রেমে পরস্পর সংসন্ত হইয়া জ্ঞানের নিশ্চয়তারূপ সমস্ত ধনে ধনী হইয়া উঠে, যেন ঈশ্বরের নিগুঢ়তত্ত্ব, অর্থাৎ খ্ৰীষ্টকে জানিতে ৩ পায় । ইহার মধ্যে জ্ঞানের ও বিদ্যার সমস্ত নিধি গুপ্ত ৪ রহিয়াছে। এ কথা বলিতেছি, যেন কেহ প্ররোচক ৫ বাক্যে তোমাদিগকে না ভুলায়। কেননা যদিও আমি মাংসে অনুপস্থিত, তথাপি আত্মাতে তোমাদের সঙ্গে 8 কলসীয় । ১১ আধিপত্যের ও কর্তৃত্বের মস্তক ।

  • > 6.

সঙ্গে আছি, এবং আনন্দপুৰ্ব্বক তোমাদের ও খ্ৰীষ্ট বিশ্বাসরূপ স্বধৃঢ় গাথনি দেখিতে পাইতেছি। ৬ অতএব খ্ৰীষ্ট যীশুকে, প্রভুকে, যেমন গ্রহণ করিয়াছ, ৭ তেমনি তাহাতেই চল ; তাহাতেই বদ্ধমূল ও সংগ্রথিত হইয়া প্রাপ্ত শিক্ষানুসারে বিশ্বাসে দৃঢ়ীভূত হও, এবং ধন্যবাদ সহকারে উপচিয় পড়। খ্রীষ্টের সহিত সংযোগের শুভফল । ৮ দেখিও, দর্শনবিদ্যা ও অনর্থক প্রতারণা দ্বারা কেহ যেন তোমাদিগকে বন্দি করিয়া লইয়া না যার : তাহ মনুষ্যদের পরম্পরাগত শিক্ষার অনুরূপ, জগতের অক্ষর৯ মালার অনুরূপ, খ্ৰীষ্টের অনুরূপ নয় ; কেননা তাহাতেই ১০ ঈশ্বরত্বের সমস্ত পূর্ণত দৈহিকরূপে বাস করে, এবং তোমরা তাহতে পূর্ণীকৃত হইয়াছ, যিনি সমস্ত আর তাহাতেই তোমরা অহস্তকৃত ত্বক্ছেদে, মাংসের দেহ বস্ত্রবৎ ১২ পরিত্যাগে, খ্রষ্টের ত্বক্ছেদে, ছিন্নত্বক্ হইয়াছ ; ফলতঃ বাপ্তিম্মে তাহার সহিত সমাধিপ্রাপ্ত হইয়াছ, এবং তাহাতে তাহার সহিত উত্থাপিতও হইয়াছ, ঈশ্বরের কার্যাসাধনে বিশ্বাস দ্বারা হইয়াছ, যিনি উহাকে ১৩ মৃতগণের মধ্য হইতে উঠাইয়াছেন। আর ঈশ্বর তোমাদিগকে, অপরাধে ও তোমাদের মাংসের অত্বকৃছেদে মৃত তোমাদিগকে, তাহার সহিত জীবিত করিয়াছেন, ১৪ আমাদের সমস্ত অপরাধ ক্ষমা করিয়াছেন ; আমাদের প্রতিকুল যে বিধিবদ্ধ হস্তলেখা আমাদের বিরুদ্ধ ছিল, তাহা মুছিয়া ফেলিয়াছেন, এবং প্রেক দিয়া ক্রুশে ১৫ লটকাইয়া দূর করিয়াছেন। আর আধিপত্য ও কর্তৃত্ব সকল দূর করিয়া দিয়া ক্রুশেই সেই সকলের উপরে বিজয়-যাত্রা করিয়া তাহাদিগকে স্পষ্টরূপে দেখাইয়া দিলেন । অতএব ভোজন কি পান, কি উৎসব, কি অমাবস্তা, কি বিশ্রামবার, এই সকলের সম্বন্ধে কেহ তোমাদের ১৭ বিচার না করুক ; এ সকল ত আগামী বিষয়ের ছায়া১৮ মাত্র, কিন্তু দেহ খ্ৰীষ্টের। নম্রতায় ও দূতগণের পূজায় স্বেচ্ছাচারী কোন ব্যক্তি তোমাদিগকে বিজয়-মুকুটে বঞ্চিত না করুক ; সে যাহা যাহা দেখিয়াছে, সেই গুলিতেই বিচরণ করে, আপন মাংসময় মনের গৰ্ব্বে বৃথা ১৯ গৰ্ব্বিত হয়, কিন্তু সেই মস্তক ধারণ করে না, যাহা হইতে সমস্ত দেহ, গ্রন্থি ও বন্ধন দ্বারা পোষিত ও সংসত্ত হইয়া, ঈশ্বরীয় বৃদ্ধিতে বৃদ্ধি পাইতেছে। খ্ৰীষ্টের সহিত উত্থাপিত লোকদের উপযুক্ত আচার ব্যবহার । তোমরা যখন জগতের অক্ষরমালা ছাড়িয়া খ্ৰীষ্ট্রের সহিত মরিয়াছ, তখন কেন জগজ্জীবীদের ছায় এই ২১ সকল বিধির অধীন হইতেছ, যথা, ধরিও না, ২২ অtশ্বাদ লইও না, স্পর্শ করিও না ? সেই সকল বস্তু ত ভোগ দ্বারা ক্ষয় পাইবার নিমিত্তই হইয়াছে। ঐ >W。 ২• 195