পাতা:বাইবেল পুরাতন নিয়ম ও নতুন নিয়ম.djvu/৯৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७ ; ०७-G ; >१ ।] যে, ঈশ্বরের গৃহমধ্যে কেমন আচার ব্যবহার করিতে হয় ; সেই গৃহ ত জীবন্ত ঈশ্বরের মণ্ডলী, সত্যের স্তন্ত ১৬ ও দৃঢ় ভিত্তি। আর ভক্তির নিগূঢ়তত্ত্ব মহৎ, ইহ সৰ্ব্বসম্মত, যিনি মাংসে প্রকাশিত হইলেন, আত্মাতে ধাৰ্ম্মিক প্রতিপন্ন হইলেন, দূতগণের নিকট দর্শন দিলেন, জাতিগণের মধ্যে প্রচারিত হইলেন, জগতে বিশ্বাস দ্বারা গৃহীত হইলেন, সপ্রতাপে উদ্ধে নীত হইলেন। অধ্যক্ষের উপযুক্ত ব্যবহার। 8 কিন্তু আত্মা স্পষ্টই বলিতেছেন, উত্তরকালে কতক লোক ভ্রান্তিজনক আত্মাদিগেতে ও ভূতগণের শিক্ষামালায় মন দিয়া বিশ্বাস হইতে সরিয়া পড়িবে। ২ ইহা এমন মিথ্যাবাদীদের কাপটো ঘটিবে, যাহাদের নিজ সংবেদ তপ্ত লৌহের দাগের মত দাগযুক্ত হইয়াছে। ৩ তাহার বিবাহ নিষেধ করে, এবং বিবিধ খাদ্যের ব্যবহার নিষেধ করে, যে সকল ঈশ্বর এই অভিপ্রায়ে সৃষ্টি করিয়াছেন, যেন যাহারা বিশ্বাসী ও সত্যের তত্ত্ব ৪ জানে, তাহার। ধন্যবাদ-পূর্বক ভোজন করে। বাস্তবিক ঈশ্বরের সৃষ্ট সমস্ত বস্তুই ভাল ; ধন্যবাদ সহকারে গ্রহণ ৫ করিলে কিছুই অগ্রাহ্য নয়, কেননা ঈশ্বরের বাক্য এবং প্রার্থনা দ্বারা তাহ পবিত্রীকৃত হয়। ৬ এই সকল কথা ভ্রাতৃগণকে মনে করাইয়া দিলে তুমি খ্ৰীষ্ট যীশুর উত্তম পরিচারক হইবে ; বিশ্বাসের ও উত্তম শিক্ষার বাক্যে পোষিত থাকিবে, যে শিক্ষার ৭ অনুসরণ করিয়া আসিতেছ; কিন্তু ধৰ্ম্মবিরূপক এবং জরাতুর স্ত্রীলোকের যোগ্য গল্প সকল অগ্রাহ কর । ৮ আর ভক্তিতে দক্ষ হইতে অভ্যাস কর : কেননা শারীরিক দক্ষতার অভ্যাস অল্প বিষয়ে স্বফলদায়ক হয় ; কিন্তু ভক্তি সৰ্ব্ববিষয়ে সুফলদায়িকা, তাহা জীবনের ৯ প্রতিজ্ঞাযুক্ত, বৰ্ত্তমান ও ভবিষ্যৎ জীবনের । এই কথা ১০ বিশ্বসনীয় এবং সৰ্ব্বতোভাবে গ্রহণের যোগ্য ; কারণ ইহারই নিমিত্ত আমরা পরিশ্রম ও প্রাণপণ করিতেছি । কেননা আমরা জীবন্ত ঈশ্বরে প্রত্যাশা করিয়া আসিতেছি, যিনি সমস্ত মনুষ্যের, বিশেষতঃ বিশ্বাসিবর্গের ত্ৰাণকৰ্ত্ত । ১১ তুমি এই সকল বিষয় আজ্ঞা কর ও শিক্ষা দেও। ১২ তোমার যৌবন কাহাকেও তুচ্ছ করিতে দিও না ; কিন্তু বাক্যে, আচার ব্যবহারে, প্রেমে, বিশ্বাসে, ও শুদ্ধতায় বিশ্বাসিগণের আদর্শ হও । ১৩ আমি যত দিন না আসি, তুমি পাঠ করিতে এবং ১৪ প্রবোধ ও শিক্ষা দিতে নিবিষ্ট থাক। তোমার অন্তরস্থ সেই অনুগ্রহ-দান অবহেলা করিও না, যাহা ভাববাণী দ্বারা প্রাচীনবর্গের হস্তাপণ সহকারে তোমাকে দত্ত ১৫ হইয়াছে। এ সকল বিষয়ে চিন্তা কর, এ সকলে স্থিতি ১৬ কর, যেন তোমার উন্নতি সকলের প্রত্যক্ষ হয়। আপনার ১ তীমথিয় ।

  • 、○○

বিষয়ে ও তোমার শিক্ষার বিষয়ে সাবধান হও, এ সকলে স্থির থাক ; কেননা তাহা করিলে তুমি আপনাকে ও যাহারা তোমার কথা শুনে, তাহাদিগকেও পরিত্রাণ করিবে । (C তুমি কোন প্রাচীনকে তিরস্কার করিও না, কিন্তু তাহাকে পিতার ন্যায়, যুবকদিগকে ভ্রাতার ২ ন্যায়, প্রাচীনাদিগকে মাতার ন্যায়, যুবতীদিগকে সম্পূর্ণ শুদ্ধ ভাবে ভগিনীর ন্যায় জানিয়া অনুনয় কর । মণ্ডলীস্থ বিধবাদের বিষয় । ৩ যাহারা প্রকৃত বিধবা, সেই বিধবাদিগকে সমাদর ৪ কর। কিন্তু যদি কোন বিধবার পুত্র কি পৌত্র থাকে, তবে ইহার প্রথমতঃ নিজ বাটীর লোকদের প্রতি ভক্তি প্রকাশ করিতে ও পিতামাতার প্রত্যুপকার করিতে শিক্ষা করুক ; কেননা তাহাই ঈশ্বরের সাক্ষাতে গ্ৰাহা । ৫ যে স্ত্রী প্রকুত বিধলা ও অনাথ, সে ঈশ্বরের উপরে প্রত্যাশা রাখিয় রাত দিন বিনতি ও প্রার্থনায় নিবিষ্ট ৬ থাকে। কিন্তু যে বিলাসিনী, সে জীবদ্দশায় মৃত । ৭ এই সমস্ত আজ্ঞা কর, যেন তাহারা অনিন্দনীয় হয়। ৮ কিন্তু কেহ যদি আপনার সম্পৰ্কীয় লোকদের, বিশেষতঃ নিজ পরিজনগণের জন্য চিন্ত না করে, তাহা হইলে সে বিশ্বাস অস্বীকার করিয়াছে, এবং অবিশ্বাসী অপেক্ষ অধম হইয়াছে। ৯ বিধবা বলিয়া কেবল তাহাকেই গণনা করা হউক, যাহার বয়স ষাটি বৎসরের নীচে নয়, ও যাহার একমাত্র ১০ স্বামী ছিল, এবং যাহার পক্ষে নানা সৎকৰ্ম্মের প্রমাণ পাওয়া যায় ; অর্থাৎ যদি সে সন্তানদের লালন পালন করিয়া থাকে, যদি অতিথি-সেবা করিয়া থাকে, যদি পবিত্রদিগের পা ধুইয়া থাকে, যদি ক্লিষ্টদিগের উপকার করিয়া থাকে, যদি সমস্ত সৎকৰ্ম্মের অনুসরণ করিয়া ১১ থাকে। কিন্তু যুবতী বিধবাদিগকে অস্বীকার কর, কেননা খ্রীষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিলাসিনী হইলে তাহারা বিবাহ ১২ করিতে চায় : তাহারা প্রথম বিশ্বাস অগ্রাহ্য করাতে ১৩ দণ্ডাজ্ঞা প্রাপ্ত হয়। ইহা ছাড়া তাহারা বাড়ী বাড়ী ঘূরিয়া বেড়াইয়া অলস হইতে শিখে ; কেবল অলসও নয়, বরং বাচাল ও অনধিকারচর্চাকারিণী হইতে ও ১৪ অনুচিত কথা কহিতে শিখে । অতএব আমার বাসনা এই যুবতী { বিধবারা ] বিবাহ করুক, সন্তান প্রসব করুক, গৃহে কর্তৃত্ব করুক, বিপক্ষকে নিন্দ করিবার ১৫ কোন স্বত্র না দিউক । কেননা ইতিপূৰ্ব্বেও কেহ কেহ ১৬ শয়তানের পশ্চাৎ বিপথগামিনী হইয়াছে। যদি কোন বিশ্বাসিনী মহিলার ঘরে বিধবাগণ থাকে, তিনি তাহাদের উপকার করুন ; মণ্ডলী ভারগ্রস্ত না হউক, যেন প্রকৃত বিধবাগণের উপকার করিতে পারে। নানাবিধ উপদেশ । ১৭ যে প্রাচীনের উত্তমরূপে শাসন করেন, বিশেষতঃ র্যাহারা বাক্যে ও শিক্ষাদানে পরিশ্রম করেন, তাহার। 203