৬ ; ১৩—৭ ; ২৫ 1] কেননা ঈশ্বর যখন অব্রাহীমের নিকটে প্রতিজ্ঞা করিলেন, তখন মহত্তর কোন ব্যক্তির নামে শপথ করিতে না পারাতে আপনারই নামে শপথ করিলেন, ১৪ কহিলেন, “আমি অবশ্যই তোমাকে আশীৰ্ব্বাদ করিব, ১৫ এবং তোমার অতিশয় বংশবৃদ্ধি করিব।” * আর এই রূপে দীঘসহিষ্ণুতা করিয়া তিনি প্রতিজ্ঞ প্রাপ্ত ১৬ হইলেন। মনুষোর ত মহত্তর ব্যক্তির নাম লইয়া শপথ করে ; এবং দৃঢ়ীকরণার্থে শপথই তাহীদের সমস্ত প্রতিকুলবাদের অন্তক। এই ব্যাপারে ঈশ্বর প্রতিজ্ঞার দায়াধিকারী:দিগকে আপন মন্ত্রণার অপরিবর্তনীয়তা আরও অতিরিক্তরূপে দেখাইবার বাসনায় শপথের ১৮ প্রয়োগ দ্বারা মধাস্থালী করিলেন : অভিপ্রায় এই, যে ব্যাপারে মিথাণকথা বলা ঈশ্বরের অসাধা, এমন অপরিবৰ্ত্তনীয় দুই ব্যাপার দ্বারা আমরা—যাহারা সম্মুখস্থ প্রত্যাশা ধরিবার জন্ত শরণার্থে পলায়ন করিয়াছি – ১৯ যেন দৃঢ় আশ্বাস প্রাপ্ত হই। আমাদের সেই প্রতাশ৷ আছে, তাহ প্রাণের লঙ্গরস্বরূপ, অটল ও দৃঢ়, । ২• এবং তিরস্করিণীর ভিতরে ষায় ৷ + আর সেই স্থানে আমাদের নিমিত্ত অগ্রগামী হইয়া যীশু প্রবেশ । করিয়াছেন, যিনি মন্ত্রীষেদকের রীতি অনুযায়ী অনন্তকালীয় মহাযাজক হইয়াছেন । যীশুর মহাযাজকত্ব সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ, সিদ্ধ, চিরস্থায়ী । o সেই যে মন্ধীষেদক, যিনি শালেমের রাজা ও পরাৎপর ঈশ্বরের যাজক ছিলেন, অব্রাহাম যখন রাজাদের সংহার হইতে ফিরিয়া আইসেন, তিনি তখন র্তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিলেন, ও তাহাকে আশীৰ্ব্বাদ ২ করিলেন, এবং অব্রাহাম তাহাকে সমস্তের দশমাংশ দিলেন । প্রথমে তাহার নামের তাৎপর্যা ব্যাখ্যা করিলে তিনি ধাৰ্ম্মিকতার রাজা’, পরে “শালেমের রাজা” ৩ অর্থাৎ শান্তিরাজ ; তাহার পিতা নাই, মাতা নাই, । পূৰ্ব্বপুরুষাবলি নাই, আবুর আদি কি জীবনের অন্ত । নাই ; কিন্তু তিনি ঈশ্বরের পুত্রের সদৃশীকৃত ; তিনি। নিতাই যাজক থাকেন । বিবেচনা করিয়া দেখ, তিনি কেমন মহান, যাহাকে । অব্রাহাম, সেই পিতৃকুলপতি, উত্তম উত্তম লুটদ্রব্য ৫ লইয়া দশমাংশ দান করিয়াছিলেন । আর লেবির সন্তানদের মধ্যে যাহারা যাজকত্ব প্রাপ্ত হয়, তাহার ব্যবস্থানুসারে প্রজাবৃন্দের অর্থাৎ নিজ ভ্রাতৃগণের কাছে দশমাংশ গ্রহণ করিবার বিধি পাইয়াছে, $ যদিও । তাহারা অব্রাহীমের বংশ হইতে উৎপন্ন হইয়াছে : ৬ কিন্তু ঐ যে ব্যক্তি তাহদের বংশজাত বলিয়া নিদিষ্ট । নহেন, তিনি অব্রাহাম হইতে দশমাংশ লইয়াছিলেন, । এবং প্রতিজ্ঞাকলাপের সেই অধিকারীকেই আশীৰ্ব্বাদ ס-פ y a 8 ইব্রীয় ।
- > ○
৮ বহির্ভূত। আবার এই স্থলে মরণশীল মনুষ্যেরাই দশমাংশ পায়, কিন্তু ঐ স্থলে তিনি পান, যাহার বিষয়ে এমন সাক্ষ্য দেওয়া হইয়াছে যে, তিনি জীবনবিশিষ্ট । ৯ আবার ইহাও বলিলে বলা যাইতে পারে য, অব্রাহামের দ্বারা দশমাংশগ্রাহী লেবি আপনি দশমাংশ দিয়াছেন, ১০ কারণ যখন মন্ত্রীষেদক তাহার পিতার সহিত সাক্ষাৎ করেন, তখন লেবি পিতার কটিতে ছিলেন । অতএব যদি লেৰীয় যাজকত্ব দ্বারা সিদ্ধি হইতে পারিত—সেই যাজকত্বের অধীনেই ত প্রজাবৃন্দ ব্যবস্থা পাইয়াছিল—তবে আবার কি প্রয়োজন ছিল যে, মন্ধীষেদকের রীতি অনুসারে অন্তবিধ এক যাজক উৎপন্ন হইবেন, এবং তাহাকে হারোণের রীতি অনুযায়ী বলিয়া ১২ ধরা হইবে না ? যাজকত্ব যখন পরিবর্তিত হয়, তখন ১৩ ব্যবস্থারও পরিবর্তন হয়, ইহা আবশ্যক । এ সকল কথা যাহার উদ্দেশে বলা যায়, তিনি ত অদ্যবিধ বংশভুক্ত ; সেই বংশের মধ্যে যজ্ঞবেদির সেবাধিকারী কেহই হয় ১৪ নাই। ফলতঃ আমাদের প্রভু যিহ্রদ হইতে উদিত হইয়াছেন, ইহা সুস্পষ্ট ; কিন্তু সেই বংশের উদ্দেশে ১৫ মোশি যাজকদের বিষয়ে কিছুই বলেন নাই। আমাদের কথা আরও অধিক স্পষ্ট হইয় পড়ে, যখন মন্ধীষে । দকের সাদৃশ্ব অনুযায়ী আর এক জন যাজক উৎপন্ন হন ১৬ যিনি মাংসিক বিধির নিয়ম অনুযায়ী হন নাই, কিন্তু ১৭ অলৌপ্য জীবনের শক্তি অনুযায়ী হইয়াছেন। কেননা তিনি এই সাক্ষ্য প্রাপ্ত হইতেছেন, “তুমিই মন্ধীষেদকের রীতি অনুসারে অনন্তকালীয় যাজক ।” কারণ এক পক্ষে পূৰ্ব্বকার বিধির দুৰ্ব্বলতা ও ১৯ নিষ্ফলতা প্রযুক্ত তাহার লোপ হইতে ছ—কেননা ব্যবস্থা কিছুই সিদ্ধ করে নাই—পক্ষান্তরে এমন এক শ্রেষ্ঠ প্রত্যাশা আনা হইতেছে, যদ্বারা আমরা ঈশ্বরের নিকটে উপস্থিত হই । ২১ অধিকন্তু ইহা বিনা শপথে হয় নাই। উহার ত বিনা শপথে যাজক হইয়া আসিতেছে ; কিন্তু ইনি শপথ সহকারে তাহারই দ্বারা নিযুক্ত, যিনি তাহার বিষয়ে কহিলেন, “প্ৰভু এই শপথ করিলেন, আর তিনি অনুশোচনী করিলেন না, তুমিই অনন্তকালীয় যাজক।” ৰু ২২ অতএব যীশু এইরূপ মহৎ বিষয়েও উৎকৃষ্টতর নিয় মের প্রতিভু হইয়াছেন। আর উহারা অনেক যাজক হইয়া আসিতেছে, কারণ মৃত্যু উহাদিগকে চিরকাল থাকিতে দেয় না। ২৪ কিন্তু তিনি ‘অনন্তকাল থাকেন, তাই তাহার যাজকত্ব > y y br to e දී ම ৭ করিয়াছিলেন। ক্ষুদ্রতর পাত্র গুরুতর পাত্ৰকর্তৃক | ২৫ অপরিবর্তনীয়। এই জন্ত, যাহারা তাহ দিয়া ঈশ্বরের আশীৰ্ব্বাদ প্রাপ্ত হয়, এই কথা ত সমস্ত প্রতিবাদের ۹ د و به د: ۹ د آtی * + লেীয় ১৬ : ২ । ইব্রীয় ৯ ; ২-১২ ৷ # আদি ১৪ ; ১৭-২৪ । $ গণনা ১৮ ; ২১ । নিকটে ডপস্থিত হয়, তাহাদিগকে তিনি সম্পূর্ণরূপে পরিত্রাণ করিতে পারেন, কারণ তাহীদের নিমিত্ত অনুরোধ করণার্থে তিনি সতত জীবিত আছেন।
- গীত ১১০ ; ৪ ।
213