१ ४ 8. ২৬ বস্তুতঃ আমাদের জন্য এমন এক মহাযাজক উপ যুক্ত ছিলেন, যিনি সাধু, অহিংসক, বিমল, পাপিগণ । হইতে পৃথককৃত, এবং স্বর্গ সকল অপেক্ষ উচ্চীকৃত। ২৭ ঐ মহাযাজকগণের ন্যায় প্রতিদিন অগ্ৰে নিজ পাপের, পরে প্রজাবৃন্দের পাপের নিমিত্ত নৈবেদ্য উৎসর্গ করা ইহঁর পক্ষে আবশ্যক নয়, কারণ আপনাকে উৎসর্গ করাতে ইনি সেই কাৰ্য্য একবারে সাধন ২৮ করিয়াছেন । কেননা ব্যবস্থা যে মহাযাজকদিগকে নিযুক্ত করে, তাহারা দুৰ্ব্বলতাবিশিষ্ট মনুষ্য ; কিন্তু ব্যবস্থার পশ্চাৎকালীয় ঐ শপথের বাক্য বাহকে নিযুক্ত করে, তিনি অনন্তকালের জন্য সিদ্ধিপ্রাপ্ত পুত্র। খ্ৰীষ্টীয় নুতন নিয়মের মহত্ব । নূতন নিয়ম পুরাতন হইতে উৎকৃষ্ট । এই সমস্ত কথার সার এই, আমাদের এমন এক মহাযাজক আছেন, যিনি স্বর্গে, মহিমা১ সিংহাসনের দক্ষিণে, উপবিষ্ট হইয়াছেন । তিনি পবিত্র স্থানের, এবং যে তাম্বু মনুষ্যকর্তৃক নয়, কিন্তু প্রভুকর্তৃক স্থাপিত হইয়াছে, সেই প্রকৃত তাম্বুর ৩ সেবক । ফলতঃ প্রত্যেক মহাযাজক উপহার ও বলি উৎসর্গ করিতে নিযুক্ত হন, অতএব ইহারও অবশ্য ৪ কিছু উৎসর্জনীয় আছে। বস্তুতঃ ইনি যদি পৃথিবীতে থাকিতেন, তবে একেবারে যাজকই হইতেন না : কারণ যাহারা ব্যবস্থানুসারে উপহারাদি উৎসর্গ ৫ করে, এমন লোক আছে । তাহারা স্বগীয় বিষয়ের দুষ্টান্ত ও ছায় লইয়। আরাধনা করে, যেমন মোশি যখন তাম্বুর নির্মাণ সম্পন্ন করিতে উদ্যত ছিলেন, তখন এই আদেশ পাইয়াছিলেন, [ ঈশ্বর ! কহেন, “দেখিও, পৰ্ব্বতে তোমাকে যে আদর্শ দেখান গেল, ৬ সেইরূপ সকলই করিও।” * কিন্তু এখন ইনি সেই পরিমাণে উৎকৃষ্টতর সেবকত্ব পাইয়াছেন, যে পরিমাণে তিনি এমন এক শ্রেষ্ঠ নিয়মের মধ্যস্থ হইয়াছেন, ইব্রীয় । যাহা শ্রেষ্ঠ প্রতিজ্ঞাকলাপের উপরে স্থাপিত হইয়াছে। ৭ কারণ ঐ প্রথম নিয়ম যদি নির্দোষ হইত, তবে দ্বিতীয় এক নিয়মের জন্য স্থানের চেষ্টা করা যাইত ৮ না। পরন্তু তিনি লোকদিগকে দোষ দিয়া বলেন, “ প্রভু কহেন, দেখ, এমন সময় আসিতেছে, যখন আমি ইস্রায়েল-কুলের সহিত ও যিহ্ৰদ-কুলের সহিত এক নূতন নিয়ম সম্পন্ন করিব, সেই নিয়মানুসারে নয়, যাহা আমি সেই দিন তাহাদের পিতৃগণের সহিত করিয়াছিলাম, যে দিন মিসর দেশ হইতে তাহাদিগকে বাহির করিয়া আনিবার জন্য তাহদের হস্ত গ্রহণ করিয়াছিলাম ; কেননা তাহারা আমার নিয়মে স্থির রহিল না, আর আমিও তাঁহাদের প্রতি অবহেলা করিলাম, ইহ প্রভু বলেন।
- যাত্রা ২৫ ; ৪০ ৷
[ १ ; २७-> ; २० ॥ কিন্তু সেই কালের পর আমি ইস্রায়েল-কুলের সহিত এই নিয়ম স্থির করিব, ইহা প্রভু বলেন ; আমি তাহীদের চিত্তে আমার ব্যবস্থা দিব, আর তাহদের হৃদয়ে তাহ লিখিব, এবং আমি তাহদের ঈশ্বর হইব, ও তাহারা আমার প্রজা হইবে । আর তাহার প্রত্যেকে আপন আপন সহপ্রজাকে, এবং প্রতোকে আপন আপন ভ্রাতাকে শিক্ষা দিবে না, বলিবে না, তুমি প্রভুকে জ্ঞাত হও’ ; কারণ তাহার ক্ষুদ্র ও মহান সকলেই আমাকে জ্ঞাত হইবে। কেননা আমি তাহীদের অপরাধ সকল ক্ষমা করিব, এবং তাহীদের পাপ সকল আর কখনও স্মরণে আনিব না । * ১৩ নূতন’ বলাতে তিনি প্রথমটা পুরাতন করিয়াছেন : কিন্তু যাহ। পুরাতন ও জীর্ণ হইতেছে, তাহ অন্তৰ্হিত হইতে উদ্যত । নূতন নিয়মের আরাধনা-প্রণালীর উৎকৃষ্টত। এবং শুচিকারিণী ক্ষমতা । > ভাল, ঐ প্রথম নিয়ম অনুসারেও আরাধনার নানা ধৰ্ম্মবিধি এবং পার্থিব একটা ধৰ্ম্মধাম ২ ছিল । কারণ একটী তাম্বু নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল, সেটী প্রথম, তাহার মধ্যে দ্বীপবৃক্ষ, মেজ ও দর্শন রুটীর ৩ শ্রেণী ছিল ; ইহার নাম পবিত্র স্থান । আর দ্বিতীয় তিরস্করিণীর পরে অতি পবিত্র স্থান নামক তাম্বু ৪ ছিল ; তাহ সুবর্ণময় ধূপধানী + ও সৰ্ব্বদিকে স্বর্ণমণ্ডিত নিয়ম-সিন্দুক বিশিষ্ট ; ঐ সিন্দুকে ছিল মান্নাধারী স্বর্ণময় ঘট, ও হারোণের মঞ্জরিত যষ্টি, ও ৫ নিয়মের দুই প্রস্তরফলক, এবং তাহার উপরে প্রতাপের সেই দুই করব, যাহারা পাপাবরণ ছায়া করিত : এই সকলের সবিশেষ কথা বলা এখন নিম্প্রয়োজন । উক্ত সকল বস্তু এইরূপে প্রস্তুত হইলে যাজকগণ আরাধনার কার্য্য সকল সম্পন্ন করিবার জন্য ঐ ৭ প্রথম তাম্বুতে নিত্য প্রবেশ করে ; কিন্তু দ্বিতীয় তাম্বুতে বৎসরের মধ্যে এক বার মহাযাজক একাকী প্রবেশ করেন ; তিনি আবার রক্ত বিনা প্রবেশ করেন না, সেই রক্ত তিনি আপনার নিমিত্ত ও প্রজ লোকদের অজ্ঞানকৃত পাপের নিমিত্ত উৎসর্গ করেন। ৮ ইহাতে পবিত্র আত্মা যাহা জ্ঞাপন করেন, তাহ এই, সেই প্রথম তাম্বু যাবৎ স্থাপিত থাকে, তাবৎ ৯ পবিত্র স্থানে প্রবেশের পথ প্রকাশিত হয় নাই। সেই তাম্বু এই উপস্থিত সময়ের নিমিত্ত দৃষ্টান্ত ; সেই দৃষ্টান্ত অনুসারে এমন উপহার ও যজ্ঞ উৎসর্গ করা হয়, যাহা আরাধনাকারীকে সংবেদগত সিদ্ধি দিতে পারে ১• না ; সে সমস্তই খাদ্য, পেয় ও বিবিধ বাপ্তিস্ম সহযুক্ত, | gت - د است و دfarafiqu o * + ( বা ) ধপবেদি । 8 > y Y R مايا 214