কথা বলা আর কথা শোনা, ভাত রাঁধা আর ভাত খাওয়া, বাসা বাঁধা আর বাসা ভাড়া নেওয়া, গাড়ী চালানো আর গাড়ী চড়া, ছবি দেখা ও ছবি লেখা,—একদিকে রইলো সামগ্রীটার উপভোগ, আর একদিকে রইল ভোগ করবার বস্তুটির প্রস্তুতকরণের নানা প্রকরণ। প্রকরণের সঙ্গে আর্টিষ্টের যোগ, আর যা’ করা হ’ল তার উপভোগের সঙ্গে যোগ হ’ল দর্শকের শ্রোতার এককথায় ভোক্তার। এ যেন একজন নানা উপায়ে উপচারে নৈবেদ্য সাজিয়ে ধরছে, আর একজন সেটা রয়ে' বসে’ ভোগ করে চলেছে—মালী যেন ফুল ফুটিয়ে ধরছে বাগানের মালিকের সামনে। মালাকর মালা গেঁথেই চল্লো—পরের সঙ্গে অপরের মিলনের মালা; গাঁথনীর কৌশল ফুলের পাশে ফুলকে ধরার প্রক্রিয়ার মধ্যে যে আনন্দ সেইটুকু পেলে মালাকর, আর যারা দুজনে সেই মালায় একের পাশে আরেকে চিরকালের মত ধরা পড়ে' গেল তারা পেল আরেক জিনিস। যা নিজের মালিনীকে পরানো চল্লো না, নিজের ঘরেও ধরে রাখা চল্লো না—পরের জন্যই যার সবখানি এমন যে মালা সে মালা সুকৌশলে গেঁথে চলার কায নিয়ে মালাকর কেমন করে' দিন কাটায় যদি না গাঁথনী করে' চলার মধ্যেই মালাকরের সকল আনন্দ লুকোনো থাকে? যারা আর্টিষ্ট, প্রকরণের সফলতা লাভের তপস্যা তাদের করতেই হয়। কিন্তু এই তপস্যায় যদি কেবলি কঠোর তপ থাকতো অথচ সঙ্গে সঙ্গে কার্য করার আনন্দ না থাকতো, তবে যেমন তেমন করেই কায সারতে চাইতো সবাই, আর তাদের কাযগুলো কলে প্রস্তুত জিনিসের মতো কায দিতো কিন্তু আনন্দ দিতো না। নিয়ম ও প্রকরণ এবং তার কঠোরতাই ফোটে নির্মমভাবে কলের কাযে, আর মানুষের আর্টে অনিয়ন্ত্রিত আনন্দ ও মুক্তির স্বাদ এসে লাগে। আর্টের প্রকরণগুলোতে আনন্দ না মিশলে আর্ট হ’ত ফটোগ্রাফের মতন অসম্পূর্ণ জিনিস। “There is fascination in the technical side of art without which artists would stop short so soon as the excitement he experienced on first tackling his subject