ছোঁয়াছুঁয়ি, বুকে বুকে লাগা একে বলতে পারা গেল না। ভারি সুন্দর লাগে যখন মানুষটির সঙ্গে মানুষের হৃদয় বাইরেটির সঙ্গে ভিতরের ভাবগুলি সুন্দর মিল নিয়ে এসে লাগে মনে।
শিল্প-সামগ্রী সংগ্রহের সময়ে একখানা পার্সি কেতাবের খালি মলাট হাতে পড়ে’ সেখানে মলাটখানাই একটা বাইরের এবং ভিতরের সৌন্দর্য নিয়ে উপস্থিত হয় সামনে। এইভাবে কত সমুদ্রের ঝিনুক ফুলের পাপড়ির মতো হাতে পড়েছে, আশ্চর্য বর্ণ আশ্চর্য সৌন্দর্য নিয়ে। প্রত্যেক বারেই লক্ষ্য করেছি চোখ এবং মন দুই-ই আকর্ষণ করেছে বস্তুগুলি। শাস্ত্রে সুন্দরের কতকগুলো লক্ষণ দিয়ে বলা হয়েছে এই হ’লেই হ’ল রমণীয়, কিন্তু শুধু চোখে এবং দূরবীক্ষণ লাগিয়ে ও তারপরে অণুবীক্ষণ দিয়ে দেখেও সুন্দর সম্বন্ধে শেষ কথা স্বর্গ মর্ত্য পাতালে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না। আকাশের রামধনুতে যিনি সুন্দর, তিনি রয়েছেন পৃথিবীর ধূলিকণায়, তিনিই রয়েছেন অতলের তলাকার একটুকরো ঝিনুকের ভিতরে বাইরে সমান সৌন্দর্য ও শোভা বিকীর্ণ করে’— হৈ সবমেঁ সবহীতেঁ ন্যারা!