পাতা:বাগেশ্বরী শিল্প-প্রবন্ধাবলী.djvu/২৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
২৫৬
বাগেশ্বরী শিল্প প্রবন্ধাবলী

অরুণ রাঙা চরণ ফেলে নয়ন ভুলানো এলে ! আলো-ছায়ার আঁচল খানি লুটিয়ে পড়ে বনে বনে, ফুলগুলি ঐ মুখে চেয়ে কি কথা কয় মনে মনে । তোমায় মোরা করব বরণ, মুখের ঢাকা করব হরণ, ঐটুকু ঐ মেঘাবরণ ফু হাত দিয়ে ফেল ঠেলে ! নয়ন ভুলানো এলে ! বনদেবীর দ্বারে দ্বারে শুনি গভীর শঙ্খ ধ্বনি, আকাশ বীণার তারে তারে জাগে তোমার আগমনী । কোথায় সোনার নূপুর বাজে, বুঝি আমার হিয়ার মাঝে সকল ভাবে সকল কণযে পাষাণ-গলা সুধা ঢেলে নয়ন ভুলানো এলে ।” —রবীন্দ্রনাথ পর্বতের পাষাণের কামনা পাষাণ-গলানো রূপের ঝরণা হয়ে রইলো—সে এক রূপ সে এক ভাব সে এক স্বর দিলে, মরুভূমির বুক জুড়িয়ে ঝরণা নদীরূপে বইলো—সে আর এক রূপ আর এক ভাব আর এক মুর দিলে। নদী সমুদ্র হয়ে কুল হারালে, নীল ছন্দে দুলতে থাকলে —সে এক,—সমুদ্র ঘন মেঘের দিক-ভোলানো রূপ ধরে নীল পর্বতের কোলে এসে লুকোলো বৃষ্টি জলের ঝরণা বইয়ে,—সে অন্ত। এই এক থেকে অন্তে, অন্ত থেকে আর একে—এদেরই ধরে ধরে’ মন-ভোলানো পাষাণ-গলানে কামনাসূত্রে গেঁথে গেথে রচনা করলেন যিনি রূপদক্ষ তিনি অদৃষ্টপূর্ব মনোরম রূপের মালা গাছি।