মধ্যেও পশ্চিমের আর্য সভ্যতার দূত সমস্ত নানা ভাবে নানা ক্রিয়া করে’ চলেছে আজকের ভারতবর্ষে। এ ছাড়া আকৃতির হিসেবে দেখছি আর্য ছাঁদের মানুষ, কিন্তু বৃত্তির হিসেবে দেখছি রাক্ষস বা দস্যু এবং বুদ্ধির হিসেবে একেবারে বর্বর—এরও প্রত্যক্ষ প্রমাণ পৃথিবী জোড়া আর্যদের মধ্যে আজও ছড়ানো দেখতে পাই। সুতরাং যদি বলি ভারতের মধ্যে একটা জাত আর্যব্রত, অন্যব্রত এবং অকর্মা এই তিন থাকে বিভক্ত ছিল ভারতশিল্পের উৎকর্ষের শৈশবাবস্থায়, তবে একেবারে যে অসঙ্গত কল্পনা করা হ’ল তা নয়।
আর্য যাঁরা ভারতবর্ষে বৈদিক যুগে বাস করছেন, তাঁদের মধ্যেই আমরা নানা শ্রেণীর নানা থাকে বিভক্ত মানুষ দেখি—একদল আরণ্যক, তাঁরা বনে বাস করেছেন, একদল বণিক, একদল যোদ্ধা, একদল চিকিৎসক ও যাদুকর, এঁরা সবাই একটা জাতিরই ভিন্ন ভিন্ন থাক—এঁদের মধ্যে কারিগরদেরও নাম পাই যাঁরা স্পষ্টভাবে অন্যব্রত।
হঠাৎ একদল মানুষ সিঁড়ি না ভেঙে তেতালায় উঠে’ এল, উড়োকল সৃষ্টি না করে’ উড়ে’ পড়লো আকাশে—এ অসম্ভব কল্পনা আর্টিষ্ট হ’য়েও বিশ্ববিদ্যালয়ে দাঁড়িয়ে বলা আমার পক্ষে নিরাপদ নয়। আর্যরা পেয়ে গেলেন এবং নিয়ে এলেন এদেশে সকল সভ্যতা, সকল বিদ্যা হঠাৎ—এ বল্লে অনেক আপদ এড়িয়ে যাওয়া চলে কিন্তু নিজের মনের কাছ থেকে খোঁচার শেষ হয় না।
আর্যজাতি বলতে মস্ত একটা দল যা পৃথিবীর অনেকখানি জুড়ে’ বসবাস করছিল। তাদের উপরে পণ্ডিতেরা নানা দিক থেকে আলো ফেলে আমাদের দেখিয়েছেন যে, যেমন এদের চেহারায় মিল তেমনি ভাষাতেও মিল—এই মিলটা ক্রিয়াবান, এবং ক্রিয়াহীনে একেবারেই লক্ষ্য করা যায় না। এ দল ব্রত করে, যজ্ঞ করে, ও-দল ব্রতভঙ্গ করে যজ্ঞনাশ করে; এ-দল গড়ে, ভাষা দিয়ে গড়ে, সুর দিয়ে গড়ে, হাত দিয়ে গড়ে, মন দিয়ে গড়ে, বুদ্ধি দিয়ে গড়ে; আর ও-দল তারা গড়তে পারে না—ছেলেরা যেমন তেমনি—কেবলি গড়া জিনিষ পেলেই ভাঙে; এর কালো ওরা সাদা। এই শেষের দলকে অকর্মা বলে’ ধরা চল্লো, কিন্তু এই আর্য এবং অন্যব্রত এদের দুটো জাত বলে’ না ধরে’ যদি একই জাতির দুটো থাক বলে’ ধরা যায়, তা হ’লে আর্য