পাতা:বাগেশ্বরী শিল্প-প্রবন্ধাবলী.djvu/৩৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৩২৪
বাগেশ্বরী শিল্প প্রবন্ধাবলী

ফুটছে যা দেখে দেখে আমরা সময়ে সময়ে ভয় পেয়ে বলি বুঝি আর্টের সঙ্গে আপনাদেরও হারাতে বসেছি আমরা । ঠিক এই কথাই একদিন হয়তো বলেছিলেম আমরা মোগল আমলে এবং তার পূর্বে ও তারো পূর্বে—পরধর্মে ভয়াবহ: ; কিন্তু ভয়ের মধ্য দিয়ে তবে অাসে অভয়ঙ্কপ আশীৰ্বাদ—এই সত্য এখনো দেশের শিল্পীরা সিংহবাহিনী দেবীমূর্তি দিয়ে ঘোষণা করছে, যুগ যুগ আগেও কৃষ্ণবর্ণোস্তব শ্বেতবর্ণ উষা ভারতবাসী আর্যশিল্পীদের রচনার মধ্য দিয়ে ফুটেছে কতবার। রাধ। শু্যাম ভিন্ন এবং এক, গোচর রূপ এবং অগোচর রসরূপ দুই মিলে এক— এ কথা বর্ণে বর্ণে অক্ষরে অক্ষরে সত্য করে তুলেছে আর্য এবং অনার্য দুয়ে মিলে নিজেদের শিল্পে। ভারতশিল্পের সূত্ৰ হ’ল এই—রুপের সঙ্গে রূপাতীত এক হ’য়ে গাথা। যুগে যুগে একটি একটি যুগচিহ্ন যা আমাদের শিল্পের ধারা রেখে গেল ফেলে দেশের উপরে তার প্রত্যেকটি এই সূত্র ধরে রইলো। “সব মূৱত বীচ অমূরত", মূতের সঙ্গে মিলিয়ে রইলো অমূতও । গাছের ফুল হাতের সূতোয় মিলে’ হ’ল এক গাছি মালা, মানব শিল্পী আর দেব শিল্পী দুয়ের মিলনে হ’ল রসরচনা, এ সব কথা কবীর যিনি মুসলমান হয়েও আর্য্য তিনিও বল্লেন, ঋষি যিনি আর্য হয়েও অনার্য তিনিও বল্লেন ।