পাতা:বাগেশ্বরী শিল্প-প্রবন্ধাবলী.djvu/৩৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রূপের মান ও পরিমাণ SSS রস ফলের স্বস্বাদ নেই, আসল ফল মাটিতে পড়লে ফেটে পড়ে রস, মাটির ফল সেও ভাঙে মাটিতে পড়লে—ছেলের মনে করুণরস জাগায়, বুড়োর মনে. রাগ পৌছে দেয়, কিন্তু এত করেও সমান বলা গেল না । মাটির ফলে পিপড়ে লাগে না পোকা পড়ে না, পার্থী ঠোকরায় যদি বা কিন্তু ঠোকর দিয়েই বোঝে মাটি । রূপের অস্তরে বাহিরে প্রত্যক্ষ ও অপ্রত্যক্ষ, পরোক্ষ অপরোক্ষ, নিজস্ব পরস্ব, সমান ও "অসমানের নিয়ম প্রমাণ দিচ্ছে—রুপ সকল প্রতিরূপ নয়, প্রতিবিম্ব নয়, তার প্রত্যেকেই স্বয়ংরূপ। কায়ায় ছায়ায় মিলে’ অাছে অথচ যেমন মিলে’ নেইও, তেমনি রূপের বাইরের সঙ্গে মিলছে রূপকারী কায—অথচ মিলছেও না । রূপের বেলায় বহুবচন, প্রমাণের বেলাতেও বহুবচন রূপশাস্ত্রকার প্রয়োগ করে’ বল্লেন—“রূপভেদঃ প্রমাণানি” । রূপের বহুভেদ যেমন, প্রমাণেরও তেমন বহুভেদ । রূপের বহিরঙ্গীন অংশ ও তার মান পরিমাণ রূপের আভ্যন্তরীণ অংশ ও তার মান পরিমাণ এবং ভিতর বাহির ইত্যাদি মিলিয়ে স্বপ্রমাণিত রূপ সকল—এই হ’ল তাবৎ রূপরচনার মূল কথা । নির্দিষ্ট মান পরিমাণ আর অনিদিষ্ট মান পরিমাণ ধরে দুই প্রকারের রূপ। বিধাতার দেওয়া রূপ সমস্ত আর আর্টিষ্টের দেওয়া রূপ সমস্ত— ছয়ের স্বতন্ত্র মান পরিমাণ। আর্টিষ্টের মানস যেখানে আপন রাস্ত। ধরলে সেখানে চোখে দেখার অপেক্ষা নেই, মনোমত মান পরিমাণ ধরে’ রূপের গঠন হ’ল সেখানে ; স্থিরতা নেই রূপের প্রমাণের ভাবের লাবণ্যের সাদৃশ্বের বর্ণের হিসেবে, প্রবল ভেদনীতি ধরে বিধাতার সৃষ্টির সমকক্ষ সমতুল্য হ’তে চল্লো সেখানে রসসৃষ্টি মানুষের । g দাড়ি ও মাঝি দুজন রূপে গুণে অসমান। নৌকাটি চালাবার ভার কিন্তু হুজনেরই উপর । দাড়ি মাঝি সমান নয় দুজনে—তরী চল্লেী, দুয়ের ক্রিয়ার বৈপরীত্য লক্ষ্যের একত্ব ধরলে। দাড়ি চল্লো দাড় টেনে ঝুপ ঝাপ, মাঝি রইলো হাল ধরে চুপ চাপ, কিন্তু পারঘাটের দিকে মন রাখলে হুজনেই সমানভাবে। খালে বিলে যে মাঝি সেই দাড়ি একই লোক সমানে অসমানে মিলিয়ে ডিঙ্গি বেয়ে গেল ঝণকি দিয়ে। প্রতি নায়কের প্রতি নায়িকার অমুকুল প্রতিকুল ভাব ও রসের স্রোতএ সব মিলে একটা নাটক যেমন সম্পূর্ণ রূপটি পায়, বাদী বিবাদী সংবাদ এমনি নানা সমান