পাতা:বাগেশ্বরী শিল্প-প্রবন্ধাবলী.djvu/৩৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাদৃশ্য Sbr>S তুল্য মূল্য হ’ল, সেকেবল কবির হাতে কলম ছিল বলেই—রসবিদ্ধ ও রসেতে প্রৌঢ় কবি । ঋগ্বেদের মণ্ড কস্তোত্র, বৈষ্ণব কবির মত্ত দারির স্বর, ভারতচন্দ্রের বর্ষাবর্ণন, তিনেরই মধ্যে ব্যাঙ চমৎকার ভাবসাদৃশু পেয়ে বসেছে" দেখি। বিরুদ্ধ রূপ দিয়ে যে উপমা ও সাদৃশ্য, তা থেকে উৎপত্তি হ’ল বৈরূপ্যকলার নানা আদর্শ —যেমন হাতী ও মানুষে মিলে গণপতি, নাগনাগিনী কিন্নর কিন্নরী যক্ষ রক্ষ গন্ধৰ্ব ছেলেভুলোনো ছড়ার ছিটুিমাটিম পাখী শেয়াল রাজা মায় অতি আধুনিককালে ব্যঙ্গ-চিত্রের নানা অবতার। এই বৈরূপ্য কথায় কথায় রোজ রোজ ব্যবহার- করছি আমরা—যেমন, "ছেলে নয় পিলে’ । সঙ্গীতে হালির গানের ইংরাজী বাংলা মুরের বিরুদ্ধতা ইত্যাদি এই বৈরূপ্য স্মৃষ্টির সহায়তা করছে। এক শ্রেণীর কবিতা এক শ্রেণীর ছবি এক শ্রেণীর গল্প এক শ্রেণীর গান—এ যেমন বৈরূপ্যের ফলে হ’ল, তেমনি বাড়ীঘরের সাজসজ্জার এই বিরুদ্ধ রূপ এক হ’য়ে সাদৃশু পেলে । হ্যারিসন রোডের বাড়ীগুলো নানা বিরোধী অলঙ্কারের প্রকাণ্ড প্রকাগু নিদর্শন। ওকে দেখলেই বলবো মাড়োয়ারি ঢং মাড়োয়ারিদের সাজ-সজ্জা ; কিন্তু বিরুদ্ধ বেঢপ রকম মোটেই নয়। এই সাজের বৈরূপ্য স্বজনে বাঙ্গালী আমরা ঢের পাকা—বিলিতি দেশীতে, খন্দরে কাশ্মীরে, পঞ্চনদে পঞ্চাননতলায় অদ্ভুত রকমের খিচুড়ি পাকিয়ে বিরূপ সাদৃশু রচনা করতে পাকা। এমনটি বাঙলা ছাড়া কোথাও মিলবে না, এ বিবয়ে নিরুপম-নিরুপমার কোঠাতে পড়ে গেছি আমরা। গণেশ হ’লেন বিশ্বের দেবতা । আকারে অমিল নিয়েই র্তার স্বষ্টি করলে আর্টিষ্ট । এও হতে পারে যে, প্রথমে আর্টিষ্ট গণেশকে নরমুণ্ড দিয়েই গড়েছিল, হঠাৎ বিস্তু পড়লো কিছু একটা, অমনি তাড়াতাড়ি হাতীর সাদৃশ্য দিয়ে জোড়াতাড়া দিয়ে বিস্তুবিনাশন দেবতার স্মৃষ্টি করে পূজার জন্য প্রস্তুত হ’ল আর্টিষ্ট—বিস্তুকে বিঘ্নবিনাশন করে তোলা হ’ল চরম কৌশল বিরুদ্ধ উপমা দিয়ে চলার, বিভিন্ন রূপে ঠোকাঠুকি লেগে রসভোগের বিঘ্ন না জন্মায় এই চেষ্ট। পরীতে আর মানুষের ঘরে সুন্দরী মেয়েতে বিরোধ বাধলে ডানা নিয়ে, এরি মীমাংসা হয়ে স্থষ্টি হ’ল সুন্দর অবিরোধী উপমা বাঙলায়— ‘ডানা-কাট পরী’। কাতিক ঠাকুরে আর ঘরের ছেলেতে বিরোধ