পাতা:বাঙলার তন্ত্র - পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রকৃতিই আস্থাশক্তি সনাতনী। এই মূল প্রকৃতি হইতেই সৃষ্টিপ্রকৃতি ফুটিয়া gशिांछि । उ!छे 5७ी दलिहडाछम,- “বিস্ষ্টৌ সৃষ্টিরূপ ত্বং স্থিতিরূপ চ পালনে । তথ্য সংহতিরূপ।ান্তে জগন্তোকসু জগন্ময়ে ” এই বিশ্বসৃষ্টির মধ্যে, অর্থাৎ এই বিশ্ববিকাশের মধ্যে তুমিই সৃষ্টিস্বরূপ এবং ইহার পালন ব্যাপারে তুমিষ্ট স্থিতিরূপ, পরে এই বিশ্ববিকাশের সঙ্কোচ ও ংহরণকার্যে তুমিই সংস্কাররূপিণী ; অতএব এই জগতের তুমিই জগন্ময়ী দেবী। বিস্মৃষ্টি কাহাকে বলে, তাহা পুবে বুঝাইয়াছি । মনীষী শ্ৰীযুত রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিপেন্দী মহাশয়ের দেবী সূক্তের প্যাখ্যার পর তিকাংশ উদ্ধার করিয়া বিসৃষ্টির ব্যাখ্যা করিয়াছি । সুতরাং তাঙ্কার আর পুনরুল্লেখ করিব না । সচিদানন্দ পুরুষে এক আমি বহু হইবার কামনা যখন ফুটিয়া উঠে, তখনই বুঝিতে হইবে —মূল প্ৰকৃতির কার্য সূচিত হইয়াছে। এই মূল প্রকৃতি পুরুষে নিত্য বিদ্যমান। যখন তিনি সম্ম, ঢ অন্স স্থায় থাকেন, তখন প্ৰলয়কাল ; যখন তিনি জাগিয়া উঠেন, তখন সৃষ্টির বিকাশ হয়। সৃষ্টির নাম ও রূপ এই মূলা প্ৰকৃতি হইতেই সমুদ্ভূত; কিন্তু সৃষ্টি প্রকৃতিতেই উহার সম্যকৃ বিকাশ হইয়া থাকে। দেহাতত্ত্বের দিক দিয়া তন্ত্র বলিতেছেন যে, প্ৰকৃতি পুরুষ সকল জীবদেহেই বিরাজ করিতেছে । পুরুষের দেহে পুত্বের প্রাবল্য, স্বীত্ব সম্মাদ ; নারীর দেহে স্ত্রীত্বের প্রভাব অধিক, পুংস্তু সম্ম ঢ । পুরুষের মনে এক আমি বহু হইবে, এই কামনার উদ্রেক না হইলে, স্ত্রীর মনে সেই বহুত্বের কামনার প্রতি অনুরাগের ভাব না জাগিলে, উচ্চায়ের সম্মেলনে নূতন সমষ্টি সম্ভবপর হয় না । যে পদ্ধতিক্রমে নর-নারীর স” যোগে নুতন জীবনের সৃষ্টি হয়, সেই পদ্ধতিক্রমে পুরুষ-প্রকৃতির সংযোগে বিশ্বসংসারের উদ্ভব হইয়াছে। পুরুষের প্রভাবে নূতন জী?ে আমিত্বের সোধ ফুটিয় উঠে, দেঠের মধ্যে যাহা কতকটা স্থিতিবাচক, তাহারই সৃষ্টি হয়, আর নারীর প্রভাবে দেহের নাম ও রূপ, যাহা কিছু পরিবর্তনশীল, তাহারই সৃষ্টি হয় । তাই তন্ত্র অনুমান করেন যে, মেদ, মজা, অস্থি, নখ প্ৰভৃতি পিতৃৰীৰ্য্যে সৃষ্ট হয় ; মাতৃরজে শোণিত, মাংস, চর্ম, কেশ প্রভৃতি উদ্ভূত হইয়া থাকে । তেমনি বিশ্বসংসারে পুরুষ-প্ৰকৃতির প্রেরণায় সৃষ্টির বিকাশ হয়। সৃষ্টির পূর্বে পুরুষ ও মূলা প্ৰকৃতির মধ্যে একটা স্পন্দনের -কম্পনের ভাব অনুভূত হয়। এই স্পন্দনের জন্যই পুরুষ-প্ৰকৃতির মধ্যে বিয়োগ ও মিলন ঘটে । এই মিলনের ফলে বিন্দুর সৃষ্টি বা পতন ; আর সেই