পাতা:বাঙলার তন্ত্র - পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এবং ঋষিতে অনেক পার্থক্য আছে। বাদরায়ণ বেদব্যাস ঋষি ছিলেন, মুনি ছিলেন না। অতএব বলা যাইতে পারে যে, বান্ধরায়ণ বেদব্যাস পুরাণের রচনা করেন নাই, যে সকল মুনি ব্যাস উপাধি পাইয়াছিলেন, তঁহাদের অনেকে এবং অন্য মুনি পুরাণ রচনা করিয়াছিলেন। ইহা ছাড়া অষ্টাদশ হইতে এমন অনেক বচনপ্ৰমাণ সংগ্ৰহ করা যায়, যাহা হইতে ইহা স্পষ্টই বুঝা যায় যে, পুরাণসকল যে এক জনের রচিত নহে, তাহা পুরাণকারেরা নিজ নিজ লিখিত পুরাণেই স্বীকার করিয়া গিয়াছেন। অধুনা বাঙ্গালায়, বিশেষতঃ কলিকাতায় এমন রাসভবুদ্ধির লেখক দুই একটি আছেন, যাহারা জীবনে কখনও কোন পুরান উল্টাইয়া দেখেন নাই, রামায়ণ মহাভারতও আগাগোড়া পড়েন নাই, কেবল পরের মুখে ঝাল খাওয়া গোড়ামির উপর নির্ভর করিয়া নিজেদের কোটে বসিয়া লেজ সাপটো মারিয়া বলিয়া থাকেন যে, অষ্টাদশ মহাপুরাণ এক বেদব্যাসেরই রচিত। ইহারা শাস্ত্রীয় বিচারপদ্ধতি জানেন না, ইংরেজী হিসাবেও তর্ক বিচার করিতে পারেন না। উপেক্ষার অবহেলায় ইহাদের কথা উড়াইয়া দেওয়া কৰ্তব্য 1 পরস্তু ইহাও সত্য বটে, এমনই একটা প্ৰবাদ কথা হিন্দু সমাজের সাধারণ জনগণের মধ্যে প্রচারিত আছে বটে ষে, একা বেদব্যাসই অষ্টাদশ মহাপুরাণের রচনা করিয়াছিলেন। পুরাণধর্ম প্রচারিত হইবার পর, পুরাণসকলকে লোকদৃষ্টিতে একটু বড় করিয়া ধরিবার উদ্দেশ্যেই এই প্রবাদটা জনকয়েক স্মাৰ্ত্ত পণ্ডিতে জনসাধারণের মধ্যে প্রচার করিয়া দিয়াছেন। বস্তুত: বাদরায়ণ বেদব্যাস পুরাণের রচনা করেন নাই, পুরাণসকল একজন ব্যাসের দ্বারা রচিত নহে, পুরাণসকল এককালে এক যুগে বা এক সময়ে রচিত হয় নাই । যখন ভিন্ন ভিন্ন লেখক, তখন সৃষ্টির theory বা অনুমান ভিন্ন ভিন্ন বকমেব হইবারই কথা ; প্ৰত্যেক পুরাণের সৃষ্টিপ্রকরণ ভিন্ন রকমের দেখিয়া বিস্মিত হইবার কারণ দেখি না। ভিন্ন ভিন্ন যুগে ভিন্ন ভিন্ন লেখকের কাছে স্বাক্ট প্রকরণটা যেমন ভাবে ফুটিয়া উঠিয়াছে, তিনি তেমনই ভাবে তাহা লিখিয়াছেন। এই গেল এক রকমের উত্তর। দ্বিতীয় রকমের উত্তর এই ৷ প্ৰত্যেক পুরাণই এক একটা সিদ্ধান্তকথার বিশ্লেষণ করিবার উদ্দেশ্যে লিখিত । শাক্ত, বৈষ্ণব, সৌরি, গাণপত্য, শৈব প্রভৃতি পঞ্চোপাসক সম্প্রদায়ের সম্প্রদায়গত মত প্রচারের জন্য এক একখানি পুরাণ আছে। আবার এই পঞ্চোপাসক সম্প্রদায়ের মধ্যে অদ্বৈতবাদ, দ্বৈতবাদ, DDLBDBDBD suuD D iBDuBDB KBDDu DDDLLLD BBBLDSS DB BBBLuDBDDBD ፱ዖ