পাতা:বাঙলার তন্ত্র - পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

DDBuDB SBLBDSS DD BBDSJBD DSDBD L BBD DB YDDD DDBBBLDSBDD DBD BDLD BD DDD BB BDBBLBLLY DBDB BuBBDO DBD SDD BBBBD SS SDD BBBD S BDBD S DDD EEBD DBB DDS uDD DBBDBB BBB SBDuuDu DBDBB DDD DDDD BD BBDD S SD BBBDSBD DS DD BD BBuuu DDDD DBBDB মধ্যে সংহৃত করিয়া রাখিতে পারেন। তিনি এক হইতে বহু এবং বহু হইতে একে বিপরিণতির কর্তা বলিয়া তিনি রসময়। রসের এই মূল অর্থ ধরিয়া, পরে পদার্থ মাত্রেরই নিৰ্যাসক রস বলিয়া সাধারণ্যে গ্ৰাহ করিয়া লইয়াছে। মূলে কিন্তু বিবর্তনের শক্তিকেই রস বলা হইয়াছে। যে শক্তির দ্বারা সৃষ্টির বিস্তার ঘটে, তাহাকেই আদি রস বলে। এক আমি বহু হইব, ইহাই আদি রসের মূল সুত্ৰ। তেমনই আমাদের রসায়নশাস্ত্ৰে ষে পদার্থের সাহায্যে অন্য একটা পদার্থের বিবর্তন সম্ভবপর হয়, তাহাই তাহার আদি রস বলিয়া পরিচিত। যেমন তাম্রের সহিত দস্তা মিশাইলে পিত্তল হয়, পিত্তলের আদি রস দস্তা। কারণ, তামার সহিত সোনা বা চাদি, লোহা বা পারা মিশাইলে পিত্তল হয় না ; সুতরাং পিস্তলরূপে বিপরিণতির পক্ষে দস্তাই উহার আদি রস । মনুষ্যদেহে বিপরিণতিসাধক অনেক প্রকারের শক্তি বা আসক্তি আছে । সে সকল শক্তির মধ্যে ষে শক্তির সাহায্যে মনুষ্য এক হইতে বহু হইতে পারে, তাহাই দেহজাত আদি রস। প্ৰথমে শিশু বিভোর বিভ্ৰান্ত ভাবে ভূমিষ্ঠ হয় ; ভূমিষ্ঠ হইবার দিন হইতে মৃত্যুর দিন পর্যন্ত যে যে শক্তির প্রভাবে তাহার শৈশব, পৌগণ্ড, বাল্য, কিশোর, যৌবন, প্ৰৌঢ়তা, বাৰ্থক্য, জরা প্ৰভৃতি নানা পরিবর্তনের প্রকাশ হয়, সেই সেই শক্তি তাহার দেহগত নানা রস বলিয়া পরিচিত। তন্ত্র, দেহের এই সকল পরিবর্তনকে ঠিক chemical changes বা রাসায়ণ বিবর্তন বলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন ; রসায়নশাস্ত্রের পরিভাষায় দেহগত রসায়নের বিশ্লেষণ করিয়াছেন। বিশ্বব্যাপী আত্মা, যেমন রসের প্ৰভাবে বিশ্বাস্থষ্টির বিচিত্ৰ লীলা প্ৰকট করিতেছেন-নাটের গুরু নটাবর তিনি বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ডের সর্বন্ধে যেমন পরিব্যাপ্ত হইয়া অপূর্ব সৌন্দৰ্য, গাম্ভীৰ্য ও মাধুর্যের বিকাশ করিতেছেন, তেমনি, দেহগত আত্মা শৈশব, যৌবন, বাৰ্থক্য আদির উন্মেষ ঘটাইয়া দেহমন্দিরে বসিয়া অপূর্ব লীলা বিস্তার করিতেছেন। যে কেমিষ্ট্রী বা রসায়ন বিশ্বসংসারে নিত্য বিদ্যমান, সেই কেমিী বা রসায়ন