পাতা:বাঙলার তন্ত্র - পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূর্বেই বলিয়া রাখিয়াছি যে, আত্মশক্তি, উন্মেষ সাধনই তন্ত্রসাধনা। তন্ত্র নিজের দেহস্থ আত্মা ছাড়া অন্য কোন বাহ শক্তিকে দেবতা, ঈশ্বর বলিয়া মানে না। তন্ত্র বলেন যে, আমার দেহমধ্যে যে এক জন বিরাজ করিতেছেন, তাহা আমি বুঝি ; তিনি জগৎকে বুঝিতে চাহেন, সৃষ্টি-প্ৰহেলিকাকে উদঘাটন করিতে চাহেন । তাই অনুমান করিতে হয় যে, যিনি আমার ভিতরে আছেন, তিনিই বিশ্বসৃষ্টির মধ্যে আছেন। আমার ভিতরের ঠাকুরকে আমি চিনিতে পারিলে বাহিরের ঠাকুরটি আপনি আসিয়া ধরা দিবেন। এখন দেখিতে DBDDBDBSDBDBDBBD SDiDBDBDu DDBBD DDD BDD DBDBD DSS BDB বিহারে, জীবনের উপভোগে ভিতরের ঠাকুরটি যেন একটু জাগিয়া উঠেন। বিশেষতঃ কাম ও মদনের চেষ্টায় ভিতরের ঠাকুরের যেন কতকটা নাগাল পাওয়া যায়; কারণ, কামচৰ্চার ফলে নরনারীর সংযোগে একটা নৃতন জীবের স্থিষ্টি হইতেছে । অতএব মৈথুন হইতেই কুণ্ডলিনীর জাগরণের পদ্ধতি অনেকটা বুঝা যায়। তন্ত্র স্পষ্ট বলিয়াছেন, সিস্বাক্ষা বা স্বজন ইচ্ছা কামের নামান্তর মাত্র। যে পরমাত্মা “এক আমি বহু হইব’ বলিয়া সৃষ্টিপ্ৰহেলিকার বিকাশ করিয়াছিলেন, সেই পরমাত্মা তোমার দেহস্থ থাকিয়া এক আমি বহু হইবার সাধ অন্য নারীতে উপগত হইয়া মিটাইয়া থাকে। আদি সৃষ্টিতে যেমন আদ্যা শক্তির জাগরনের ফলে বিশ্বাত্মার মনে সিস্বাক্ষা জাগিয়া উঠিয়াছিল, তেমনই নারী-দেহাভ্যন্তরে আদ্যা শক্তি কুণ্ডলিনী জাগিয়া উঠিলে, তবে সে নারী পুরুষকে আকর্ষণ করে এবং সেই আকর্ষণের ফলে, স্ত্রীত্ব-পুত্বের সংযোগে নৃতন জীবস্মৃষ্টি হয়। কুণ্ডলিনী না জাগিলে কোন স্ত্রীই গর্ভবতী হইতে পারে না, কুণ্ডলিনী না জাগিলে কোন পুরুষের রেতঃপ্রবাহের সহিত আত্মশক্তির নিঃসরণ হয় না, নারীর জরায়ুতে নব জীবের আধান হয় না। অতএব প্ৰকৃত মৈথুনiiBiu DBBDDD BDBBB BBtD DDDDBD BD BuBDB BBLDDLD D ইহাই হইল। তন্ত্রের স্বষ্টিতত্ত্বের থিওরি বা সিদ্ধান্তকথা। একা তন্ত্ৰ কেনউপনিষদে, পুরাণে, বৈষ্ণব শৈব সকল শাস্ত্রে এই একই সিদ্ধান্ত নানা ভাবে, নানাপ্রকারের ভাষায় বণিত আছে। অন্য সকল শাস্ত্ৰ যাহা থিওরির হিসাবে ব্যাখ্যা করিয়া নিরস্ত আছেন, তন্ত্র তাহাকো করিয়া কমিয়া দেখাইয়া দিয়াছে। এইখানে একটা কথা বলিব। আমাদের দেশে। কতকটা হঠযোগের প্রভাবে, কতকটা খ্ৰীষ্টানধর্মের প্রভাবে নারী বা স্ত্রীজাতি সমাজে যেন একটু নিয়ে স্থান অধিকার করিয়াছেন। অথচ দেয় হইতে পুরাণ তন্ত্ৰ পৰ্যন্ত সকল ঋষিপ্রণীত 8 “ላ