পাতা:বাঙলার তন্ত্র - পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৪

ক্ষমা করেন না। তন্ত্র বলেন, গুরুর কাছে হৃদয়ের কপাট খুলিয়া দেখাইবে, লজাবোধ করিবে না। তাই তন্ত্র শিষ্যের কাছে--তন্ত্র-পাঠকগণের কাছে কিছুই লুকাইয়া রাখেন নাই । ইহা দোষের নহে, বরং শ্লাঘার বিষয়। অবশ্য ইহা স্বীকাৰ্য্য যে, তন্ত্রধর্মের বেজায় অধঃপতন ঘটিয়াছিল। মানুষের ব্যবহারে ধর্মমত উন্নত হয় বা অধঃপতিত হয় । মানুষ ভাল হইলে ধর্ম ভাল BDBS DDBD BD DDDB BBiODL DB DBBDBD BDB S DDDB BuDDB uLD BBDB দোষে পৃথিবীর সকল প্রধান ধৰ্মই নষ্ট হইয়াছে, মানুষের ব্যবহারের গুণে অনেক সামান্য ধর্ম উন্নত হইয়াছে। জাতির অধঃপতন ধর্মের দোষে ঘটে না । DBLB DDuBD DuD DDBS DB BBDB BDDtBD GBLBLBDS DD SBB ByDLDB ধৰ্মও কপটতার আশ্ৰয় হইয়া উঠে। ধর্মের দোহাই দিয়া কত বিলাসী জাতি যে কত পাপ করিয়াছে, কত পশুত্বের প্রচার করিয়াছে, তাহা হিসাব করিয়া DDD DB DS BtBD DD t DBBDD BO BDDBB DBKD DD DS সুতরাং ধর্মকে নিন্দা করিতে নাই ; যেমন মানুষে যে ধর্মের যেমন ভাবে আচরণ করিবে, সেই ধর্ম তেমনই ভাবে ফুটিয়া উঠিবে। মানুষের দোষে তন্ত্রধর্ম নষ্ট হইয়াছে, মানুষের দোষে ভারতবর্যের অন্য সকল ধর্মও নষ্ট হইয়া গিয়াছে। তবে এখনও যেখানে সাধনা, যেখানে আরাধনা, সেইখানেই তন্ত্রের প্রভাব পরিস্ফুট। আত্মশক্তির উন্মেষ যিনিই করিতে চেষ্টা করিয়াছেন, তাহাকেই তন্ত্রের আশ্রয় গ্ৰহণ করিতে হইয়াছে। ইসলাম ধর্মের সুফীগণ, খ্ৰীষ্টান ধর্মের মঙ্কগণ-যাহারাই সাধনা করিয়াছেন, তাহাদিগকেই জ্ঞাতসারে বা অজ্ঞাতসারে তন্ত্রেব আশ্রয় গ্ৰহণ করিতে হইয়াছে। অর্থাৎ সাধনার একটা পদ্ধতিই এখন পৃথিবীর সকল সভ্য দেশেই প্ৰচলিত, অন্য সকল দেশে অন্য নামে পরিচিত ; পরস্তু আসলে সকল দেশের সাধনাই একই রকমের । এই যে পঞ্চ তত্ত্বের বা পঞ্চ মাকারের সাধনা, ঈহা তান্ত্রিকদিগের মধ্যে যেমন ভাবে প্ৰচলিত, অন্য সকল ধর্মাবলম্বীদিগের মধ্যেও দেশভেদে ও রুচিভেদে কিঞ্চিৎ আকারান্তরিত হইয়া প্রচলিত আছে। কেহ বা মোটামুটি বাহিক হিসাবে করে, কেহ বা মানস পূজার হিসাবে করে, কেহ বা ঘটুচক্ৰ ভেদের পদ্ধতি অবলম্বন করিয়া করে। আবার তন্ত্রে পঞ্চ মাকারের অনুকল্পের ব্যবস্থাও আছে। যথা- সুরার পরিবর্তে ডাবের জল, মিছরির সরবৎ, এমন কি, তম্ভধিীরে জল পৰ্য্যন্ত অনুকল্প বিধান করা হইয়াছে। যাহার যেটা সহে, যাহার যেমন জীবন, যেমন রুচি প্ৰবৃত্তি, তাহার জন্তু তেনেই ব্যবস্থা করা হইয়াছে। তন্ত্র a