পাতা:বাঙলার তন্ত্র - পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানস পূজা তন্ত্রে বাহ্য পূজা অপেক্ষা মানস পূজার গৌরব অধিক করা হইয়াছে। তন্ত্র স্পষ্টই বলিয়াছেন যে, মানস পূজাই সার পূজা, বাহ্য পূজা মানস পূজার অবলম্বনস্বরূপ। তন্ত্রের ভূতশুদ্ধি প্রকরণে লিখিত আছে “সর্বাস্তু বাহ্যপূজানু অন্তঃপূজা বিধীয়তে। অন্তঃপূজা মহেশানি বাহাকোটফলং লভেৎ । “সকৃৎ পূজা মহেশানি বাহ্যকোটিফলং লভেৎ । কিং তস্ত বাহ্যপূজায়াং সৰ্বং ব্যৰ্থং কদৰ্থনীম।” অর্থাৎ সর্ববিধ বাহ্যপূজাতেই অন্তঃপুজার বিধান আছে, অর্থাৎ বাহ্যপূজা করিতে হইলেই অন্তঃপূজাও করিতে হইবে। হে মহেশ্বরি! এক বার কৃত অন্তঃপূজা কোটি বাহ্যপূজার ফল প্ৰদান করে। গন্ধৰ্বতন্ত্রে লিখিত হইয়াছে যে,- “মনসাপি মহাদেব্যৈ নৈবেদ্যুৎ দীয়তে যদি । যো নরো ভক্তিসংযুক্তো দীর্ঘায়ু: স সুখী ভবেৎ। ।” যে মনুষ্য ভক্তিযুক্ত হইয়া মহাদেবীকে মনঃকল্পিত নৈবেদ্য দ্বারা পূজা করে, সে দীর্ঘায়ু এবং সুখী হয়। এই তত্ত্বটা বুঝাইতে যাইয়া তন্ত্র স্পষ্ট বলিয়াছেন যে, মানুষ্যের দেহগত আত্মশক্তিই মহাদেবী পরমেশ্বরী। জীবনরূপ BB BBDDDS DB DDDD DDSSDD BBBDBD BDD DBBDB DBB জীবদেহ সজীব ও সচল আছে; তঁাহার শক্তিপ্রভাবেই দেহের অনুভূতি, আসক্তি, স্মৃতি, ধুতি প্রভৃতি গুণসমূহ পরিস্ফুট এবং ক্রিয়াশীল থাকে। দেহগত পরামাত্মা ছাড়া বাহিরে আর কোন দেবতা নাই ; দেহের পরমাত্মাই আমাদের উপাস্য দেবতা, হৃদয়না, জীবনসর্বস্ব । “আত্মস্থাৎ দেবতাং তত্ত্বা বহির্দেবীং বিচিন্বতে । করস্থং কৌস্তুভ্যং ত্যািত্ত্বা ভ্ৰমতে কাচতৃষ্ণয়া। প্রত্যক্ষীকৃত্য হৃদয়ে বহিঃস্থাৎ পূজিয়েচ্ছিবাং !” অর্থাৎ আত্মস্থ বা স্বশরীরস্থ দেবতা পরিত্যাগ করিয়া বহিঃস্থ দেবতার অনুসন্ধান করা যেন করন্থ কৌস্তুভ মণি ত্যাগ করিয়া কাচখণ্ডের প্রাপ্তি w