পাতা:বাঙলার তন্ত্র - পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এই মানস পুজা কেবলই যে তান্ত্রিকগণ করিয়া থাকেন, তাহা নহে ; শৈৰ বৈষ্ণব প্রভৃতি পঞ্চ উপাসক সম্প্রদায়ের সাধক মাত্ৰেই মানস পূজা করিতে বাধ্য, নহিলে সিদ্ধিলাভ হয় না, ইষ্টদর্শন সম্ভবপর হয় না। তাত্বিক শাস্ত্রের ইষ্টদেবী ভগবতী, বৈষ্ণব সাধকের ইষ্টদেবতা শ্ৰীীরামচন্দ্ৰ বা শ্ৰীকৃষ্ণ ; কেবল ইষ্টদেবতার পার্থক্য আছে, তাহা ছাড়া পূজাপদ্ধতির পার্থক্য বড়ই কম। শাক্ত বলিদান করে, অন্য সাধকে কোন বলিই দেয় না, কোষাকুষি তাম্রপাত্র ব্যবহার করে না ; কিন্তু মোটের উপর পূজার ক্রম এবং পদ্ধতি সকল সম্প্রদায়ের সাধকগণের একই রকমের ; ষোড়শোপচার আছে, কেবল উপচারের নির্দেশবৈষম্য ঘটিতে পারে। যাউক সে কথা, এই ভাবে মানস পূজা করিতেই হইবে। কারণ, তন্ত্রের মহাবাক্য এই যে-“বিনা চোপাসনং দেবি না দদাতি ফলং নৃণাং'-হে tBBS BBD D DBBBBD DBDBD SBDDD BDD DDD DDBB KBDB DBJYBDB উপাসনার সার মানস পূজা, হৃদয়ের উপাসনা ; সুতরাং মানস পূজা প্ৰত্যেক সাধকেরই অবশ্য কর্তব্য । উপাসনা কি ও কেমন ? উপাসনার অর্থ সেবা, শুশ্রুষা, পরিচর্য। যাহা আমি ভালবাসি, অন্যে আমার প্রতি যেরূপ ব্যবহার করিলে আমি পরিতুষ্ট হই, তাহা এবং সেই ব্যবহারের দ্বারা অন্যের পরিচধ্যার নামই উপাসনা । ইষ্টদেবতার উপাসনাও সেই প্রকারের। যে ফল মূল, গন্ধদ্রব্য, পোষাক পরিচ্ছদ, রত্নালঙ্কার আমি ভালবাসি, সেই সকল আভরণ ভূষণ দিয়া ইষ্টদেবতার বেশবিন্যাস করিয়া, ভোগীরাগের ব্যবস্থা করিয়া যে পূজাপদ্ধতি, তাহাই উপাসনা। মানস পূজায় আরও একটু মজা আছে। যাহা আমি পাইলে আমার সাধ মিটে, যেমনটি হইলে আমার আশা পূর্ণ হয়, তেমন সামগ্ৰী আহরণ করিয়া এবং তেমন অবস্থার উপকল্পনা করিয়া মানস পূজা করিতে হয়। মানস পূজার কোন সাধ অপূর্ণ রাখিতে নাই। বাহপূজকই হউক বা মানস পূজকই হউক, সাধক মাত্রেই প্ৰসাদভোজী, ইষ্টদেবতার দাসাচুদাস। তাই রামপ্ৰসাদ পদে পদে বলিয়াছেন-‘আমি তুয়া দাস-দাসদাসীপুত্র হই।” ইষ্টদেবতাকে সর্বস্ব নিবেদন-আত্মনিবেদন করিয়া। তবে তেঁাহার উপাসনা করিতে হয়। আমার ঘর সংসার, পুত্র পরিবার, ধন জন, অর্থ সম্পত্তি, ইহ সংসারে যাহা কিছু আমার, সে সবই আমার ইষ্টদেবতার। আমি তাহার প্ৰসাদভোজী, কৃপার পাত্র, ভূত্য মাত্র। হিন্দু সাধক দৰ্প দম্ভ করিতে হইলে দেবতার নামে করিয়া থাকে, আমোদ প্ৰমোদ করিতে হইলে দেবতার উদ্দেশে 盘、