পাতা:বাঙলার তন্ত্র - পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করিয়া থাকে। হিন্দু সাধক কখনই বলিবে না যে, আমার সংসার, আমার ঘরবাড়ী, আমার ধন দৌলত। যাহার গৃহে যে দেবতার অধিষ্ঠান আছে, সে সেই দেবতার দোহাই দিয়া কথা কহিয়া থাকে। যাহার গৃহে দামোদর আছেন, সে দামোদরের নাম করিয়া বলে-দেখা যাউক, দামোদর কি করেন ; DDBD DD BBBSBBB BDDBBD BBDDD BDBDS SD BDDBDB BDBDD DB না যে, আমার অমুক সামগ্ৰীৱ প্ৰয়োজন বা অমুক সামগ্ৰী খাইব । সে প্ৰসাদ পায়, ইষ্টদেবতাকে স্বীয় ইঞ্চিলত ফল নিবেদন করিয়া, স্বীয় সখের পোষাক পরাইয়া সে প্ৰসাদস্বরূপ তাহা গ্ৰহণ করে। সাধক যখন এই ভাবে আত্মনিবেদন করিতে পারে, নিজেকে মুছিয়া ফেলিয়া ইষ্টদেবতার সংসার গড়িয়া তুলিতে পারে, তখনই সে মানস পূজার অধিকারী হয় ; কারণ, তাহা না করিলে সমাজ উচ্ছঙ্খল হইয়া পড়ে । সমাজ ছাড়িয়া সন্ন্যাস গ্ৰহণ করিলে তবে সাধক যথেচ্ছ ব্যবহার করিতে পারে। যত দিন সমাজে থাকিবে, তত দিন সমাজধৰ্ম মানিয়া তাহাকে চলিতেই হইবে। তন্ত্ৰসকল পাঠ করিলে মনে হয়, উহার যেন তিনটা স্তর আছে ৷ প্ৰথম বাহ্যপূজার স্তর, দ্বিতীয় মানস পূজার স্তর, তৃতীয় শক্তিসাধনার স্তর। বাহ্য ও মানস পূজার ক্রম এবং পদ্ধতি আমরা কতকটা বুঝিতে পারি, পরন্ড সাধনার স্তর একেবারেই বুঝিতে পারি না। মনে হয়। উহা গুরুমুখ না করিয়া বুঝিলে, সিদ্ধ সাধকগণের অপূর্ব শক্তির বিকাশ না দেখিলে সাধনার স্তর একেবারেই বুঝা যায় না। বাহ্যপূজা যে মানস পূজার রোচক, তাহা তন্ত্র বার বার বলিয়াছেন। কিন্তু যটি চক্ৰভেদ, শব্বসাধনা, ভৈরবীচক্ৰ প্ৰভৃতি যে কি ও কেমন, তাহা সোজাসুজি গ্রন্থ পাঠ করিলে বুঝা যায় না। কারণ, বাহ্যপূজার জন্য যেমন যাচ্চক্ৰভেদ ও প্রাণায়াম নির্দিষ্ট আছে, মানস পূজাতেও তেমনি ষাটুচক্ৰভেদ এবং প্রাণায়ামের নির্দেশ আছে, হোমেরও ব্যবস্থা আছে । আমাদের ক্ষুদ্র বুদ্ধিতে এ সকল বুঝিয়া উঠা কঠিন বলিয়া বোধ হয়। মানস হোমের একটা দৃষ্টান্ত দিব ; তন্ত্র বলিতেছেন যে,

  • অৰ্থাধারময়ে কুম্ভে চিন্দগ্নেী হোমায়েত্ততঃ । অন্তরাত্মা পরমাত্মা জ্ঞানাত্মা পরিকীৰ্ত্তিতঃ ॥ এতক্ৰপান্ত চিৎকুম্ভং চতুরস্রেং বিভাবিয়েৎ । আনন্দমেখলারম্যং বিন্দুত্ৰিবলয়াঙ্কিভং । অর্থমাত্রা যোনিরূপং ব্ৰহ্মানন্দময়ো ভবেৎ। ।

¢ ዓ