পাতা:বাঙলার তন্ত্র - পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাবুলের উত্তর উপত্যক বাহিয়া, তাগােল-মাকান অধিত্যকা হইতে কাশ্মীরে নামিয়া ভারতবর্ষে আসিয়াছিল; পরে কাশ্মীর হইতে পার্বত্য প্রদেশ বাহিয়া বঙ্গদেশ পৰ্যন্ত ছড়াইয়া পড়িয়াছিল । অন্য দিকে গান্ধার সুবাস্তু হইয়া লাট ও মহারাষ্ট্র প্রদেশ পৰ্যন্ত ইহাদের বিস্তার ঘটিয়াছিল। ইহারাই নাকি ভারতবর্ষে তন্ত্রধর্ম আনয়ন করে, ইহারাই আদিম বর্বরগণের পৌত্তলিকতা তন্ত্রধর্মের অঙ্গীভূত করিয়া লয় । সুতরাং এই অনুমান বা থিওরি সত্য হইলে বলিতে হয় যে, মূতিপূজা বৈদিক যজ্ঞধর্মের সমসময়ের এবং সনাতন। কিন্তু খ্ৰীষ্টানগণ এবং মুসলমানগণ যাহাকে idolatry বা বোধপরস্ত বলেন এবং যাহার নিন্দ বরেন, তাহা কিন্তু বেদেও নাই, তন্ত্ৰেও নাই। উহা ষোল আনা বৌদ্ধ পৌত্তলিকতাকে লক্ষ্য করিয়া বলা হইয়াছে। বোধ-পরস্ত শব্দটা হইতেই ইহার স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যাইতেছে। Idolatry শব্দটার ইতিহাস জানিতে পারিলে ঐ বৌদ্ধ পৌত্তলিকতার বা বর্বর পৌত্তলিকতার ইঙ্গিতই পাওয়া যায়। কোন তন্ত্রে পুতুল, প্ৰতিমা, প্ৰতিমূতি পূজার বিষয়ীভূত নহে ; উহারা প্ৰতীক, আলম্বন, ধ্যানের সহায়ক মাত্র। তবে সাধু মহাত্মার প্ৰতিমূতি, তাহার চিহ্ন বা স্মারক হিসাবে পূজ্য এবং সেন্ধ্য। যেমন শাক্যসিংহের, জামদগ্ন্যোর, জড় ভরতের, দত্তাত্ৰেয়ের প্রতিমা পূজা করিতে হয়প্রতিমারই হিসাবে, সাধু সজ্জনের প্রতিমূতির হিসাবে, প্ৰতীক বা আলম্বনের হিসাবে নহে। এ ক্ষেত্রে প্রতিমাই পূজ্য ; কেন না, ঐ সকল সাধু মহাত্মার প্ৰতি শ্ৰদ্ধা দেখাইবার জন্যই তাহদের প্রতিমা গড়াইয়া রাখিতে হইয়াছে। পরন্তু ঈশ্বরোপাসনায় যে প্ৰতিমার পূজা করিতে হয়, তাহা প্ৰতীকের হিসাবেই করিতে হয় । কুলার্ণব তন্ত্রে লিখিত আছে,- “চিন্ময়ন্ত্যাদ্বিতীয়স্য নিষ্কালস্তাশারীরিণঃ। উপাসকানাং কাৰ্যাৰ্থং ব্ৰহ্মণো রূপকল্পনা ।” এই শ্লোক রামতাপনীয় শ্রুতিতেও পাওয়া যায়। কুলচুড়ামণি গ্রন্থে স্পষ্ট উল্লেখ করা হইয়াছে যে, ব্ৰহ্মের স্কুল মুহম্ম দুই রূপই এক । যেমন জমা ঘি LSLSD DSESDSBuSDD BSBD BBY DBS DLDBD DDY DBBYBD BDB সূক্ষ্ম দুই একই রূপ। কারণ, পূজক যিনি, তিনি আত্মাবান পুরুষ, তাহার সোপাধিক আত্মা পরমাত্মার সহিত মিশিতে চাহে, তাই সে উপাসনা করিতে উদ্যত হয়। সেই উপাসনার সহায়তার জন্যই ব্ৰহ্মের রূপ কল্পনা করিতে হয়। যেমন কোদাল কুড়ুল লইয়া বন কাটিয়া রাজপথ তৈয়ার করিতে হয়, তেমনই Ke *