পাতা:বাঙলার তন্ত্র - পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লাভ করিতে পারিয়াছিলেন। সর্বানন্দ মুর্থ, দুরন্তু ছেলে ; ব্রাহ্মণের ঘরের মূৰ্খ বলিয়া পিতামাতার পরিত্যক্ত-উপেক্ষিত। কিন্তু সর্বানন্দ অত্যুৎকৃষ্ট আধার, তাহার দেহ ব্ৰাহ্মণের দেহ, তাহার যন্ত্র উচ্চাঙ্গের । সঙ্গে সঙ্গে গুরুও মিলিল-ত্রিকালজ্ঞ মহাপুরুষ । সর্বানন্দ এক জপের প্রভাবেই মাতৃদর্শন করিল, সর্ববিদ্যা লাভ করিল, স্বীয় বংশকে ধন্য করিয়া গেল। তাহার দেহ মধ্যে মহাতন্ত্রের ঝঙ্কার দণ্ডেক কাল হইতে না হইতেই সুর জমিয়া গেল, আত্মময় আকাশে harmony এবং melody দুইয়ের বিস্তার ঘটিল, সর্বানন্দের ভাগ্যে অপরূপের রূপদৰ্শন হইল। তেমন রূপের বিকাশ তোমার আমার চিত্তাকাশে হইবার নহে; কেন না, তুমি আমি সাধারণ বাজারের বেহালা, ষ্ট্রাড নহি, ত্রিপুরানন্দের মতন ওস্তাদ বাজিয়ে, বড় গুরু তোমার আমার ভাগ্যে জুটে নাই। তাই তন্ত্রে সাধারণ সাধকদিগের জন্য ব্যবস্থা করিয়াছেন যে, সিদ্ধ সাধকগণের তপঃসিদ্ধ মস্তিষ্ক প্ৰতিভাত যে রূপ, সেই রূপকে অবলম্বন করিয়া বীজমন্ত্র জপের সহিত ধ্যান করতে হইবে । এই ধান প্ৰগাঢ় হইতে থাকিলে সিদ্ধ সাধ্য মূতি তোমার প্রকৃতির অনুকুল হইয়া ফুটিয়া উঠিবেন। তখন বুঝিতে হইবে, সাধক সিদ্ধির পথে অগ্রসর হইয়াছেন। তন্ত্র এইটুকু DDBDBDS DDtD DESDBDSLDD BDDSBBB BBBBB BDSBD দেহ কেমন মস্ত্রের উপযোগী, তাহা নির্দেশ করিবার কালে তন্ত্র জাতিবিচার এবং জন্মকোষ্ঠী মান্য করেন । তন্ত্রের এই রূপতত্ত্ব অপূর্ব ব্যাপার ; শব্দবিজ্ঞানের বহু সিদ্ধান্ত এই রূপবিকাশের ব্যাখ্যায়। তন্ত্র অবলম্বন করিয়াছেন । তন্ত্র স্পর্ধা করিয়া বলিতেছেন যে, আমার নির্দেশমত সদগুরুর সাহায্যে সাধনা করিয়া দেখ ; দেখিবে-সদ্য সদ্য ফল পাইবে, অরূপিণীর রূপের আলোয় তোমার প্রাণ মন ভরিয়া উঠিবে। তাই তন্ত্র বলেন যে, যদি রূপ দেখিতে চাও, রূপসাগরে ডুবিতে চাও, তাহা হইলে মানস পূজা-অন্তর্জািপ করিতে থাক। ভূতশুদ্ধিতে سسسس-SNiC5 “সর্বাস্তু বাহ্যপূজানু অন্তঃপুজা বিধীয়তে। অন্ত:পূজা মহেশানি বাহ্যকোটিফলং লভেৎ ” স্বামল গ্রন্থেও লিখিত আছে, - “পূজাভাবেৎ মহেশানি হৃদয়ে পূজয়েচ্ছিবাং । সর্বপুজাফলং দেবি প্ৰাপ্নোতি সাধকঃ প্ৰিয়ঃ।” Krai V-e R