পাতা:বাঙলার তন্ত্র - পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনাদি ও অনন্তকালব্যাপিনী। যেমন একটা বঁাশের খোটার উপর একটা অপরাজিতা বা মাধবী লতা জড়াইয়া দিলে, লতা যেমন পত্রপুষ্পে সেই বংশখণ্ডকে আবরণ করিয়া রাখে, বাহিরের লোকে বঁাশ দেখিতে পায় না, কেবল লতাপত্রের বেষ্টনে একটা দণ্ডাকার পুষ্পমালা দেখে, তেমনি স্বষ্টিশক্তিবেষ্টিত-কুণ্ডলিনীবলয়িত শিবকে কেহই দেখিতে পায় না।--কেবলই শক্তির বিকাশ দেখে, স্বষ্টির লীলাখেলা দেখে। যেমন বংশবেষ্টনে লতার উদ্দণ্ডবিকাশ ভিতরে বংশের বিদ্যমানতা হেতু হইয়া থাকে ; বঁাশ না থাকিলে লতা, ধুলায় লুটাইত, অথবা অমন গজাইত না, উহার শোভা দূর হইতে লোকে দেখিতে পাইত না ; তেমনি সৃষ্টি-চাতুরীর অন্তরালে শিব আছেন বলিয়া-নিত্যঃ সর্বগতঃ স্থাণু আচলোহয়ং সনাতন:-পুরুষ আছেন বলিয়া প্ৰকৃতির এত লীলাখেলা ফুটিয়া উঠিতেছে-সৃষ্টি সম্ভবপর হইয়াছে। স্বষ্টির আবরণের ভিতরে তিনি আছেন, তাহাকে দেখিতে পাওয়া যায় না, বুঝিতে পারা যায় DDSDDDB BBB DDD D DDDD BB BD DBDBB EDYBuB EE D DDD EBBYS BBB BDDDLL DDLB DBSS “তব তত্ত্বং ন জানামি কী দৃশোহসি মহেশ্বর। যাদৃশ্যত্বং মহাদেব তাদৃশ্যায় নমো নমঃ ॥” অর্থাৎ হে মহাদেব, তোমার তত্ব জানি না; তুমি কেমন, তাহাও তি জানি না ; তুমি যেমনই হও না, তুমি যাহাই হও না, আমি তেমনকে, তাহাকে বার বার নমস্কার করিতেছি । সে শিব, সে তেমন, সে তাহা কেমন ? “ধরাপোহগ্নিমরুদ্ব্যোমমখেশেন্দ্বর্ধমূর্তিয়ে। সর্বভূতান্তরস্থায় শঙ্করায় নমো নমঃ ॥ শ্রত্যন্ত কৃতবাসায় শ্রতিরূপাখিলাত্মনে । অতীন্দ্রিয়ায় মহসে শাশ্বতায় নমো নমঃ ॥ স্কুলসূক্ষ্মবিভাগাভ্যামনির্দেশ্যিায় সম্ভবে। ভবায়। ভবভূতায় দুঃখহন্ত্রে নমোহস্তু তে ।” পৃথিবী, জল, অগ্নি, বায়ু, আকাশ, যজ্ঞ, ঈশান, চন্দ্র ও সুৰ্য্যস্মৃতির অন্তরালে তুমি প্রকট রহিয়াছ, সর্বভূতের অন্তরে অন্তরাত্মাস্বরূপে তুমি বিরাজমান; হে শঙ্কর ৷ তোমাকে নমস্কার। তুমি শ্রুতিপ্ৰতিপাদ্য, শ্রতিস্বরূপ, তুমি নানা মৃতিতে কীতিত হইয়া থাক, তুমি ইন্দ্ৰিয়ের অগম্য, অথচ প্ৰকাশস্বরূপ, সেই নিত্য শঙ্কর দেব তোমাকে পুনঃ পুনঃ নমস্কার। র্যাহাকে স্কুল বা সূক্ষ্ম বলিয়া ዓፍ፧