পাতা:বাঙলা সাহিত্য পরিচয়-তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়.pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আনুমানিক ৫০০ খ্ৰীষ্ট পূৰ্ব্বে আদি যুগের প্রাচ্য প্রাকৃতে সম্ভাব্য রূপ ছিল— গাণং গাথেত্বা নবিং বংহেত্ব ককে (কে ) আবিপতি পালধি ( পালে ), দেকৃথিত্বা যাদিশং (যাদিশনং ) মনধি ( মনসি ) হোতি ( ভাতি ) চিণহিয়তি অমুশ শ কতে । আনুমানিক ১০ •• খ্ৰীষ্ট পূৰ্ব্বের বৈদিক ভাষাতে ইহার রূপ হইবে— গানং গাথয়িত্ব নাবং বাহয়িত্ব ককঃ (ক:) আবিশতি পারধি ( =পারে) দৃক্ষিত্ব ( = ) যাদৃশষ মনোধি (মনসি) ভবতি চিহ্ন্যতে অমুষ্য কৃতে ( =অসেী-অম্মাভির জ্ঞায়তে ) ৷ এই পদ্ধতিতে বৈদিক ভাষা হইতে যে কোন আধুনিক ভারতীয় কথ্যভাষার প্রসারের বিভিন্ন অবস্থা নিৰ্দ্ধারণ করা যাইতে পারে। ভারতীয় আৰ্য্যভাষার বংশ পীঠিক এইভাবে রচনা করা যাইতে পাৱে । বাঙালা লিপি কথার সাহায্যে মনের ভাব প্রকাশে সমর্থ হ’য়ে মানুষ অনেক দিন-ই নিশ্চিন্ত ছিল । কিন্তু ক্রমে সে অনুভব করলে যে তার দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় এমন অনেক বিষয় আসে যেগুলি তার স্মরণ রাখা প্রয়োজন | সকলের স্মৃতি-শক্তি সমান নয় ; অনেকেই কোনও কিছু বেশি দিন মনে রাখতে পারে না। তাই স্কৃতির উপর নির্ভর করে আমাদের অনেক সময়েই ঠকতে হয়। এজন্ত মানুষ এমন একটা কিছু উপায় বার করার চিস্তায় মন দিল যাতে প্রয়োজনীয় তথ্য নিজের মনে রাখা যায় এবং ভবিষ্যৎ-বংশীয়দের অবগতির জন্ত রেখে যাওয়া যায়। মামুষের অভাব-বোধ-ই আবিষ্কারের জনক বলে ইংরাজিতে প্রবাদ-বাক্য আছে । মানুষের এই অভাব পূরণের জন্যই মানুষের দ্বারা লিপি-কৌশল আবিষ্কৃত হয়েছে। মানুষ যেমন একদিনে অতি সহজেই কথার সাহায্যে ভাব প্রকাশ করতে সমর্থ হয় নি, সেইরূপ একদিনেই অক্ষরের সাহায্যে মনের কথা লিপিবদ্ধ করতে পারেনি ; আরম্ভ এবং স্বচনা অতি স্থল আকারেই হয়েছিল । মানুষের লেখার প্রথম প্রয়াস চিত্রের আকারে প্রকাশ পায়। কতকগুলি স্থল দ্রব্যের অথবা প্রাণীর ছবি দেয়ালের গায়ে অথবা পাথরের উপর কুঁদে মানুষ ఫిఫి