পাতা:বাঙলা সাহিত্য পরিচয়-তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দু'একটি শত্ব পাওয়া যায় যাহা অর্থের মুস্পষ্টত অথবা ছন্দের নিয়ম ভঙ্গ করে ; অথচ সেখানে খাটি বাঙলা প্রতিশব্দটি দিলে উভয়ই বজায় থাকে। এই সকল বিবেচনা করিয়া দেখিলে এগুলিকে খাটি বাঙলায় লেখা বলিয়া স্বীকার করিতেই হইবে। দোহাগুলির মধ্যে কয়েকটি পংক্তি আছে যাহা বাঙলা সাহিত্যে অতি সুপরিচিত প্রবাদবাক্য রূপেই ব্যবহৃত হইয়া আসিতেছে। আপন মাংসে হরিণ বৈরী। (হরিণ নিজ মাংসের জন্ত নিজেরই শক্ৰ ) , রুখের তেন্তলী কুম্ভীরে থাই ( গাছের তেঁতুল কুমীরে থায় )। দুহিল দুধ কি বেণ্ট সামাঈ ( দোহন করা দুধ কি গরুর বঁাটে প্রবেশ করে ? ) বৌদ্ধগান ও দোহার মধ্যে চর্যাচর্য-বিনিশ্চয় নামক অংশের অন্তর্গত পদগুলি বাঙালাভাষায় রচনার প্রাচীনতম নিদর্শন বলিয়া সাহিত্যের ইতিহাসে স্থান পাইয়াছে। কিন্তু সাহিত্যের ইতিহাস কেবলমাত্র রচনার নমুনা লইয়া রচিত হইতে পারে না । রসের দিক দিয়া বিচার করিলে চর্যাচর্যের অন্তর্গত পদগুলি বাদ দিতে হয় ; ইহাদের সকলগুলির মধ্যে যোগের গৃহতত্বসমূহ সঙ্কেতের দ্বারা ব্যক্ত হইয়াছে। ইহার রসসৃষ্টির ধার ধারে না। কাজেই ইহাদের সহিত পরবর্তী সাহিত্যের কোনও যোগ-সম্বন্ধ নাই ; ইহার এই ধারা হইতে বিচ্ছিন্ন ও স্বতন্ত্র। তথাপি স্বীকার করিতে হইবে যে ইহাদের মধ্যে কয়েকটি সম্পূর্ণ অস্বেচ্ছাকৃত শব্দবিন্যাস ও ছন্দ প্রকরণের দ্বারা সাহিত্যের পর্যয়ে উঠিয়াছে, এমনকি দু’একটির মধ্যে গীতিকবিতার সুর যে প্রচ্ছন্ন রহিয়াছে তাহ অনুভব করা যায়। আমরা এইরূপ দু’একটি দৃষ্টান্ত উদ্ধার করিতেছি ; বুঝিবার সুবিধার জন্ত সরল বাঙলা অর্থও দেওয়া হইল – রাগ মালসী গবুড়া । জো মণ গোএর আল। জালা । আগম পোর্থী ইষ্ট মালা ।ঞ৷৷ ভণ কইসে সহজ বোল বা জায় । কাঅবাকচিত্ম জুন ৭ লমায় ॥ঞ্জ৷ আলে গুরু উএসই সীস। বাকৃপখাতীত কাছিব কীল ॥ঞ্জ৷