পাতা:বাঙলা সাহিত্য পরিচয়-তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়.pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নামে প্রচলিত রামায়ণে র্ত্যহার রচনা বহুল পরিমাণে প্রবেশ করিয়াছে । ইহা হইতে সহজেই প্রমাণ করা বায় যে কবিত্বশক্তিতে ইনি কৃত্তিবাস অপেক্ষ ৰেণী निक्लष्ट मन । মৈমনসিংহ জেলার মহিলা কবি চন্দ্রাবতী রামায়ণ-রচনার জন্য বিশেষ প্রসিদ্ধি লাভ করিয়াছিলেন । চন্দ্রাবতী মনস-মঙ্গলের বিখ্যাত কবি দ্বিজ বংশীদাসের কন্যা । চন্দ্রাবতী পিতাকে এক সময় মনসা-মঙ্গল রচনায় সাহায্য করিয়াছিলেন। চন্দ্রাবতীর জীবনী ব্যর্থ প্রণয়ের কাহিনীতে করুণ ; এই উপাখ্যান লইয়া মৈমনসিংহ জেলায় গীতিকাও রচিত হইয়াছে । কথিত হয় যে প্রণয়ী কর্তৃক পরিত্যক্ত হইয়া চন্দ্রাবতী পিতার আদেশে রামায়ণ-রচনায় মনোনিবেশ করিয়াছিলেন ; কিন্তু সীতার বনবাস পর্য্যস্ত রচনার পর পরলোক গমন করিয়াছিলেন । বংশীদাসের মনসা-মঙ্গল রচনা সম্পূর্ণ হুইবার তারিখ ঐ গ্রন্থে ১৪৯৭ অর্থাৎ ১৫৭৫–৯৬ খ্ৰীষ্টাব্দ বলিয়া লিখিত আছে । ইহা হইতে আন্দাজ করিয়া চন্দ্রাবতীর ১৫৫০ খ্ৰীষ্টাদে জন্ম বলিয়া নির্দেশ করা হইয়াছে । চন্দ্রাবতীর রামায়ণ করুণরসে মধুর। সম্ভবতঃ নিজের করুণ জীবনের ছায়া র্তার সাত চরিত্রকে করুণ করিয়া তুলিয়াছে। তাই আজও মৈমনসিংহ জেলার স্বালোকের সকল প্রকার ধর্মানুষ্ঠানেই এই রামায়ণ গান করিয়া থাকেন। শুধু রামায়ণই নয়, এই প্রাচীন মহিলা-কবি রচিত মনসাদেবীর গান, মলুয়া, কেনারাম দ্যুর কাহিনী প্রভৃতি গীতিকা তাহদের কবিত্বগুণ এবং প্রাঞ্জল ভাষার জন্য কবিকে অমর করির রাখিয়াছে । চন্দ্রাবতীর পর র্যাহীদের রামায়ণ-রচনা উল্লেখযোগ্য তাহীদের মধ্যে কবিচন্দ্র প্রধান। অনেকে অনুমান করেন যে ইহাঁর নাম ছিল শঙ্কর ; রামায়ণ ভিন্ন মহাভারত এবং ভাগবতের অনেকখানি ইনি অনুবাদ করিয়া গিয়ছেন । ভাগবতের অনুবাদে ইহার পিতার নাম মুনিরাম চক্রবর্তী বলিয়া লিখিত আছে। ইনি গোপাল সিংহ রাজার আদেশে এই অনুবাদ কাৰ্য্য আরম্ভ করেন । রামগতি ন্যায়রত্ব এই গোপালকে মল্লবংশীয় বনবিষ্ণুপুরের অধিপতি বলিয়া মনে করিয়াছেন ; কিন্তু দীনেশচন্দ্র সেন ইহাকে বধমানরীজ বলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন। তবে বাঙলাসাহিত্যে এতগুলি কবিচন্দ্র উপাধিধারী লেখকের পরিচয় পাওয়া যায়, যে কোনটি কাহার রচনা তাহা নিৰ্দ্ধারণ করা অসম্ভব । যে কবিচন্দ্র রামায়ণ রচনা করিয়াছিলেন, তাহার প্রতিভাই র্তাহার প্রতি অবিচারের কারণ হইয়া উঠিয়াছে। কৃত্তিবাস রামায়ণ রচনায় সফলতা লাভ করিয়া 'ot