পাতা:বাঙলা সাহিত্য পরিচয়-তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়.pdf/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বুদ্ধদেব নামে এক ব্যক্তি ‘রামলীলা' নামে এক রামায়ণ রচনা করিয়াছিলেন । বলা বাহুল্য, ইনি বৌদ্ধধৰ্ম্মপ্রচারক জগৎবিখ্যাত বুদ্ধদেব নন; ইহার প্রকৃত নাম রামাননা ঘোষ। গ্রন্থ হইতে কবির পরিচয় বিশেষ জানা যায় না। তবে মুসলমানদিগের প্রতি বিদ্বেষ দেখিয়া মনে হয় যে সম্ভবতঃ ১৬৬৭ খ্ৰীষ্টাব্বের কাছাকাছি সময়ে ইহার আবির্ভাব হইয়াছিল। ইনি নিজেকে বুদ্ধের অবতার বলিয়া প্রচার করেন এবং বৈষ্ণব ও মুসলমানদিগকে দমন করিতে আবির্ভূত হইয়াছিলেন বলিয়া ঘোষণা করেন । هر এই সকল ছাড়াও বহু ছোট-বড় রামায়ণ-রচয়িতার উল্লেখ পাওয়া যায়। র্তাহীদের রচনায় উল্লেখযোগ্য কিছুই নাই এবং সকলের আলোচনাও সম্ভব নয়। আদি কবি (২) মালাধর বস্তু যাহার সরস কবিতার পদ লালিত্যে মুগ্ধ হইয়া মুসলমান গৌড়েশ্বর রুকূর্ম-দ-দীন কবিকে গুণরাজ খান উপাধিতে ভূষিত করিয়াছিলেন, র্যাহার কাব্যের হৃদয়গ্রাহী তাৰে অভিভূত হইয়া শ্রীচৈতন্যদেব কবির পুত্ৰ সত্যরাজ খান এবং পৌত্র রামানন্দ বসুকে সাদর সম্মানিত কুরিয়াছিলেন এবং বসু বংশকে বাঙলা দেশ হইতে শ্ৰীক্ষেত্রমাত্রিগণকে পরিচয় চিহ্ন স্বরূপ ‘ডুরি প্রদানের অধিকার দিয়াছিলেন— র্তাহার নাম মালাধর বসু । কবি আপনার গ্রন্থে রচনার সন-তারিখ স্পষ্ট করিয়া লিথিয়াছেন ; তাহা হইতে আমরা জানিতে পারি যে তিনি ১৩৯৫ শকাব্দে গ্রন্থ আরম্ভ করিয়া ১৪০২ শকে রচনা শেষ করেন। খ্ৰীষ্টাব্দ হিসাবে ইহা ১৪৭৩– ১৪৮১ দাড়ায় । গ্রন্থের মধ্যে কবি যে আত্মবিবরণী দিয়াছেন তাহা হইতে জানা যায় যে র্তাহার পিতার নাম ছিল ভগীরথ, মাতার নাম ইন্দুমতী । তাহাঁদের বাস ছিল বৰ্দ্ধমান জেলার কুলীন গ্রামে । মালাধর যে গ্রন্থ রচনা করিয়াছিলেন, তাহার নাম শ্ৰীকৃষ্ণ বিজয় ; কোন কোন পুথিতে ইহা গোবিন্দবিজয় বা গোবিন্দমঙ্গল-রূপে লিখিত হইয়াছে। বিজয় শব্দটি এখানে প্রস্থান, প্রয়াণ বা তিরোধান অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে, কারণ ইহাতে শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হইতে তিরোধান পৰ্য্যন্ত বর্ণনা করা হইয়াছে। মালারের গ্রন্থটি শ্ৰীমদভাগবতের ১০ম ও ১১শ স্কন্ধের অনুবাদ। কিন্তু WEb*.