পাতা:বাঙলা সাহিত্য পরিচয়-তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়.pdf/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ও কালুডোম অজয়ের তীরে উপস্থিত হইয়া লোহাট সর্দারকে বধ করিলেন এবং তাহার কাটামুণ্ড গৌড়ে পাঠাইলেন। মুগুটিকে মহামদ লাউসেনের মুখের মত করিয়া ময়নায় পাঠাইল । লাউসেনের মৃত্যু হইয়াছে মনে করিয়া সকলে হাহাকার করিতে লাগিল ; তাহার চারি পত্নী সেই মুণ্ডের সহিত অগ্নিতে প্রবেশের জন্ত প্রস্তুত হইলেন। ধর্মের নির্দেশে হনুমান চিলরূপে সেই মুণ্ড ছে৷ মারিয়া লইয় গেল এবং কলিঙ্গার নিকট প্রকৃত ঘটনা জানাইয়া সকলকে শান্ত করিল। লাউসেন অজয় নদ পার হইতে গিয়া বন্দী হইলেন । র্তাহার অনুচরগণ জলে ঝাপ দিলে ধর্মঠাকুর অজয়ের জল হাটুভর করিলেন এবং সকলকে উদ্ধার করিলেন। অজয়ের অপর তীরে লাউসেনের সহিত ইছাই-এর যুদ্ধ বাধিল । ইছাই দেবীর অনুগৃহীত ভক্ত ; তাই লাউসেন যতবার তাহার মাথা কাটিয়া দেন, ততবারই তাহার মাথা গজাইয় উঠে। দেবী ইছাইকে বর দিলেন যে, সে লাউসেনের প্রাণ বধ করিবে ; ধর্ম মায়া-লাউসেন নির্মাণ করাইয়া দিলেন। এদিকে দেবতারা ষড়যন্ত্র করিয়া দেবীকে মহেশের কাছে লইয়া গেলেন ; ইছাইএর উপব তাহার দৃষ্টি না থাকাতে লাউসেন তাহার মুণ্ড কাটিয়া ফেলিলেন এবং বিষ্ণু তাড়াতাড়ি সেই মুণ্ডকে মুক্তি দিলেন। কাজেই দেবী আর ইছাইকে পুনর্জীবন দান করিতে পারিলেন না। সোম ঘোষ গৌড়েশ্বরের ব্যতা স্বীকার করিল। লাউসেন গৌড় ইয়া ময়নায় ফিরিলেন । লাউসেনের চিত্ৰসেন নামে এক পুত্র জন্মিল এবং তিনি মুখে কালাতিপাত করিতে লাগিলেন। এদিকে মহামদের অনাচারের ফলে গৌড়ে বর্ষ ও প্লাবন আরম্ভ হইল ; কিছু লাউসেন গিয়া তাহা প্রশমিত করিলেন। এবার লাউসেনকে পশ্চিমে সুর্যোদয় করাইতে বলা হইল। তিনি অকৃতকার্য হইলে তাহার পিতামাতাকে বধ করা হইবে বলিয়া গৌড়ে বন্দী করিয়া রাখা হইল। লাউসেন শাফুলাকে সঙ্গে লইয়া নৌকাযোগে হাকন্দে গিয়া ধর্মঠাকুরের পূজা করিতে লাগিলেন । এদিকে লাউসেনের অনুপস্থিতির সুযোগে মহামদ ময়না অধিকার করিবার জন্ত সসৈন্তে যাত্রা করিল। কালুকে লোভ দেখাইয়া বশীভূত করিয়া মহামদ মন্ত্রবলে সকলকে নিদ্রিত করিয়া ময়না অধিকার করিতে উষ্ঠত হইলে লখা একাই যুদ্ধে প্রবৃত্ত হইল। একে একে তাহার পুত্ৰগণ নিহত হইলে সে কালুকে উত্তেজিত করিয়া যুদ্ধে পাঠাইল। কালু নিহত হইলে কলিঙ্গ যুদ্ধে গেলেন। তিনি নিহত হইলে কানড়া ধুমলী যুদ্ধে প্রবৃত্ত হইয়া মহামদকে পরাজিত করিলেন। এদিকে লাউসেন কঠোরভাবে ধর্মপূজা করিতেছেন। মহাবিদ্যা জপ করিতে te