পাতা:বাঙলা সাহিত্য পরিচয়-তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়.pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এই সকল গ্রন্থ ছাড়া ধর্মমঙ্গলের অন্তর্গত আর একটি গ্রন্থ আছে যাহা লইয়া বিশেষ আন্দোলন হইয়াছে। গ্রন্থটি বর্তমানে শূন্ত পুরাণ’ নামে প্রচলিত। বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ হইতে এই গ্রন্থের যে সংস্করণ প্রকাশিত হইয়াছিল তাহাতে ইহাকে ‘রামাই পণ্ডিতের পদ্ধতি বলা হইয়াছে। স্বৰ্গীয় নগেন্দ্ৰ নাথ বসু মহাশয়ই ইহাকে শূন্ত পুরাণ' নামে অভিহিত করিয়াছেন ; অথচ গ্রন্থ মধ্যে ভনিতায় ইহার নাম পাই 'আগম পুরাণ। গ্রন্থকর্তা সম্বন্ধেও নানা প্রকার মতানৈক্য দেখা যায়। অধিকাংশের মতে গ্রন্থটি ১৩শ হইতে ১৭শ শতাব্দীর মধ্যে বিভিন্ন কবির রচনা একত্রিত করিয়া সঙ্কলিত হইয়াছে। aw পূৰ্বাণ বা মঙ্গল কাব্যের যে সংজ্ঞা আমরা পাইয়াছি তদনুযায়ী বিবেচনা করিলে ইহাকে পুরাণ অথবা মঙ্গল কাব্য বলা যায় না । তাহ ছাড়া ইহা পূজা-পদ্ধতি বা পূজা-জ্ঞাপক গ্রন্থও নগুে প্রকৃতপক্ষে এ গ্রন্থকে তিন ভাগ করা যায় –(১) স্বষ্টি খণ্ড বা দেবতা খণ্ড ; (২) সংজতি খণ্ড বা লাউসেন রঞ্জাবতীর কৃচ্ছ সাধনেব কাহিনী। রচনাকার রূপে সর্বত্রই রামাই পণ্ডিতের ভণিতা আছে। পূন্ত পুরাণে একটি কৌতুকজনক পদ আছে, যাহা অবশু সহদেব চক্রবর্তীর গ্রন্থেও পাওয়া যায়। পদটি এইরূপ— জাজপুর পুরবাসী ষোল শআ ঘর বসি বসিল যে কেবল দুর্জন ! দক্ষিণ মাগিতে যায় যার ঘরে নাহি পায় .শাপ দিয়া পোড়ায় ভুবন । মালদহে লাগে কর না চিনে আপন পর জালের নাহিক দিশপাশ । বলিষ্ট হইয়া বড় দশ বিশ হইয়া জড় সদ্ধমীরে করয়ে বিনাশ ৷ বেদ করে উচ্চারণ বাহিরায় অগ্নি ঘন দেখিয সভাই কম্পমান । মনে ত পাইয়। মৰ্ম সভে বোলে রাম ধর্ম তোমা বিনা কে করে পরিত্রাণ | এইরূপে দ্বিজগণ করে সৃষ্টি সংহরণ हे दख्न श्न अदिsज्ञ । বৈকুণ্ঠে থাকিয়া ধর্ম মনেতে পাইয়া মৰ্ম মায়াতে হইল অন্ধকার ।