পাতা:বাঙলা সাহিত্য পরিচয়-তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়.pdf/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেখাইয়াছেন, তাং আমাদিগকে ভারতচন্দ্রর কথা স্মরণ করাইঃ দেয়— প্রেতের সনে শ্মশানে থাকে মাথায় ধরে নারী। সবে বলে পাগল পাগল কত সৈতে পারি ॥ নিন্দে ভাবিতে প্রাণে বড় লাজ লাগে । চড়ে বেড়ায় দুষ্ট বলদে তারে খাউক ৰাখে। . আগুন লাগুক কন্ধের ঝুলি ত্রিশূল লউক চোরে। গলার মাপ গরুড়ে খাউক যেমন ভাণ্ডাল মোবে। ছিড়িয়া পড.ক হাড়ের মালা, পড়ে ভাঙ্গুক লাউ । কপালের চন্দ্ৰতিলক তারে গিলুক রাউ ৷ জগতে মোহন শিবের দাস । সঙ্গে নাচে শিবের ভূত পিশাচ ॥ রঙ্গে নেহারিয়া গেীরীর মুখ । নীচের মহাদেব মনেতে কৌতুক ॥ হাসিতে খেলিতে রঙ্গে । নন্দী মহাকাল বাজায় মুদঙ্গে ॥ ২৪-পবগণার অন্তর্গত নাহূরে বট গ্রামের অধিবাসী দ্বিজবিপ্রসাদ ১৪১৭ শকাব্দে অর্থাৎ ১৪৯৫ খ্ৰীষ্টাব্দে একখানি সংক্ষিপ্ত কাব্য রচনা করেন । এই কাব্যথানির অন্ততম বৈশিষ্ট্য এই যে ইহার মধ্যেই সর্বপ্রথম কলিকাতার নাম উল্লেখ দেখিতে পাওয়া যায় । ১৬শ শতাব্দীর প্রথম ভাগে ঢাকা-মহেশ্বরদির অন্তর্গত জিনারদিনিবাসী ষষ্ঠীবর ও র্তাহার পুত্র গঙ্গাদাস একখানি কাব্য রচনা করেন। ইহারা মহাভারত প্রভৃতি রচনায় যেরূপ কৃতিত্ব দেখাইয়াছেন, মনসামঙ্গল কাব্যে সেরূপ দেখাইতে পারেন নাই। এই কাব্যে পাণ্ডিত্য-ই আছে কাব্য একেবারে নাই। আনুমানিক ১৭শ শতাব্দীর মধ্যভাগে মৈমনসিংহ জেলার পাতুয়ারী গ্রামে অবিভূতি দ্বিজবংশীদাসের মনসার ভাসান নানাকারণেই উল্লেখযোগ্য । বংশীদাস একাধারে কবি এবং ভক্ত ও সাধক ছিলেন। তাই তাহার কাব্যটি গভীর এবং হৃদয়গ্রাহী হইয়া উঠিয়াছে । কথিত হয় যে একবার বংশীদাস মনসার গান গাহিয়৷ বনপথে গ্রামে ফিরিতেছিলেন, এমন সময়ে কেনারাম নামক হৃদয়হীন দক্ষ্য র্তাহাকে হত্যা করিতে চাহিল। বংশীদাস শেষবার মনসার ভাসান গাহিবার অনুমতি প্রার্থনা করিলেন । দস্তু স্বীকৃত হইলে গান আরম্ভ হইল এবং অল্প পরেই দেখা গেল যে ፃእ